বন্দরের সামনে এখন ৬৫০০ কন্টেইনার জড়ো হয়ে আছে। এগুলো সরানোর বিষয়ে আগেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এগুলো সরিয়ে বন্দরকে আরও সচল করার চেষ্টার কথা বলেন উপ প্রেস সচিব।
বছরের প্রথমার্ধে সোয়া বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব

- আপডেট সময় ০১:২০:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫
- / ৩০ বার পড়া হয়েছে

চলতি বছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে এক দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব আসার তথ্য দিয়েছে সরকার।
চলতি বছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে এক দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব আসার তথ্য দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমন্বয় কমিটির পঞ্চম সভা শেষে এ তথ্য দেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
বৈঠকের আলোচনার বরাতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন
কর্তৃপক্ষ বিডার তরফে জানানো হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে এক দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাবের মধ্যে
স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের প্রস্তাব ৭০ কোটি ডলারের। অপরদিকে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সাড়ে ৪৬ কোটি ডলারের প্রস্তাব দিয়েছেন। আর দেশি-বিদেশি যৌথ বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে ৮৫ মিলিয়ন ডলার।
উপ প্রেস সচিব বলেন, “এসব বিনিয়োগ প্রস্তাবের মধ্যে ২৩ কোটি ১০ লাখ ডলার চূড়ান্ত প্রস্তাব আকারে এসেছে। অর্থাৎ প্রস্তাবনার ১৮ শতাংশ বিনিয়োগ আকারে রূপ নিয়েছে।
“বৈশ্বিক হার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বৈশ্বিকভাবে বিনিয়োগ প্রস্তাবের কনভার্সন হার হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। আমাদের দেশে সেটা ১৮ শতাংশ। এটা সন্তোষজনক অগ্রগতি হিসেবে বৈঠকে মন্তব্য এসেছে।”
বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মতৎপরতা ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অংশ নিয়ে বন্দরের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেছেন। যেমন ব্যাংকিং ও কন্টেইনার জট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বন্দরের সামনে এখন সাড়ে ছয় হাজার কন্টেইনার জড়ো হয়ে আছে। এগুলো সরানোর বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আগেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কন্টেইনারগুলো সরিয়ে বন্দরটাকে আরও সচল করার চেষ্টা চলছে।
”গত দুই মাসে এক হাজার কন্টেইনার নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। প্রতিমাসে গড়ে ৫০০ কন্টেইনার নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।”
আজাদ মজুমদার সভায় লালদিয়া বন্দর ও বন্দরের অন্যান্য সম্প্রসারিত অংশের নির্মাণকাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথাও তুলে ধরেন।
ব্যাংকিং সুবিধার মাধ্যমে কীভাবে আরও সহজভাবে কর আদায় করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, বিজিএমইএর প্রতিনিধিসহ ব্যবসায়ীরা।
মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম