০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এতদিন এইচএস কোড ভুল হলে সেটিকে মিথ্যা ঘোষণা হিসেবে ধরা হত এবং সেক্ষেত্রে জরিমানার বিধান ছিল।

বন্ডেড কোম্পানির পণ্য খালাস সহজ হলো

মইদুল হাসান - জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১২:৪৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

বন্ড লাইসেন্সধারী রপ্তানিকারকদের শুল্কায়ন সহজ করার কথা জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর।

 

বন্ড লাইসেন্সধারী রপ্তানিকারকদের শুল্কায়ন সহজ করার কথা জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর।

এখন থেকে আমদানিকারক ঘোষিত এইচএস কোডের (পণ্য চিহ্নিতকরণ নম্বর) সঙ্গে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের মূল্যায়ন এক না হলেও তা খালাস করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে এইচএস কোডের প্রথম চার সংখ্যা এক হতে হবে।

কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, সমজাতীয় পণ্যের এইচএস কোডের প্রথম চার সংখ্যা একই হয়ে থাকে। পরের চার সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে শুল্ক কম-বেশি হয়। যেমন চা, কফি ও মশলা- এসবের এইচএস কোডের প্রথম দুই সংখ্যা একই। এগুলোতে ঘ্রাণ আছে কি না তা পরের দুই সংখ্যা দিয়ে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।

এরপরের চার সংখ্যা পণ্যকে আরও সুনির্দিষ্ট করে। নির্দিষ্ট পরিমাণের কম বা বেশি হলে শুল্ক কম-বেশি হয়। বাজারজাত প্রক্রিয়ার ধরনের ওপরও শুল্কের ভিন্নতা রয়েছে। এসবই পরের চার সংখ্যা দিয়ে চিহ্নিত করা হয়।

 

মঙ্গলবার এনবিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স অথবা প্রাপ্যতা শিট বা সংশ্লিষ্ট ইউটিলাইজেশন ডিক্লেয়ারেশনের (ইউডি) সঙ্গে অথবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পণ্য খালাসের ঘোষণার সঙ্গে কায়িক পরীক্ষার মাধ্যমে কাস্টমস নিরূপিত এইচএস কোড ভিন্ন হয়ে থাকে। এছাড়া নানা কারণেই পণ্যের বর্ণনা ভিন্ন হয়।

এই ভিন্নতার কারণে পণ্য শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয় জানিয়ে এনবিআর বলছে, যথাসময়ে পণ্য খালাস না হওয়ায় রপ্তানি আদেশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য জাহাজীকরণে বিঘ্ন ঘটছে। রপ্তানি বাণিজ্যের ‘বৃহত্তর স্বার্থে’ এ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমদানি পণ্যের ঘোষণা ও কাস্টমস নিরূপিত এইচএস কোডের প্রথম চার সংখ্যা মিল থাকলে অথবা পণ্যের বর্ণনা বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভুক্ত করার অঙ্গীকারনামা দাখিল করার শর্তে দ্রুত পণ্য খালাস করা যাবে। আর ভিন্ন এইচএস কোড চিহ্নিত হলে কাস্টমস বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে তা অন্তর্ভুক্ত করে সর্বোচ্চ ২ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস করার সুবিধা মিলবে।

এতদিন এইচএস কোড ভুল হলে সেটিকে মিথ্যা ঘোষণা হিসেবে ধরা হত এবং সেক্ষেত্রে জরিমানার বিধান ছিল। শুল্ক ফাঁকি দিতে এইচএস কোড ভিন্ন করা হয়েছে নাকি ভুলে হয়েছে তা বোঝার সুযোগ না থাকায় শাস্তি দেওয়া হতো। এখন সেই বিধান থেকে সরে এল এনবিআর।

আইন অনুযায়ী, বন্ড লাইসেন্সধারী রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান তার ক্রয়াদেশের বিপরীতে ব্যাক টু ব্যাক এলসি চালু করার সুবিধা পায়। অর্থাৎ ক্রয়াদেশের মূল্যমান অনুযায়ী বিদেশ থেকে কাঁচামাল আনতে অর্থ সহায়তা দেয় ব্যাংক; পাশাপাশি পণ্য আনতে মেলে শুল্ক সুবিধা।

 

 

 

মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

এতদিন এইচএস কোড ভুল হলে সেটিকে মিথ্যা ঘোষণা হিসেবে ধরা হত এবং সেক্ষেত্রে জরিমানার বিধান ছিল।

বন্ডেড কোম্পানির পণ্য খালাস সহজ হলো

আপডেট সময় ১২:৪৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

বন্ড লাইসেন্সধারী রপ্তানিকারকদের শুল্কায়ন সহজ করার কথা জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর।

এখন থেকে আমদানিকারক ঘোষিত এইচএস কোডের (পণ্য চিহ্নিতকরণ নম্বর) সঙ্গে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের মূল্যায়ন এক না হলেও তা খালাস করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে এইচএস কোডের প্রথম চার সংখ্যা এক হতে হবে।

কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, সমজাতীয় পণ্যের এইচএস কোডের প্রথম চার সংখ্যা একই হয়ে থাকে। পরের চার সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে শুল্ক কম-বেশি হয়। যেমন চা, কফি ও মশলা- এসবের এইচএস কোডের প্রথম দুই সংখ্যা একই। এগুলোতে ঘ্রাণ আছে কি না তা পরের দুই সংখ্যা দিয়ে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।

এরপরের চার সংখ্যা পণ্যকে আরও সুনির্দিষ্ট করে। নির্দিষ্ট পরিমাণের কম বা বেশি হলে শুল্ক কম-বেশি হয়। বাজারজাত প্রক্রিয়ার ধরনের ওপরও শুল্কের ভিন্নতা রয়েছে। এসবই পরের চার সংখ্যা দিয়ে চিহ্নিত করা হয়।

 

মঙ্গলবার এনবিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স অথবা প্রাপ্যতা শিট বা সংশ্লিষ্ট ইউটিলাইজেশন ডিক্লেয়ারেশনের (ইউডি) সঙ্গে অথবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পণ্য খালাসের ঘোষণার সঙ্গে কায়িক পরীক্ষার মাধ্যমে কাস্টমস নিরূপিত এইচএস কোড ভিন্ন হয়ে থাকে। এছাড়া নানা কারণেই পণ্যের বর্ণনা ভিন্ন হয়।

এই ভিন্নতার কারণে পণ্য শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয় জানিয়ে এনবিআর বলছে, যথাসময়ে পণ্য খালাস না হওয়ায় রপ্তানি আদেশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য জাহাজীকরণে বিঘ্ন ঘটছে। রপ্তানি বাণিজ্যের ‘বৃহত্তর স্বার্থে’ এ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমদানি পণ্যের ঘোষণা ও কাস্টমস নিরূপিত এইচএস কোডের প্রথম চার সংখ্যা মিল থাকলে অথবা পণ্যের বর্ণনা বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভুক্ত করার অঙ্গীকারনামা দাখিল করার শর্তে দ্রুত পণ্য খালাস করা যাবে। আর ভিন্ন এইচএস কোড চিহ্নিত হলে কাস্টমস বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে তা অন্তর্ভুক্ত করে সর্বোচ্চ ২ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস করার সুবিধা মিলবে।

এতদিন এইচএস কোড ভুল হলে সেটিকে মিথ্যা ঘোষণা হিসেবে ধরা হত এবং সেক্ষেত্রে জরিমানার বিধান ছিল। শুল্ক ফাঁকি দিতে এইচএস কোড ভিন্ন করা হয়েছে নাকি ভুলে হয়েছে তা বোঝার সুযোগ না থাকায় শাস্তি দেওয়া হতো। এখন সেই বিধান থেকে সরে এল এনবিআর।

আইন অনুযায়ী, বন্ড লাইসেন্সধারী রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান তার ক্রয়াদেশের বিপরীতে ব্যাক টু ব্যাক এলসি চালু করার সুবিধা পায়। অর্থাৎ ক্রয়াদেশের মূল্যমান অনুযায়ী বিদেশ থেকে কাঁচামাল আনতে অর্থ সহায়তা দেয় ব্যাংক; পাশাপাশি পণ্য আনতে মেলে শুল্ক সুবিধা।

 

 

 

মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম