০৫:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে জ্বালানি ও সমুদ্র বন্দরে বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি আরব

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৭:৩১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
  • / ৯৭ বার পড়া হয়েছে

সৌদি সরকার জ্বালানি, বিমানবন্দর এবং সমুদ্র বন্দরে বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোনেম। শনিবার (১১ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মজিদ বিন আব্দুল্লাহ আল কাসাবির সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি। এ ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আবদুল মোনেম বলেন, সৌদি সরকারের কমার্স মিনিস্টার আসছেন। হি ইজ এ ডুয়ার। তিনি বলছেন যে, কথাবার্তা না, আমরা কাজ করতে চাই। কয়েকটি প্রকল্প তারা নিচ্ছেন, তারা শুরুও করেছেন। পতেঙ্গায় একটি প্রকল্প তারা ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন। আমাদের সরকার তাদের জমি দিয়েছেন এবং তারা শুরু করেছেন। আমরা তাদের কাছ থেকে বড় প্রকল্প চেয়েছি। তাদের আমরা একটা স্পেশাল ইকোনমিক জোনও অফার করেছি। এটা চট্টগ্রামে দেওয়া হয়েছে, এটা তারা নিয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা এনার্জি সেক্টরে ইনভেস্ট করতে চায়, তারা পোর্ট সেক্টরে ইনভেস্ট করতে চায়, তারা এয়ারপোর্টে ইনভেস্ট করতে চায়। আমরা চাচ্ছি ফার্টিলাইজার তাদের দেশে করতে। তারা আমাদের বেনিফিট দিবে। কারণ, তাদের এখানে সস্তায় প্রোডাকশন করা যায়, তারা তাতে অ্যাগ্রি করেছে।

এর আগে, দেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগকে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত রয়েছেন। প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে বিজনেস সামিটের আয়োজন করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন ১৩ মার্চ পর্যন্ত চলবে।

সামিটে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাত নিয়ে ১৭টি সেমিনার ও ৩টি প্ল্যানারি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেবেন দুই শতাধিক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী। সম্মেলনে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১২টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সিইও এবং ২০০ এর বেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী, বিশ্বের ১৭টি দেশের ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেবেন। ইতোমধ্যে অনেকেই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশে জ্বালানি ও সমুদ্র বন্দরে বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি আরব

আপডেট সময় ০৭:৩১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

সৌদি সরকার জ্বালানি, বিমানবন্দর এবং সমুদ্র বন্দরে বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোনেম। শনিবার (১১ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মজিদ বিন আব্দুল্লাহ আল কাসাবির সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি। এ ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আবদুল মোনেম বলেন, সৌদি সরকারের কমার্স মিনিস্টার আসছেন। হি ইজ এ ডুয়ার। তিনি বলছেন যে, কথাবার্তা না, আমরা কাজ করতে চাই। কয়েকটি প্রকল্প তারা নিচ্ছেন, তারা শুরুও করেছেন। পতেঙ্গায় একটি প্রকল্প তারা ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন। আমাদের সরকার তাদের জমি দিয়েছেন এবং তারা শুরু করেছেন। আমরা তাদের কাছ থেকে বড় প্রকল্প চেয়েছি। তাদের আমরা একটা স্পেশাল ইকোনমিক জোনও অফার করেছি। এটা চট্টগ্রামে দেওয়া হয়েছে, এটা তারা নিয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা এনার্জি সেক্টরে ইনভেস্ট করতে চায়, তারা পোর্ট সেক্টরে ইনভেস্ট করতে চায়, তারা এয়ারপোর্টে ইনভেস্ট করতে চায়। আমরা চাচ্ছি ফার্টিলাইজার তাদের দেশে করতে। তারা আমাদের বেনিফিট দিবে। কারণ, তাদের এখানে সস্তায় প্রোডাকশন করা যায়, তারা তাতে অ্যাগ্রি করেছে।

এর আগে, দেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগকে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত রয়েছেন। প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে বিজনেস সামিটের আয়োজন করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন ১৩ মার্চ পর্যন্ত চলবে।

সামিটে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাত নিয়ে ১৭টি সেমিনার ও ৩টি প্ল্যানারি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেবেন দুই শতাধিক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী। সম্মেলনে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১২টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সিইও এবং ২০০ এর বেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী, বিশ্বের ১৭টি দেশের ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেবেন। ইতোমধ্যে অনেকেই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।