০২:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগের প্রস্তাব সৌদি আরবের

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৮:৫৪:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩
  • / ২২১ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বড় আকারের বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি আরব। স্থিতিশীল সরকার এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভালো রেকর্ড থাকায় এ প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ মে) রাতে সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ এ আল-ফালিয়াহ এবং অর্থনীতি ও পরিকল্পনামন্ত্রী ফয়সাল আলিব্রাহিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দোহায় অবস্থানরত ভবনে সাক্ষাতে এ প্রস্তাব দেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, বৈঠকে দুই মন্ত্রী বলেছেন, বিনিয়োগকারী হিসেবে আমরা খুব কম ইস্যু দেখি। প্রথমত, দেশের স্থিতিশীলতা, ব্যবসায়ীরা স্থিতিশীল কিনা, বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ কেমন। তবে বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ খুবই ভালো, সে কারণেই আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল উপস্থিত ছিলেন।

ড. এ কে আবদুল মোমেন জানান, মন্ত্রীরা ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। তারা বলেছেন, বাংলাদেশের নেতৃত্ব খুবই ভালো, দৃষ্টিভঙ্গি ভালো এবং তাদের প্রতিশ্রুতি খুবই ভালো। দেশে একটি স্থিতিশীল সরকার রয়েছে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি খুবই ভালো। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে তারা কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছেন। পতেঙ্গা বন্দরের পাশে তারা অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করতে চান। সৌদি আরব বাংলাদেশকে তার ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, কারণ দেশটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অবস্থিত।

আমরা যদি এটিকে আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলি, তাহলে আমরা ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং আরও অনেক কিছুকে দেখে রাখতে পারব। বৈঠকে দুই মন্ত্রী বলেন, পতেঙ্গায় আমরা পেট্রোকেমিক্যাল, ডিজেল, জেট ফুয়েল, সার এবং প্রধান বিতরণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি শিপিং লাইন করব। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা অনুমতি দিয়েছি এবং অবিলম্বে এটি চালু করতে পারেন। আপনারা পারস্পরিক সুবিধার জন্য মাতারবাড়ি ও পায়রা সমুদ্র বন্দর এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ সহজ করতে কোনো বাধা থাকলে তা দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। সৌদি আরব পারস্পরিক সুবিধার জন্য কৃষির মতো বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চায়। এ বিষয়ে তারা বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বাস দেন। হজ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার সময় উভয় মন্ত্রী সৌদি আরবে আবাসন ও হাসপাতাল নির্মাণে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেন।

সৌদি আরবের দুই মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে দুই দেশের জনগণের সুবিধার জন্য সৌদি আরবে ওষুধ, পানীয় এবং রিয়েল এস্টেট শিল্প স্থাপনের অনুরোধ জানান। সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রী ও অর্থনীতি মন্ত্রী সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-এর লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। তারা বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগের প্রস্তাব সৌদি আরবের

আপডেট সময় ০৮:৫৪:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বড় আকারের বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি আরব। স্থিতিশীল সরকার এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভালো রেকর্ড থাকায় এ প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ মে) রাতে সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ এ আল-ফালিয়াহ এবং অর্থনীতি ও পরিকল্পনামন্ত্রী ফয়সাল আলিব্রাহিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দোহায় অবস্থানরত ভবনে সাক্ষাতে এ প্রস্তাব দেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, বৈঠকে দুই মন্ত্রী বলেছেন, বিনিয়োগকারী হিসেবে আমরা খুব কম ইস্যু দেখি। প্রথমত, দেশের স্থিতিশীলতা, ব্যবসায়ীরা স্থিতিশীল কিনা, বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ কেমন। তবে বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ খুবই ভালো, সে কারণেই আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল উপস্থিত ছিলেন।

ড. এ কে আবদুল মোমেন জানান, মন্ত্রীরা ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। তারা বলেছেন, বাংলাদেশের নেতৃত্ব খুবই ভালো, দৃষ্টিভঙ্গি ভালো এবং তাদের প্রতিশ্রুতি খুবই ভালো। দেশে একটি স্থিতিশীল সরকার রয়েছে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি খুবই ভালো। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে তারা কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছেন। পতেঙ্গা বন্দরের পাশে তারা অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করতে চান। সৌদি আরব বাংলাদেশকে তার ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, কারণ দেশটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অবস্থিত।

আমরা যদি এটিকে আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলি, তাহলে আমরা ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং আরও অনেক কিছুকে দেখে রাখতে পারব। বৈঠকে দুই মন্ত্রী বলেন, পতেঙ্গায় আমরা পেট্রোকেমিক্যাল, ডিজেল, জেট ফুয়েল, সার এবং প্রধান বিতরণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি শিপিং লাইন করব। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা অনুমতি দিয়েছি এবং অবিলম্বে এটি চালু করতে পারেন। আপনারা পারস্পরিক সুবিধার জন্য মাতারবাড়ি ও পায়রা সমুদ্র বন্দর এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ সহজ করতে কোনো বাধা থাকলে তা দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। সৌদি আরব পারস্পরিক সুবিধার জন্য কৃষির মতো বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চায়। এ বিষয়ে তারা বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বাস দেন। হজ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার সময় উভয় মন্ত্রী সৌদি আরবে আবাসন ও হাসপাতাল নির্মাণে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেন।

সৌদি আরবের দুই মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে দুই দেশের জনগণের সুবিধার জন্য সৌদি আরবে ওষুধ, পানীয় এবং রিয়েল এস্টেট শিল্প স্থাপনের অনুরোধ জানান। সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রী ও অর্থনীতি মন্ত্রী সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-এর লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। তারা বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন।