বাইক নিয়ে চম্পট দিতে ২৫-৩০ সেকেন্ড লাগে চক্রটির
- আপডেট সময় ০৫:১৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
- / ১০৩ বার পড়া হয়েছে
দুর্ধর্ষ মোটরসাইকেল চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার ও চুরি করা ১২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই মোটরসাইকেল চুরি আর কেনাবেচা করে আসছে চক্রটি বলে জানিয়েছে ডিবি।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, চাবি দিয়ে তালা খুলে মোটরসাইকেল নিয়ে চম্পট দেওয়া— এই পুরো ঘটনা ঘটাতে তাদের লাগে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ সেকেন্ড। গত ১০ মে ভাটারা থানায় দায়ের করা মোটরসাইকেল চুরির একটি মামলার তদন্তে নেমে সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোরচক্রের সন্ধান পায় ডিবি।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, চক্রের সক্রিয় সদস্যরা এবং চোরাই মোটরসাইকেল হবিগঞ্জ এলাকায় রয়েছে। এরপর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ হবিগঞ্জ থেকে চক্রটির সদস্য জাকারিয়া হোসেন হৃদয়কে (২৫) গ্রেপ্তার। পরে হবিগঞ্জ সদর থানা এলাকায় হৃদয়ের দেখিয়ে দেওয়া একটি গ্যারেজ থেকে ১২টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। তাদের চুরির কৌশল সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চক্রের একজন সদস্য প্রথমে মোটরসাইকেল গতিবিধি অনুসরণ করেন।
এরপর সুবিধাজনক জায়গায় তাদের অন্য সদস্যরা মোটরসাইকেলটি কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করেন। পরে সুযোগ বুঝে নিজেদের সঙ্গে থাকা মাস্টার চাবি দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে মোটরসাইকেলের তালা খুলে গাড়িটি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। হারুন বলেন, চক্রের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে হবিগঞ্জের খালেক এবং ইকবালের কাছে বিক্রি করেন। চক্রটি ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী, নাসিরনগর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতি সপ্তাহে দুই-তিনটি মোটরসাইকেল চুরি করে হবিগঞ্জ সদরের লোকরা বাজার, লাখাই রোডের ‘বন্ধু মটরস’-এর মালিক মোহনের কাছে বিক্রি করে।
তিনি আরও বলেন, চোরাই মোটরসাইকেলগুলো ২৫-৩০ হাজার টাকা দরে কিনে ওই গ্যারেজে যন্ত্রপাতি, চেসিস ও ইঞ্জিন নম্বর বদলে ৪০-৫০ হাজার টাকা দামে বিক্রি করা হতো। ওই গ্যারেজ মালিক মোহনকে খোঁজা হচ্ছে। এ সময় মোটরসাইকেল চুরি হলে থানায় জিডি না করে মামলা করার পরামর্শ দেন ডিবি প্রধান। থানায় মামলা নিতে না চাইলে ভুক্তভোগীদের গোয়েন্দা কার্যালয়ে যোগাযোগ করার আহ্বানও জানান তিনি।