প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে যুব ও ক্রীড়ায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা; যা ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে ছিল ১ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। তবে অবশ্য গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ১ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা ছিল। সুতরাং নতুন বাজেটে আগের থেকে বেশি বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৮ কোটি টাকা।

যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্র নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা এবং সুস্থ বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ক্রীড়া জগতের উন্নয়ন প্রয়োজন। তাই আধুনিক স্টেডিয়াম, জিমনেসিয়াম, সুইমিংপুলসহ বিভিন্ন ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কার এবং ক্রীড়া ক্লাবসমূহে বিনামূল্যে ক্রীড়াসামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে। নারী খেলোয়াড়দের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ ও খেলোয়াড়দের কল্যাণের প্রসঙ্গ টেনে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরাও জাতীয়-আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে সফলতার স্বাক্ষর রাখছে।

খেলোয়াড়দের কল্যাণের দিকেও আমরা বিশেষ দৃষ্টি রাখছি। বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ বা সংগঠকদের জন্য শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর ভাষ্য, উপজেলা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ১২৫টি উপজেলায় স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১৮৬টি উপজেলায় স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

দক্ষ খেলোয়াড় তৈরির জন্য ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ করে বিভিন্ন বিভাগ থেকে নিয়মিত প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি, খেলোয়াড়দের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ক্রীড়া দল প্রেরণ ও অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হচ্ছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে সাত লাখ ৬১ লাখ ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট। উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পাস হবে আগামী ২৬ জুন। এর আগে ২৫ জুন ২৩-২৪ অর্থবছরের অর্থবিল পাস করা হবে। বাজেট কার্যকর হবে আগামী ১ জুলাই থেকে।