০৬:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
ফেনী জেলার মুহরি ও সেলোনিয়া নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বাড়বে নদ-নদীর পানি, হালদা সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যার আভাস-উন্নয়ন বোর্ডের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১০:৩৩:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

ফেনীর মুহরি ও সেলোনিয়া নদীর পর এবার চট্টগ্রামের হালদা নদীর পানি বিপৎসীমা পার করতে পারে বলে আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

 

ফেনীর মুহরি ও সেলোনিয়া নদীর পর এবার চট্টগ্রামের হালদা নদীর পানি বিপৎসীমা পার করতে পারে বলে আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

এর ফলে নদী সংলগ্ন চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র।

বুধবার কেন্দ্রের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, ফেনী জেলার মুহরি ও সেলোনিয়া নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বুধবার সন্ধ্যা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে ও ফেনী জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে; যা পরবর্তীতে হ্রাস পেয়ে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি লাভ করতে পারে।

এই অববাহিকায় আগামী ২৪ ঘণ্টা ভারি ও পরবর্তী দুই দিন মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালদা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং চট্টগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে; যা পরবর্তীতে হ্রাস পেতে পারে।

এছাড়া, চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, সাঙ্গু ও গোমতী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে; অপরদিকে মাতামুহরি নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে।

আগামী এক দিন গোমতী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে; অপরদিকে, সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং পরবর্তী দুই দিন সব নদীর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে।

বুলেটিনে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের মনু, ধলাই ও খোয়াই নদীর পানিও সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে; পরবর্তী দুই দিন নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে।

অন্যদিকে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে; আগামী দুই দিন পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তী তিন দিন পর্যন্ত পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে; এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

এছাড়া, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে; যা আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে; এই সময়ে এসব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

অনড় লঘুচাপ, সংকেত বহাল

এদিকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত লঘুচাপটি একই এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবার সন্ধ্যায় আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। তাই, উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে অধিদপ্তর।

সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

লঘুচাপ ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে রাজধানীসহ সারাদেশেই দিনভর কম-বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যার নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সাথে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।

বৃষ্টি ঝরলেও এই সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বান্দরবানে দেশের সর্বোচ্চ ২৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে । গত দুদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি ঝরা ফেনীতে বৃষ্টিপাত কমেছে। জেলায় গেল ২৪ ঘণ্টায় ৮২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এছাড়া নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে ২০২, চট্টগ্রামে ১৬৯, বরিশালে ১৬০, লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ১৫২ এবং কক্সবাজারে ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ করা হয়েছে।

এই সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল নীলফামারীর ডিমলায়; ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাঙামাটিতে; ২২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

ফেনী জেলার মুহরি ও সেলোনিয়া নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বাড়বে নদ-নদীর পানি, হালদা সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যার আভাস-উন্নয়ন বোর্ডের

আপডেট সময় ১০:৩৩:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

 

ফেনীর মুহরি ও সেলোনিয়া নদীর পর এবার চট্টগ্রামের হালদা নদীর পানি বিপৎসীমা পার করতে পারে বলে আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

এর ফলে নদী সংলগ্ন চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র।

বুধবার কেন্দ্রের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, ফেনী জেলার মুহরি ও সেলোনিয়া নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বুধবার সন্ধ্যা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে ও ফেনী জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে; যা পরবর্তীতে হ্রাস পেয়ে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি লাভ করতে পারে।

এই অববাহিকায় আগামী ২৪ ঘণ্টা ভারি ও পরবর্তী দুই দিন মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালদা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং চট্টগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে; যা পরবর্তীতে হ্রাস পেতে পারে।

এছাড়া, চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, সাঙ্গু ও গোমতী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে; অপরদিকে মাতামুহরি নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে।

আগামী এক দিন গোমতী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে; অপরদিকে, সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং পরবর্তী দুই দিন সব নদীর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে।

বুলেটিনে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের মনু, ধলাই ও খোয়াই নদীর পানিও সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে; পরবর্তী দুই দিন নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে।

অন্যদিকে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে; আগামী দুই দিন পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তী তিন দিন পর্যন্ত পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে; এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

এছাড়া, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে; যা আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে; এই সময়ে এসব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

অনড় লঘুচাপ, সংকেত বহাল

এদিকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত লঘুচাপটি একই এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবার সন্ধ্যায় আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। তাই, উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে অধিদপ্তর।

সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

লঘুচাপ ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে রাজধানীসহ সারাদেশেই দিনভর কম-বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যার নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সাথে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।

বৃষ্টি ঝরলেও এই সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বান্দরবানে দেশের সর্বোচ্চ ২৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে । গত দুদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি ঝরা ফেনীতে বৃষ্টিপাত কমেছে। জেলায় গেল ২৪ ঘণ্টায় ৮২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এছাড়া নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে ২০২, চট্টগ্রামে ১৬৯, বরিশালে ১৬০, লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ১৫২ এবং কক্সবাজারে ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ করা হয়েছে।

এই সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল নীলফামারীর ডিমলায়; ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাঙামাটিতে; ২২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম