বায়ুদূষণে আজও শীর্ষে ঢাকা
- আপডেট সময় ১১:৪৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩
- / ১৭১ বার পড়া হয়েছে
বিশ্বজুড়ে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার (৩ মার্চ) ঢাকার বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’। এদিন বেলা সাড়ে ৯টার দিকে ২২৩ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।
এদিন ২০১ স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই। ১৯২ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা। ১৮৯ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে মায়ানমার ইয়াঙ্গুন। ১৮৯ স্কোর নিয়ে তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়। এ ছাড়া একই সময়ে একিউআই স্কোর ১৮৩ স্কোর নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি।
১৭৭ স্কোর নিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই। ১৭৩ স্কোর নিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ। ১৭১ স্কোর নিয়ে নবম স্থানে রয়েছে চীনের উহান। ১৬৯ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে চীনের চেংডু। এর আগে ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার বায়ু ছিল ‘অস্বাস্থ্যকর’ বা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায়। প্রায় প্রতিদিনই দূষিত বায়ুর তালিকায় শীর্ষে ছিল ঢাকা।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়। তথ্যমতে, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ সহনীয় হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।
একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘বিপজ্জনক’ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর। ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালির সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি।