০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

বিএনপি দেশের শান্তি ও উন্নয়ন বিনষ্ট করতে চায়: রংপুরে তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০২৩
  • / ৯৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচির মধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়ার কর্মসূচি রয়েছে। সংসদ ভেঙে দেওয়া মানে সাংবিধানিক সংকট তৈরি। বিএনপি সাংবিধানিক সংকট তৈরি করতে চায়। সেই সাংবিধানিক সংকটের সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, বিএনপির ২০১৩ ও ১৪ সালে যে সমর্থন ছিল, তা এখন আর নেই। বিএনপি এখন পা ভাঙা দল। তারা শান্তি বিনষ্ট করতে চায়, তারা উন্নয়ন আর সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়। বিএনপির সেই চেষ্টা আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করা হবে ইনশাআল্লাহ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর শিল্পকলা একাডেমি হলরুমে রংপুর বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উদ্যোগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বুধবার দিনাজপুরের এক জনসভায় বিএনপির মহাসচিব ফখরুল সাহেব ঘোষণা দিয়েছেন, তারা আর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিবেন না। তারা এখন অশান্তির কর্মসূচি দিবেন। তারা আবারও জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করতে চায়। দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তারা আমাদের হুমকি দিতে চায়। তাদের হুমকি সাগরে মারা গেছে, তাদের হুমকি গরুর হাটে মারা গেছে।

তাদের বলতে চাই, আওয়ামী লীগের কর্মীদের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করলে আমরা আর বসে থাকব না, দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছি। এই আওয়ামী লীগ এখন শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২ আগস্ট রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। সেই সমাবেশের নাম সমাবেশ হলেও এই সমাবেশ হবে মহাসমাবেশ, জনসমুদ্রের সমাবেশ। কেননা রংপুর হলো সজিব ওয়াজেদ জয়ের জন্মস্থান। তাই সমাবেশকে করতে জনসমুদ্রের সমাবেশে রূপান্তর করতে হবে। এ জন্য পাড়া-মহল্লায় প্রধানমন্ত্রীর আসার খবরটি প্রচার করতে হবে। বর্ণাঢ্যভাবে প্রচার-প্রচারণা করতে হবে। সেই সাথে রংপুর বিভাগের উন্নয়ন নিয়ে প্রচার করতে হবে। সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে হবে।

বিশেষ বর্ধিত সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান এমপির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, সদস্য এডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও এডভোকেট সফুরা বেগম রুমি।

এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহীম, হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডিউক চৌধুরীসহ রংপুর বিভাগের এমপিগণ।

বিশেষ এই বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ইদ্রিস আলী, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এ কে এম ছায়াদত হোসেন বকুল, যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল, জয়নাল হোসেন, এডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেম, সাবেক সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রেজাউল করিম রাজুসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলা, উপজেলা, পৌর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপি দেশের শান্তি ও উন্নয়ন বিনষ্ট করতে চায়: রংপুরে তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় ১০:০০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০২৩

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচির মধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়ার কর্মসূচি রয়েছে। সংসদ ভেঙে দেওয়া মানে সাংবিধানিক সংকট তৈরি। বিএনপি সাংবিধানিক সংকট তৈরি করতে চায়। সেই সাংবিধানিক সংকটের সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, বিএনপির ২০১৩ ও ১৪ সালে যে সমর্থন ছিল, তা এখন আর নেই। বিএনপি এখন পা ভাঙা দল। তারা শান্তি বিনষ্ট করতে চায়, তারা উন্নয়ন আর সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়। বিএনপির সেই চেষ্টা আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করা হবে ইনশাআল্লাহ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর শিল্পকলা একাডেমি হলরুমে রংপুর বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উদ্যোগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বুধবার দিনাজপুরের এক জনসভায় বিএনপির মহাসচিব ফখরুল সাহেব ঘোষণা দিয়েছেন, তারা আর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিবেন না। তারা এখন অশান্তির কর্মসূচি দিবেন। তারা আবারও জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করতে চায়। দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তারা আমাদের হুমকি দিতে চায়। তাদের হুমকি সাগরে মারা গেছে, তাদের হুমকি গরুর হাটে মারা গেছে।

তাদের বলতে চাই, আওয়ামী লীগের কর্মীদের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করলে আমরা আর বসে থাকব না, দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছি। এই আওয়ামী লীগ এখন শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২ আগস্ট রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। সেই সমাবেশের নাম সমাবেশ হলেও এই সমাবেশ হবে মহাসমাবেশ, জনসমুদ্রের সমাবেশ। কেননা রংপুর হলো সজিব ওয়াজেদ জয়ের জন্মস্থান। তাই সমাবেশকে করতে জনসমুদ্রের সমাবেশে রূপান্তর করতে হবে। এ জন্য পাড়া-মহল্লায় প্রধানমন্ত্রীর আসার খবরটি প্রচার করতে হবে। বর্ণাঢ্যভাবে প্রচার-প্রচারণা করতে হবে। সেই সাথে রংপুর বিভাগের উন্নয়ন নিয়ে প্রচার করতে হবে। সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে হবে।

বিশেষ বর্ধিত সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান এমপির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, সদস্য এডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও এডভোকেট সফুরা বেগম রুমি।

এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহীম, হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডিউক চৌধুরীসহ রংপুর বিভাগের এমপিগণ।

বিশেষ এই বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ইদ্রিস আলী, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এ কে এম ছায়াদত হোসেন বকুল, যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল, জয়নাল হোসেন, এডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেম, সাবেক সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রেজাউল করিম রাজুসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলা, উপজেলা, পৌর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।