তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অর্ধশত চেক ডিজঅনারের মামলা রয়েছে।
বিএসবি গ্লোবালের বাশার গ্রেপ্তার

- আপডেট সময় ০৫:৪১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
- / ৩২ বার পড়া হয়েছে
উচ্চশিক্ষার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান এম কে খায়রুল বাশারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার ১৪ জুলাই দুপুর ১টার দিকে তাকে ঢাকার ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মানিলন্ডারিং মামলায় খায়রুল বাশারকে গ্রেপ্তার করেছে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম টিম। তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় ৫০-৬০টি চেক ডিজঅনারের মামলা রয়েছে।”
খায়রুল বাশার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে গত ১৭ অক্টোবর ঢাকায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন একদল শিক্ষার্থী।
সিআইডি কর্মকর্তা আজাদ বলেন, “খায়রুল বাশার দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রী খন্দকার সেলিমা রওশন ও ছেলে আরশ ইবনে বাশারকে নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারণা চক্র গড়ে তোলেন।
বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়ার আশ্বাসের আড়ালে ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শত শত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এই চক্রটি।”
তিনি বলেন, চটকদার বিজ্ঞাপন, ভুয়া ভিসা প্রসেসিং, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া প্রতিনিধির নাম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে টাকা আদায় করা হত।
“তদন্তে দেখা যায়, প্রতারিত অনেক শিক্ষার্থীর নামে কোনো আবেদনই বিদেশি প্রতিষ্ঠানে করা হয়নি আবার অনেকেই বিদেশে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে বিপদের মধ্যে পড়েছেন।”
প্রাথমিক তদেন্তে এখন পর্যন্ত ৪৪৮ জন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের তথ্য পাওয়ার কথা জানান বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, “প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
ভুক্তভোগীদের অনেকেই চেক জালিয়াতি, প্রতারণার অভিযোগে গুলশানসহ বিভিন্ন থানায় মামলা করেছেন।
আজাদ বলেন, “সিআইডির অনুসন্ধানে জানা যায়, অভিযুক্তরা গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ নিজেদের নামে ও অন্যদের নামে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে উত্তোলন করে তা দিয়ে স্থাবর সম্পদ ক্রয়, ব্যবসা পরিচালনা, এবং অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তর করেন।”
‘প্রতারণা, অর্থ আত্মসাতের’ প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় সিআইডি গত ৪ মে গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা করে। এখন সেই মামলার তদন্ত করছে বলে জানান সিআইডি কর্মকর্তা আজাদ।
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম