০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
“আইনের শাসনের বদলে এখন চলছে আইনহীনতা, মব সন্ত্রাস, চরম দুর্নীতি এবং ব্যাপক চাঁদাবাজি,” বলেন হাসান তারিক।

বিচারাঙ্গনে ‘নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির বিক্ষোভ

নিঝুম আহমেদ - জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১২:৩০:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

সুপ্রিম কোর্টে এবং বিচার ব্যাবস্থায় ‘দুর্নীতি’ ও ‘নৈরাজ্যের’ অভিযোগ তুলে প্রতিকার দাবি করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি।

 

সুপ্রিম কোর্টে এবং বিচার ব্যাবস্থায় ‘দুর্নীতি’ ও ‘নৈরাজ্যের’ অভিযোগ তুলে প্রতিকার দাবি করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি।

বুধবার গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ দাবি তোলা হয় বলে সমিতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের এজলাসে বিচারকের উপস্থিতিতে ‘সহিংসতা, আদালত ব্যবস্থাপনায় সীমাহীন দুর্নীতি, বিচারক নিয়োগে দলীয় কোটা, স্বজনপ্রীতিসহ দেশের গোটা বিচার ব্যবস্থায় দুর্নীতি, অনিয়ম, নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদে এবং সুপ্রিম কোর্টসহ সারাদেশে বার ও বেঞ্চের মর্যাদা রক্ষার দাবিতে এ সমাবেশ ও বিক্ষোভ হয়েছে।

সংগঠনের প্রবীণ নেতা আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাসান তারিক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এবং ঢাকা বার শাখার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সুপ্রিম কোর্ট বার শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমাউন কবির, সুপ্রিম কোর্ট বার শাখার সহসভাপতি হাফিজুর রহমান, সুপ্রিম কোর্ট বার শাখার প্রশিক্ষণ সম্পাদক রাম চন্দ্র দাস, দপ্তর সম্পাদক ইমরান হোসেন।

সমাবেশে হাসান তারিক চৌধুরী বলেন, “সুপ্রিম কোর্টসহ সারাদেশে আদালত ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি এবং অনিয়ম সীমা ছাড়িয়ে গেছে। দেশের বিচার প্রার্থীগণ আশা করেছিল ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। বিচার ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার সাধিত হবে।

“অথচ, আইনের শাসনের বদলে এখন চলছে আইনহীনতা, মব সন্ত্রাস, চরম দুর্নীতি এবং ব্যাপক চাঁদাবাজি। বিচারক ও এটর্নি সার্ভিসের নিয়োগে মেধার বদলে স্বজনপ্রীতি এবং নানা ধরনের কোটার বিবেচনা

এখনও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করছে।”

‘অন্যায়ভাবে’ এবং ‘ঢালাওভাবে’ করা রাজনৈতিক মামলার আগাম জামিন বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

সর্বোচ্চ আদালতে বেঞ্চ অফিসার এবং জেলা আদালতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘দুর্নীতি’ সীমা ছাড়িয়ে গেছে অভিযোগ করেন হাসান তারিক চৌধুরী।

 

 

নিঝুম আহমেদ – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

“আইনের শাসনের বদলে এখন চলছে আইনহীনতা, মব সন্ত্রাস, চরম দুর্নীতি এবং ব্যাপক চাঁদাবাজি,” বলেন হাসান তারিক।

বিচারাঙ্গনে ‘নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির বিক্ষোভ

আপডেট সময় ১২:৩০:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

 

সুপ্রিম কোর্টে এবং বিচার ব্যাবস্থায় ‘দুর্নীতি’ ও ‘নৈরাজ্যের’ অভিযোগ তুলে প্রতিকার দাবি করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি।

বুধবার গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ দাবি তোলা হয় বলে সমিতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের এজলাসে বিচারকের উপস্থিতিতে ‘সহিংসতা, আদালত ব্যবস্থাপনায় সীমাহীন দুর্নীতি, বিচারক নিয়োগে দলীয় কোটা, স্বজনপ্রীতিসহ দেশের গোটা বিচার ব্যবস্থায় দুর্নীতি, অনিয়ম, নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদে এবং সুপ্রিম কোর্টসহ সারাদেশে বার ও বেঞ্চের মর্যাদা রক্ষার দাবিতে এ সমাবেশ ও বিক্ষোভ হয়েছে।

সংগঠনের প্রবীণ নেতা আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাসান তারিক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এবং ঢাকা বার শাখার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সুপ্রিম কোর্ট বার শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমাউন কবির, সুপ্রিম কোর্ট বার শাখার সহসভাপতি হাফিজুর রহমান, সুপ্রিম কোর্ট বার শাখার প্রশিক্ষণ সম্পাদক রাম চন্দ্র দাস, দপ্তর সম্পাদক ইমরান হোসেন।

সমাবেশে হাসান তারিক চৌধুরী বলেন, “সুপ্রিম কোর্টসহ সারাদেশে আদালত ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি এবং অনিয়ম সীমা ছাড়িয়ে গেছে। দেশের বিচার প্রার্থীগণ আশা করেছিল ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। বিচার ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার সাধিত হবে।

“অথচ, আইনের শাসনের বদলে এখন চলছে আইনহীনতা, মব সন্ত্রাস, চরম দুর্নীতি এবং ব্যাপক চাঁদাবাজি। বিচারক ও এটর্নি সার্ভিসের নিয়োগে মেধার বদলে স্বজনপ্রীতি এবং নানা ধরনের কোটার বিবেচনা

এখনও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করছে।”

‘অন্যায়ভাবে’ এবং ‘ঢালাওভাবে’ করা রাজনৈতিক মামলার আগাম জামিন বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

সর্বোচ্চ আদালতে বেঞ্চ অফিসার এবং জেলা আদালতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘দুর্নীতি’ সীমা ছাড়িয়ে গেছে অভিযোগ করেন হাসান তারিক চৌধুরী।

 

 

নিঝুম আহমেদ – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম