কিম লিখেছেন, “জাংকুক নিজের শারীরিক কষ্ট সয়েছিলেন কারণ সংগীতের প্রতি তিনি নিষ্ঠাবান এবং ভক্তদের ভালোবাসার প্রতিদানও দিতে চান।”
বিটিএসের জাংকুক যে কারণে ‘তারকা’

- আপডেট সময় ০৬:০৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
- / ১৪ বার পড়া হয়েছে

দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় ব্যান্ড বিটিএসের গায়ক জাংকুক ২৮ বছর বয়সেই কীভাবে ‘তারকা’ বনে গেলেন, সেই গল্প বলেছেন লেখক মনিকা কিম।
দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় ব্যান্ড বিটিএসের গায়ক জাংকুক ২৮ বছর বয়সেই কীভাবে ‘তারকা’ বনে গেলেন, সেই গল্প বলেছেন লেখক মনিকা কিম।
মনিকা কিম ভোগ সাময়িকীর সাবেক ফ্যাশন সম্পাদক; তার লেখা ‘দ্য মিনিং অব জাংকুক: দ্য ট্রায়াম্প অব বিটিএস অ্যান্ড দ্য মেকিং অব আ গ্লোবাল পপস্টার’ বইটির শিরোনামই বলে দেয় দুই মলাটের পাতায় পাতায় জাংকুকের জীবন ছুঁতে চেয়েছেন এই লেখক।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে বইটির কিছু অংশ ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায়। সেখান থেকে জাংকুকের শিল্পী হয়ে ওঠার তাড়না, কঠোর পরিশ্রম এবং ভক্তদের প্রতি তার আবেগের গল্প জানা গেছে।
মনিকা কিম মনে করেন, কে-পপ ব্যান্ড বিটিএসের দারুণ জনপ্রিয়তা জাংকুকের উত্থানের পেছেন ‘জিয়নকাঠি’ হিসেবে কাজ করলেও, গায়কের নিষ্ঠা, পরিশ্রম এবং পরাজয়ের কাছে হার না মানার মানসিকতা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।
শ্বাসকষ্ট নিয়ে পারফর্মে জাংকুক
বইয়ে জাংকুকের আত্মকথন এসেছে এভাবে, “আমার শরীর খারাপ ছিল, গান গাইতে শরীর সায় দিচ্ছিল না। তবু আমি শুধু এটা ভেবে পারফর্ম করেছি যে এই ভক্তদের সঙ্গে অনেক দিন দেখা হবে না”
জাংকুক ২০১৬ সালে তার এক কনসার্টের কথা বর্ণনা করেছেন এভাবে। ওই অনুষ্ঠানের দিন জাংকুক ভুগেছিলেন শ্বাসকষ্টে।
কিম লিখেছেন, “জাংকুক নিজের শারীরিক কষ্ট সয়েছিলেন কারণ সংগীতের প্রতি তিনি নিষ্ঠাবান এবং ভক্তদের ভালোবাসার প্রতিদানও দিতে চান।”

এক ভক্ত মন্তব্য করেছেন, “জাংকুক আসলে আমাদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চায়। কিন্তু আমি মাঝেমধ্যে ভাবি, ভক্তরা তাদের ইচ্ছা অনিচ্ছা যেন তার ওপর চাপিয়ে না দেয় বরং তার প্রচেষ্টার প্রশংসা করুক।”
“জাংকুক যেন নিজেকে আমাদের চাওয়াগুলোর সামনে নিজেকে হারিয়ে না ফেলেন। নিজের জন্যেও তাকে ভাবতে হবে”, বলেন এক ভক্ত।
আরেক ভক্ত লিখেছেন, “এই ঘটনাগুলোকে রোমান্টিক করে দেখার কিছুই নেই। এমন অবস্থায় জাংকুককে কখনোই পারফর্ম করার অনুমতি দেওয়া উচিত হয়নি কর্তৃপক্ষের।”
প্রস্তাব ফিরিয়েছিলেন তিনটি বড় ব্র্যান্ডের
কিম তার বইতে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন ডিজাইনার ক্যালভিন ক্লেইন জাংকুককে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে পাওয়ার পরপরই বিক্রির রেকর্ড ভেঙে যায়।
অথচ এর আগেও অন্তত তিনটি বড় ফ্যাশন হাউস জাংকুককে পাওয়ার জন্য মরিয়া ছিল, কিন্তু গায়ক তাদের ফিরিয়ে দেন।
বিটিএসে যোগ দেওয়ার সময়ে জাংকুক ছিলেন কিশোর। এই কয়েক বছরে জাংকুকের ফ্যাশন, তার খাদ্যাভ্যাস, তার জীবন যাপনের ধরন ভক্তদের এতটাই প্রভাবিত করেছে যে, তার সবকিছুই ‘আইকনিক’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
মনিকা কিম লিখেছেন, “জাংকুক তেমনই একজন মানুষ, যিনি আমাকে সত্যি বিস্মিত করেছেন। তিনি সুন্দর এবং পরিপূর্ণ।”
এর আগে নিজেকে আরও ‘পরিণত’ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেতে চাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিলেন তিনি।
বছরখানেক আগে ‘সেভেন’ নামের একটি একক গান প্রকাশ করেন জাংকুক।
এছাড়া প্রশিক্ষণে যাওয়ার আগে ২০২২ সালে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্বকাপের অফিশিয়াল গান ‘ড্রিমারস’ পরিবেশন করে প্রশংসা কুড়ান জাংকুক।
দক্ষিণ কোরিয়ার বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে বাড়ি ফিরেছেন বিটিএসের ছয় সদস্যের সঙ্গে জাংকুকও। এরিমধ্যে তারা নতুন অ্যালবামের প্রস্তুতি শুরু করেছেন, যা আসবে আগামী বছর। পাশপাশি গান নিয়ে বিশ্ব সফরেরও পরিকল্পনা করেছে ব্যান্ডটি।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে লেখক মনিকা কিম (ভোগ সাময়িকীর সাবেক ফ্যাশন সম্পাদক)
বিনোদন ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম