“আশা করি পারকি সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন নির্মাণাধীন পর্যটন কমপ্লেক্সের কাজ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে,” বলেন তিনি।
বিমানে ‘নৈরাজ্য’ দূর করতে চান নতুন চেয়ারম্যান

- আপডেট সময় ০৯:০৯:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামে পারকি সৈকতে পর্যটন কমপ্লেক্স পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন চেয়ারম্যান এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
‘নৈরাজ্য’ দূর করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে ব্যবসা সফল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করার কথা বলেছেন সংস্থার নতুন চেয়ারম্যান এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাকে যেদিন বিমান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়, সেদিন আমি বলেছিলাম, কেবল দায়িত্ব পেয়েছি কিছুই বলতে পারব না। আজকেও একই কথা।
“যখন আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তখন আমি ঢাকায়ও ছিলাম না। আমি তখন চট্টগ্রামে। তাই, আমি এখন কিচ্ছু বলতে পারব না।”
সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে এবং বিমানকে একটি সচল ব্যবসা সফল প্রতিষ্ঠান হিসেবে তৈরি করতে সামগ্রিক চেষ্টা করব। আপনারা দোয়া করবেন।”
মঙ্গলবার বিমানের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিমান মন্ত্রণালয়।
পরের দিন বুধবার চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় পারকি সমুদ্র সৈকতে পর্যটন কমপ্লেক্সের কাজ পরিদর্শনে আসেন। এ সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিমানের নতুন চেয়ারম্যান শেখ বশীরউদ্দিন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা বলেন, “আশা করি পারকি সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন নির্মাণাধীন পর্যটন কমপ্লেক্সের কাজ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। এই কমপ্লেক্সকে আধুনিক ও আকর্ষণীয় রূপে সাজানো হয়েছে। এই কমপ্লেক্সে পর্যটকদের জন্য রয়েছে সকল সুবিধা—নিরাপদ অবকাশ যাপন, আধুনিক আবাসন ব্যবস্থা, বিনোদনকেন্দ্র, পার্কিং, শিশুদের খেলার স্থান, রেস্টুরেন্ট, ওয়াশ ব্লকসহ অত্যাধুনিক অবকাঠামো।”
এই পর্যটন কমপ্লেক্সে যারা আসবেন তারা সমুদ্রের মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি সুপরিকল্পিত অবকাশ পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন বলে মন্তব্য করে তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, “এখানে রয়েছে পারিবারিক ও গ্রুপ ভিত্তিক বিশ্রামাগার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য মুক্তমঞ্চ এবং জলক্রীড়া সুবিধা। স্থানীয় অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এ প্রকল্প।”
তবে পারকি সৈকত এলাকায় মিঠা পানির ব্যাপক সংকট থাকার বিষয়টিও তুলে ধরেন উপদেষ্টা।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “প্রকল্পটি নেওয়ার সময় ঠিকভাবে পানির সম্ভাব্যতা যাছাই না করার কারণেই অনেক দূর থেকে পানি টেনে আনতে হচ্ছে। এসব নানা কারণে প্রকল্পের কাজে ধীর গতি দেখা দিয়েছে।
“এরইমধ্যে প্রকল্প পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের সঙ্গে বসে আমরা একটা সময় নির্দিষ্ট করেছি যে, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই সবধরনের অবকাঠামোগত কাজ শেষ হবে।”
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম নাসরীন জাহান বলেন, “পারকি সমুদ্রসৈকতের পর্যটন কমপ্লেক্স একটি সম্ভাবনাময় প্রকল্প। এতে স্থানীয়দের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং টুরিস্ট পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রয়োজন।”
সেখানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, প্রকল্প পরিচালক মাজেদুর রহমান, আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপক ত্রিপুরা।