০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তের বিরোধপূর্ণ ওই এলাকাটিতে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

বিরোধপূর্ণ সীমান্তে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনাদের গুলি বিনিময়

মিজানুর রহমান খান - বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১০:৩৪:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

 

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনারা সীমান্তের একটি বিরোধপূর্ণ অংশে গুলি বিনিময় করেছে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে উভয়পক্ষ জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে থাই সামরিক বাহিনী অভিযোগ করেছে, সীমান্তের ওই অংশে খামের মন্দির তা মোয়ান থোমের কাছে কম্বোডিয়ার সেনারা প্রথম গুলি ছুড়েছে। ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ সেনা মোতায়েনের আগে কম্বোডিয়া ওই এলাকায় একটি নজরদারি ড্রোন পাঠিয়েছিল।

অপরদিকে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, থাই সেনারা প্রথম গুলিটি ছুড়েছে আর কম্বোডিয়ার সেনারা আত্মরক্ষার্থে জবাব দিয়েছে।

মন্ত্রণালয়টির এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, থাই সেনারা বিনা উস্কানিতে আক্রমণ করেছে আর কম্বোডিয়ার সেনারা নিজেদের রক্ষার জন্য প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

মুখপাত্র মালি সওচেতা বলেন, “তাদের সেনারা থাই সেনাদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাদের ভূখণ্ডের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাদের অধিকার প্রয়োগ করেছে। থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছে।”

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সীমান্তের এই এলাকাটিতে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতের এই সংঘাতের কয়েক ঘণ্টা আগে বুধবার থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার নিযুক্ত তাদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায়। বিরোধপূর্ণ সীমান্তে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরেকটি স্থল মাইন বিস্ফোরণে দ্বিতীয় এক থাই সেনা আহত হওয়ার পর এ পদক্ষেপ নেয় তারা।

ওই সময় ব্যাংকক জানায়, তারা কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করবে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ওই সীমান্তে সম্প্রতি স্থল মাইন পাতা হয়েছে বলে অভিযোগ থাইল্যান্ডের। অপরদিকে কম্বোডিয়া এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে বর্ণনা করেছে।

কম্বোডিয়ায় কয়েক দশক আগে হওয়া গৃহযুদ্ধের পর থেকে এখানে ওখানে বহু স্থল মাইন ছড়িয়ে আছে। মাইন অপসারণকারী দলের তথ্য অনুযায়ী, এসব মাইনের সংখ্যা ২০ লাখেরও বেশি হবে।

এর আগে চলতি বছরের মে মাসে সীমান্তে দুই পক্ষের সেনাদের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতের ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় এক কম্বোডীয় সেনা নিহত হয়। এরপর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে তলানিতে নেমে যায়।

তারপর থেকে গত দুই মাস ধরে উভয় দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে আর সীমান্ত বরাবর সেনা শক্তি বৃদ্ধি করেছে।

সূত্র :  বার্তাসংস্থা রয়টার্স / বিবিসি

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তের বিরোধপূর্ণ ওই এলাকাটিতে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

বিরোধপূর্ণ সীমান্তে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনাদের গুলি বিনিময়

আপডেট সময় ১০:৩৪:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

 

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনারা সীমান্তের একটি বিরোধপূর্ণ অংশে গুলি বিনিময় করেছে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে উভয়পক্ষ জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে থাই সামরিক বাহিনী অভিযোগ করেছে, সীমান্তের ওই অংশে খামের মন্দির তা মোয়ান থোমের কাছে কম্বোডিয়ার সেনারা প্রথম গুলি ছুড়েছে। ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ সেনা মোতায়েনের আগে কম্বোডিয়া ওই এলাকায় একটি নজরদারি ড্রোন পাঠিয়েছিল।

অপরদিকে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, থাই সেনারা প্রথম গুলিটি ছুড়েছে আর কম্বোডিয়ার সেনারা আত্মরক্ষার্থে জবাব দিয়েছে।

মন্ত্রণালয়টির এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, থাই সেনারা বিনা উস্কানিতে আক্রমণ করেছে আর কম্বোডিয়ার সেনারা নিজেদের রক্ষার জন্য প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

মুখপাত্র মালি সওচেতা বলেন, “তাদের সেনারা থাই সেনাদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাদের ভূখণ্ডের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাদের অধিকার প্রয়োগ করেছে। থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছে।”

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সীমান্তের এই এলাকাটিতে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতের এই সংঘাতের কয়েক ঘণ্টা আগে বুধবার থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার নিযুক্ত তাদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায়। বিরোধপূর্ণ সীমান্তে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরেকটি স্থল মাইন বিস্ফোরণে দ্বিতীয় এক থাই সেনা আহত হওয়ার পর এ পদক্ষেপ নেয় তারা।

ওই সময় ব্যাংকক জানায়, তারা কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করবে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ওই সীমান্তে সম্প্রতি স্থল মাইন পাতা হয়েছে বলে অভিযোগ থাইল্যান্ডের। অপরদিকে কম্বোডিয়া এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে বর্ণনা করেছে।

কম্বোডিয়ায় কয়েক দশক আগে হওয়া গৃহযুদ্ধের পর থেকে এখানে ওখানে বহু স্থল মাইন ছড়িয়ে আছে। মাইন অপসারণকারী দলের তথ্য অনুযায়ী, এসব মাইনের সংখ্যা ২০ লাখেরও বেশি হবে।

এর আগে চলতি বছরের মে মাসে সীমান্তে দুই পক্ষের সেনাদের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতের ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় এক কম্বোডীয় সেনা নিহত হয়। এরপর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে তলানিতে নেমে যায়।

তারপর থেকে গত দুই মাস ধরে উভয় দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে আর সীমান্ত বরাবর সেনা শক্তি বৃদ্ধি করেছে।

সূত্র :  বার্তাসংস্থা রয়টার্স / বিবিসি

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম