১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
আহমেদাবাদে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় একজনের বেঁচে থাকার খবর দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলেছে, ব্রিটিশ-ভারতীয় এ নাগরিক ‘১১এ নম্বর আসনে’ ছিলেন।

বিশাল শব্দের পরই বিধ্বস্ত হয়, বললেন মৃত্যুর দুয়ার থেকে বেঁচে ফেরা যাত্রী : রমেশ

নিউজ ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৯:৫৭:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বাস কুমার রমেশ। ছবি হিন্দুস্তান টাইমস

ভারতের আহমেদাবাদে ভয়াবহ উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় ২৪২ আরোহীর সবার প্রাণহানির খবরের মধ্যে অলৌকিকভাবে একজনের বেঁচে ফেরার খবর পাওয়া গেছে।

এনডিটিভি লিখেছে, ‘দুর্ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই’ এমন বক্তব্যের মধ্যেই আহমেদাবাদ পুলিশ একজনের বেঁচে ফেরার তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিশ্বাস কুমার রমেশ নামে ব্রিটিশ-ভারতীয় সেই নাগরিক উড়োজাহাজটির ১১এ নম্বর আসনে ছিলেন।

 

দুর্ঘটনার পর একটি ভিডিও ছড়িয়েছে, যেখানে তাকে হাঁটতে দেখা গেছে। তার সাদা টিশার্ট ও কালো ট্রাউজারে নোংরা দাগ লেগে আছে। পায়ে আঘাত পাওয়ার কারণে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন। তার পোশাকে রক্ত ও কালো দাগ লেগে থাকতে দেখা যায়।

আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক ১১এ আসনের যাত্রীকে জীবিত পাওয়ার তথ্য দিয়ে এএনআইকে বলেন, হাসপাতালে তাকে পাওয়া গেছে। তার চিকিৎসা চলছে।

ভারত ভ্রমণ শেষে যুক্তরাজ্যে ফিরছিলেন রমেশ। এয়ার ইনডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটিতে সঙ্গে তার ভাইও ছিলেন। দুর্ঘটনার পর সেই ভাইকে খুঁজছেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, তাদের সংবাদদাতারা হাসপাতালে রমেশের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি নিজের বোর্ডিং পাস তাদের দেখিয়েছেন। সেখানে তার নাম ও আসন নম্বর রয়েছে।

রমেশকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের ৩০ সেকেন্ড পর বিশাল শব্দ হয় এবং তারপরই সেটি বিধ্বস্ত হয়। সবকিছু খুব দ্রুত ঘটে গেছে।

বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার পরই দুর্ঘটনায় পড়ে।

ওই উড়োজাহাজে ২৩২ জন যাত্রী ও ১০ জন ক্রু ছিলেন বলে ভারতের সিভিল এভিয়েশন দপ্তর জানিয়েছে।

উড্ডয়নের পর এক পর্যায়ে আরও উপড়ে উঠতে ব্যর্থ হওয়ায় উড়োজাহাজটি নিচে নেমে আসে এবং বিমানবন্দরের কাছে একটি মেডিকেল হোস্টেলের উপর বিধ্বস্ত হয়। সেখানে অন্তত পাঁচ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

বিবিসি লিখেছে, ওই উড়োজাহাজে যাত্রীদের মধ্যে ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, একজন কানাডার ও ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক রয়েছে বলে জানিয়েছে এয়ার ইনডিয়া। বাকিরা সবাই ভারতীয় নাগরিক।

আহমেদাবাদের পুলিশপ্রধান বলছেন, উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় মনে হচ্ছে আরোহীদের কেউ বেঁচে নেই। বিবিসিকে তিনি বলেছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত তারা ২০৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন। তবে তারা সবাই উড়োজাহাজটির যাত্রী কিনা সেটি নিশ্চিত নয়।

কারণ উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে একটি মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের ভবনে এবং তাতে মেডিকেল ছাত্রদের প্রাণহানির খবরও পাওয়া গেছে।

আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তথ্যের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, রানওয়ে ২৩ থেকে বেলা দেড়টার কিছু সময় পর উড়োজাহাজটি বিমানবন্দর ছাড়ে। এরপরই সেটি ‘মে ডে’ সঙ্কেত দেয়, এরপর আর উড়োজাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

 

 

নিউজ ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

আহমেদাবাদে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় একজনের বেঁচে থাকার খবর দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলেছে, ব্রিটিশ-ভারতীয় এ নাগরিক ‘১১এ নম্বর আসনে’ ছিলেন।

বিশাল শব্দের পরই বিধ্বস্ত হয়, বললেন মৃত্যুর দুয়ার থেকে বেঁচে ফেরা যাত্রী : রমেশ

আপডেট সময় ০৯:৫৭:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

ভারতের আহমেদাবাদে ভয়াবহ উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় ২৪২ আরোহীর সবার প্রাণহানির খবরের মধ্যে অলৌকিকভাবে একজনের বেঁচে ফেরার খবর পাওয়া গেছে।

এনডিটিভি লিখেছে, ‘দুর্ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই’ এমন বক্তব্যের মধ্যেই আহমেদাবাদ পুলিশ একজনের বেঁচে ফেরার তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিশ্বাস কুমার রমেশ নামে ব্রিটিশ-ভারতীয় সেই নাগরিক উড়োজাহাজটির ১১এ নম্বর আসনে ছিলেন।

 

দুর্ঘটনার পর একটি ভিডিও ছড়িয়েছে, যেখানে তাকে হাঁটতে দেখা গেছে। তার সাদা টিশার্ট ও কালো ট্রাউজারে নোংরা দাগ লেগে আছে। পায়ে আঘাত পাওয়ার কারণে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন। তার পোশাকে রক্ত ও কালো দাগ লেগে থাকতে দেখা যায়।

আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক ১১এ আসনের যাত্রীকে জীবিত পাওয়ার তথ্য দিয়ে এএনআইকে বলেন, হাসপাতালে তাকে পাওয়া গেছে। তার চিকিৎসা চলছে।

ভারত ভ্রমণ শেষে যুক্তরাজ্যে ফিরছিলেন রমেশ। এয়ার ইনডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটিতে সঙ্গে তার ভাইও ছিলেন। দুর্ঘটনার পর সেই ভাইকে খুঁজছেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, তাদের সংবাদদাতারা হাসপাতালে রমেশের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি নিজের বোর্ডিং পাস তাদের দেখিয়েছেন। সেখানে তার নাম ও আসন নম্বর রয়েছে।

রমেশকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের ৩০ সেকেন্ড পর বিশাল শব্দ হয় এবং তারপরই সেটি বিধ্বস্ত হয়। সবকিছু খুব দ্রুত ঘটে গেছে।

বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার পরই দুর্ঘটনায় পড়ে।

ওই উড়োজাহাজে ২৩২ জন যাত্রী ও ১০ জন ক্রু ছিলেন বলে ভারতের সিভিল এভিয়েশন দপ্তর জানিয়েছে।

উড্ডয়নের পর এক পর্যায়ে আরও উপড়ে উঠতে ব্যর্থ হওয়ায় উড়োজাহাজটি নিচে নেমে আসে এবং বিমানবন্দরের কাছে একটি মেডিকেল হোস্টেলের উপর বিধ্বস্ত হয়। সেখানে অন্তত পাঁচ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

বিবিসি লিখেছে, ওই উড়োজাহাজে যাত্রীদের মধ্যে ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, একজন কানাডার ও ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক রয়েছে বলে জানিয়েছে এয়ার ইনডিয়া। বাকিরা সবাই ভারতীয় নাগরিক।

আহমেদাবাদের পুলিশপ্রধান বলছেন, উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় মনে হচ্ছে আরোহীদের কেউ বেঁচে নেই। বিবিসিকে তিনি বলেছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত তারা ২০৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন। তবে তারা সবাই উড়োজাহাজটির যাত্রী কিনা সেটি নিশ্চিত নয়।

কারণ উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে একটি মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের ভবনে এবং তাতে মেডিকেল ছাত্রদের প্রাণহানির খবরও পাওয়া গেছে।

আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তথ্যের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, রানওয়ে ২৩ থেকে বেলা দেড়টার কিছু সময় পর উড়োজাহাজটি বিমানবন্দর ছাড়ে। এরপরই সেটি ‘মে ডে’ সঙ্কেত দেয়, এরপর আর উড়োজাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

 

 

নিউজ ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম