০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিশ্ব ইজতেমার খাবারের অর্থ লুট করেছেন জাহাঙ্গীর

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৫:৩১:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩
  • / ১১৩ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অশোভন মন্তব্যসহ নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত নাম জাহাঙ্গীর আলম। মেয়র হিসেবে তিন বছর দায়িত্ব পালনকালে লুটপাটের অজস্র অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এমনকি বিশ্ব ইজতেমার খাবারের অর্থ লুট করারও অভিযোগ রয়েছে এই সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে। এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়ে দলে ফেরার মাত্র চার মাসের মাথায় আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার হলেন জাহাঙ্গীর। দলের এমন সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র থাকাকালিন নিজের পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়া, কাজ না হওয়ার পরও বিল পরিশোধ করা, হাটবাজার ইজারায় অনিয়ম, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বরাদ্দকৃত অর্থ ও বিশ্ব ইজতেমার খাবারের অর্থ লুটসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে।

এতো সব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে গত সোমবার (১৫ মে) বিকেলে জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া বুধবার (১৭ মে) দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎসহ ভুয়া বাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে দুদকে। শুধু তাই নয়, নিজের স্ত্রীকেও মানসিক নির্যাতন করতেন জাহাঙ্গীর আলম। এমন অভিযোগে গত ৩০ এপ্রিল তাকে তালাক নোটিশ পাঠান তার স্ত্রী কাজী রাজিয়া সুলতানা। এতে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন, অত্যাচার ও নিয়মিত ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ ‍তোলেন তিনি।

এদিকে জাহাঙ্গীরকে বহিষ্কারের খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন গাজীপুর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এটা পুরো গাজীপুরবাসীর জন্য অত্যন্ত আনন্দের খবর। তিনি মেয়র হওয়ার পর থেকে গাজীপুরের ঠিকাদার কাজ পায়নি। অর্থের বিনিময়ে অনৈতিকভাবে ঢাকার বড় বড় ঠিকাদারদের কাজ দেওয়া হয়েছে। এমন অযোগ্য এবং অদক্ষ মেয়রের কারণে যেই স্বপ্ন নিয়ে সিটি করপোরেশনটি করা হয়েছিল, সেই কাঙ্ক্ষিত সেবা নগরবাসী পায়নি। সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের এমন কর্মকাণ্ডকে দুঃখজনক উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আজমত উল্লাহ খান বলেন, সাবেক মেয়রের যেসমস্ত কর্মকাণ্ডের চিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

এগুলো আমাদের কারও জন্যই সুখবর নয়। আমি যদি মেয়র নির্বাচিত হই, তবে নগরবাসীকে সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত সিটি করপোরেশন উপহার দেব। এর আগে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম ২০২১ সালের নভেম্বরে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ হারিয়েছিলেন। পরবর্তীতে দলের ২২তম সম্মেলনে নিজ আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে ক্ষমা করা হয়েছিল। কিন্তু বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে মাত্র চার মাসের মাথায় স্থায়ী বহিষ্কার হলেন তিনি।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্ব ইজতেমার খাবারের অর্থ লুট করেছেন জাহাঙ্গীর

আপডেট সময় ০৫:৩১:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অশোভন মন্তব্যসহ নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত নাম জাহাঙ্গীর আলম। মেয়র হিসেবে তিন বছর দায়িত্ব পালনকালে লুটপাটের অজস্র অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এমনকি বিশ্ব ইজতেমার খাবারের অর্থ লুট করারও অভিযোগ রয়েছে এই সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে। এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়ে দলে ফেরার মাত্র চার মাসের মাথায় আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার হলেন জাহাঙ্গীর। দলের এমন সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র থাকাকালিন নিজের পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়া, কাজ না হওয়ার পরও বিল পরিশোধ করা, হাটবাজার ইজারায় অনিয়ম, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বরাদ্দকৃত অর্থ ও বিশ্ব ইজতেমার খাবারের অর্থ লুটসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে।

এতো সব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে গত সোমবার (১৫ মে) বিকেলে জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া বুধবার (১৭ মে) দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎসহ ভুয়া বাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে দুদকে। শুধু তাই নয়, নিজের স্ত্রীকেও মানসিক নির্যাতন করতেন জাহাঙ্গীর আলম। এমন অভিযোগে গত ৩০ এপ্রিল তাকে তালাক নোটিশ পাঠান তার স্ত্রী কাজী রাজিয়া সুলতানা। এতে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন, অত্যাচার ও নিয়মিত ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ ‍তোলেন তিনি।

এদিকে জাহাঙ্গীরকে বহিষ্কারের খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন গাজীপুর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এটা পুরো গাজীপুরবাসীর জন্য অত্যন্ত আনন্দের খবর। তিনি মেয়র হওয়ার পর থেকে গাজীপুরের ঠিকাদার কাজ পায়নি। অর্থের বিনিময়ে অনৈতিকভাবে ঢাকার বড় বড় ঠিকাদারদের কাজ দেওয়া হয়েছে। এমন অযোগ্য এবং অদক্ষ মেয়রের কারণে যেই স্বপ্ন নিয়ে সিটি করপোরেশনটি করা হয়েছিল, সেই কাঙ্ক্ষিত সেবা নগরবাসী পায়নি। সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের এমন কর্মকাণ্ডকে দুঃখজনক উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আজমত উল্লাহ খান বলেন, সাবেক মেয়রের যেসমস্ত কর্মকাণ্ডের চিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

এগুলো আমাদের কারও জন্যই সুখবর নয়। আমি যদি মেয়র নির্বাচিত হই, তবে নগরবাসীকে সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত সিটি করপোরেশন উপহার দেব। এর আগে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম ২০২১ সালের নভেম্বরে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ হারিয়েছিলেন। পরবর্তীতে দলের ২২তম সম্মেলনে নিজ আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে ক্ষমা করা হয়েছিল। কিন্তু বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে মাত্র চার মাসের মাথায় স্থায়ী বহিষ্কার হলেন তিনি।