সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের জন্য প্রতিশ্রুত ৫০ লাখ টাকার পুরস্কারের চেক গত অক্টোবর মাস থেকেই প্রস্তুত আছে বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। তার দাবি, বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও বাফুফে চেক নেওয়ার ব্যবস্থা করছে না। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি গণমাধ্যমকে বলছেন, বাফুফে না নিলে তারা শিগগিরই চেক পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।

গত সেপ্টেম্বরে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জয় করে সাবিনা খাতুনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল। নারী সাফে বাংলাদেশের প্রথম ট্রফি এটি। স্মরণীয় সেই সাফল্যের পর সাফজয়ী মেয়েদের জন্য পুরস্কার ঘোষণার জোয়ার বয়ে যায় দেশজুড়ে। বিসিবিও তাতে সামিল হয়ে দলের জন্য ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। তবে সেই অর্থ এখনও পৌঁছায়নি সাবিনাদের হাতে।

বিসিবি সভাপতি বুধবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, তারা কয়েক মাস ধরে চেক তৈরি করে রাখলেও বাফুফের কাছ থেকে সময় মেলেনি। অক্টোবর মাসে চেক রেডি করা আছে, নামে নামে… ওরা নিতে আসে না তো। বারবার বলা হচ্ছে…। ৮-৯ দিন আগেও তাদেরকে ফোন করা হয়েছে যে, ‘ভাই একটা তারিখ দেন, আসেন, কিছু নেন। ওরা তো নেয় না, কী করব…। তবে এই ব্যাপারে আরও ভালো বলতে পারবে সুজন (বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন)।’

প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন পরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সামনে বাফুফের কাছ থেকে সময় না পেলে তারা নিজেরাই চেক পৌঁছে দেবেন। ‘আমাদের বোর্ড সভাপতির একটা কমিটমেন্ট ছিল ৫০ লাখ টাকা খেলোয়াড়দের দেওয়ার ব্যাপারে। সেভাবেই বাফুফের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আসলে খেলোয়াড়দের অ্যাভেইল অ্যাবিলিটি এবং তাদের কাছে চেক তুলে দেওয়ার যে ইচ্ছে আমাদের ছিল, সেটা মিলছিল না বলেই হয়তো দেরিটা হচ্ছিল।’

‘আমরা প্রস্তুত ছিলাম তিন-চার মাস আগে থেকেই এবং চেকও প্রস্তত ছিল। সেটা আমরা যোগাযোগ করেছি এবং সাম্প্রতিক সময়েও আমরা কথা বলেছি। উনারা সুবিধাজনক একটা সময় দিলে আমরা চেকগুলো হস্তান্তর করে দেব। অথবা যদি তাও না হয়, উনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা চেকগুলো পৌঁছে দেব।’বিসিবির প্রধান নির্বাহী বললেন, ঈদের আগেই মেয়েদের কাছে চেক পৌঁছে দেওয়ার জোর চেষ্টা করবেন তারা।