১১:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘বৃদ্ধ মা-বাবার যত্ন নেওয়া সন্তানদের সামাজিক ও আইনগত দায়িত্ব’

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৭:৪৮:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৭৬ বার পড়া হয়েছে

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বৃদ্ধ বাবা-মা ও অভিভাবকের যত্ন নেওয়া সন্তানদের সামাজিক ও আইনগত দায়িত্ব। অসহায় মা-বাবার ভরণপোষণ না দেওয়া বা তাদের রাস্তায় ফেলে চলে যাওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। শনিবার (২৯ এপ্রিল) মিরপুরের দক্ষিণ পাইকপাড়ায় ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ পরিদর্শনকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রত্যেক সন্তানের উচিত বাবা-মা যেমনই হোক, যতদিন বেঁচে থাকেন তাদের সেবা করা ও সাধ্যমতো যতটুকু সম্ভব দেখাশোনা করা। আমাদের দেশে সাধারণত মানুষ এটাই করে থাকে এবং আমাদের সরকার এ বিষয়ে আইন প্রণয়ন করেছে। যারা এটি করে না তারা একদিকে সামাজিক অন্যায় করছে অন্যদিকে রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী গুরুতর অপরাধ করছে। এই অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য।

এ সময় ড. হাছান মাহমুদ ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ এর প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সমাদ্দারের প্রশংসা করেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, মিল্টন সমাদ্দার যে কাজটি করছেন সেটি অসাধারণ কাজ। আমি দেশের একজন নাগরিক ও সরকারের মন্ত্রী হিসেবে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং অভিনন্দন জানাচ্ছি। ইতোমধ্যেই তাকে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি ও উৎসাহ দেওয়ার জন্য যুব পুরস্কার এবং সমাজকল্যাণ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তাকে নানানভাবে সহায়তা করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে আরও সহায়তা করা হবে। আমি মনে করি, তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আরও অনেকেই এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসবে। মন্ত্রী আশ্রমের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে সেখানকার বাসিন্দাদের খোঁজখবর নেন।

তাদের হাতে উপহারসামগ্রী তুলে দেন এবং চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সমাদ্দারের হাতে আর্থিক সহায়তার একটি চেক তুলে দেন। মিল্টন সমাদ্দার বলেন, ২০১৪ সালে একজন অসহায় বৃদ্ধকে নিজের বাসায় নিয়ে আসার পর থেকে মনের তাগিদে আমি এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা করি। বর্তমানে আশ্রমে ১৫ জন অনাথ শিশু, ২০ জন বিশেষ শিশু-কিশোর এবং ১৩৫ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা অবস্থান করছেন।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

‘বৃদ্ধ মা-বাবার যত্ন নেওয়া সন্তানদের সামাজিক ও আইনগত দায়িত্ব’

আপডেট সময় ০৭:৪৮:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বৃদ্ধ বাবা-মা ও অভিভাবকের যত্ন নেওয়া সন্তানদের সামাজিক ও আইনগত দায়িত্ব। অসহায় মা-বাবার ভরণপোষণ না দেওয়া বা তাদের রাস্তায় ফেলে চলে যাওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। শনিবার (২৯ এপ্রিল) মিরপুরের দক্ষিণ পাইকপাড়ায় ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ পরিদর্শনকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রত্যেক সন্তানের উচিত বাবা-মা যেমনই হোক, যতদিন বেঁচে থাকেন তাদের সেবা করা ও সাধ্যমতো যতটুকু সম্ভব দেখাশোনা করা। আমাদের দেশে সাধারণত মানুষ এটাই করে থাকে এবং আমাদের সরকার এ বিষয়ে আইন প্রণয়ন করেছে। যারা এটি করে না তারা একদিকে সামাজিক অন্যায় করছে অন্যদিকে রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী গুরুতর অপরাধ করছে। এই অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য।

এ সময় ড. হাছান মাহমুদ ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ এর প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সমাদ্দারের প্রশংসা করেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, মিল্টন সমাদ্দার যে কাজটি করছেন সেটি অসাধারণ কাজ। আমি দেশের একজন নাগরিক ও সরকারের মন্ত্রী হিসেবে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং অভিনন্দন জানাচ্ছি। ইতোমধ্যেই তাকে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি ও উৎসাহ দেওয়ার জন্য যুব পুরস্কার এবং সমাজকল্যাণ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তাকে নানানভাবে সহায়তা করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে আরও সহায়তা করা হবে। আমি মনে করি, তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আরও অনেকেই এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসবে। মন্ত্রী আশ্রমের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে সেখানকার বাসিন্দাদের খোঁজখবর নেন।

তাদের হাতে উপহারসামগ্রী তুলে দেন এবং চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সমাদ্দারের হাতে আর্থিক সহায়তার একটি চেক তুলে দেন। মিল্টন সমাদ্দার বলেন, ২০১৪ সালে একজন অসহায় বৃদ্ধকে নিজের বাসায় নিয়ে আসার পর থেকে মনের তাগিদে আমি এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা করি। বর্তমানে আশ্রমে ১৫ জন অনাথ শিশু, ২০ জন বিশেষ শিশু-কিশোর এবং ১৩৫ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা অবস্থান করছেন।