বেইজিংয়ে বন্যার সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে বাসিন্দাদের ফুলে ফেঁপে ওঠা নদীগুলো থেকে দূরে থাকতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।
বেইজিংয়ে ভারি বৃষ্টি, বন্যায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু

- আপডেট সময় ০২:৫৩:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
- / ৩৪ বার পড়া হয়েছে
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় কয়েকদিন ধরে চলা ভারি বৃষ্টিতে দেখা দেওয়া বন্যা, ভূমিধসসহ বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম এসব খবর জানিয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সিসিটিভির বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে চীনের উত্তরাঞ্চলে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে আর তাতে বন্যা ও ভূমিধসের মতো বিপর্যয় ঘটছে।
বেইজিংয়ের প্রতিবেশী হেবেই প্রদেশে ভূমিধসের এক ঘটনায় চারজন নিহত ও আরও আটজন নিখোঁজ রয়েছেন।
সোমবার ২৮ জুলাই বেইজিংয়ের আশেপাশে বৃষ্টির তীব্রতা বেড়ে যায়। বেইজিংয়ের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য এলাকা মিয়ুনে হড়কা বান, ভূমিধসে ২৮ জনের মৃত্যু হয়। উত্তরাঞ্চলীয় আরেক এলাকা ইয়ানকিংয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।

প্রবল বৃষ্টির কারণে বহু সড়কপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৩৬টি গ্রাম বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে মিয়ুন থেকে সরিয়ে নেওয়া প্রায় ১৭ হাজার বাসিন্দাও আছেন।
সামাজিক মাধ্যমে আসা ভিডিও ফুটেজগুলোতে দেখা গেছে, ঘোলা বাদামি রঙের পানি মিয়ুনের আবাসিক এলাকার ভেতর দিয়ে তীব্র গতিতে বয়ে যাচ্ছে, সঙ্গে অনেকগুলো গাড়ি ভেসে যাচ্ছে। পানির স্রোতের ধাক্কায় বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ছে আর রাস্তাগুলো প্রায় নদীর রূপ নিয়েছে।
সোমবার ২৮ জুলাই বেইজিং বন্যার সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে বাসিন্দাদের ফুলে ফেঁপে ওঠা নদীগুলো থেকে দূরে থাকতে বলেছে। নগরীটির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র শিলাবৃষ্টির সর্বোচ্চ সতর্কতা রেড অ্যালার্ট জারি করে রাতে তীব্র বৃষ্টি হতে পারে আর তাতে হঠাৎ বন্যা, কাদার স্রোত বয়ে যাওয়ার ও ভূমিধসের ‘অতি উচ্চ ঝুঁকি’ আছে বলে সতর্ক করেছে।

সোমবার ২৮ জুলাই স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় কর্তৃপক্ষ স্কুলগুলো বন্ধ রাখার আদেশ দেয়। শহরের সব পার্ক, পর্যটন স্থানগুলোও বন্ধ রাখতে বলে। পাশাপাশি গ্রামে গিয়ে অবকাশ কাটানো ও ক্যাম্পসাইটগুলোকে তাদের কার্যক্রম স্থগিত রাখার আদেশ দেয়।
সিসিটিভির ভাষ্য অনুযায়ী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সোমবার বলেছেন, এই ভারি বৃষ্টিপাত ও তাতে সৃষ্ট বন্যা ও অন্যান্য ভূতাত্ত্বিক বিপর্যয়ে বেইজিংয়ে, উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ হেবেই, জিলিন ও শ্যানডংয়ে ‘উল্লেখযোগ্য হতাহত ও সম্পদ হানি’ হয়েছে।
যারা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন তাদের খুঁজে বের করে উদ্ধার করতে, ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ও হতাহতের সংখ্যা যতোটা সম্ভব কম রাখতে ‘সর্বাত্মক প্রচেষ্টা’ চলাতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্র : চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সিসিটিভির বরাত দিয়ে সিএনএন / ছবি: রয়টার্স
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম