০৪:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
“কাঁচামরিচের সরবরাহ কম, তাই দামও বেশি। সামনে দাম কমবে আরও,” বলেন সবজি বিক্রেতা হাসান।

বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম, কাঁচা মরিচ এখনো চড়া

মইদুল হাসান - জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৯:৪৪:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

 

এক সপ্তাহের ব্যবধানে সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। তবে ব্রয়লার ও দেশি মুরগির দাম আগের মতই স্থিতিশীল রয়েছে।

তবে চড়তে থাকা কাঁচামরিচের দাম গেল সপ্তাহের তুলনায় কমলেও এখনো চড়াই আছে। যদিও গেল সপ্তাহের চেয়ে কেজি প্রতি ৮০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়।

বিক্রেতাদের দাবি, কাঁচামরিচের যোগান কম থাকার কারণে এর দাম এখনো বেশি।

শুক্রবার ঢাকার মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ সংলগ্ন কাঁচাবাজার, কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির দামও আগের মতই চড়া।

আর দাম বেড়ে চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। বড় মাছের দাম স্থিতিশীল থাকলেও কোনো কোনো ছোট মাছের দাম বেড়েছে।

পেঁয়াজের বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। বড় রসুনের দাম কমলেও বেড়েছে ছোট রসুনের। আদা ও আলু দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

শিয়া মসজিদ সংলগ্ন কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ হাসান বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কাঁচা মরিচের কেজি ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম আগে আরও বেশি ছিল। কাঁচামরিচের সরবরাহ কম, তাই দামও বেশি। সামনে দাম কমবে আরও।”

 

দাম বেড়েছে সোনালি মুরগির

মোহাম্মদপুর এলাকার তিনটি বাজারে সোনালি মুরগি হচ্ছে কেজি ৩১০ টাকা থেকে ৩৩০ টাকা পর্যন্ত দরে, যা গেল সপ্তাহে ছিল ২৮০-২৯০ টাকা।

টাউন হল বাজারে সোনালি মুরগী কিনতে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বেসরকারি চাকরিজীবি আহমেদ কামাল। তিনি বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যখন-তখন মুরগির দাম বাড়ায় এরা। আগের সপ্তাহের থেকে কেজি ৩০ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।”

ব্রয়লার মুরগি আগের সপ্তাহের মত প্রতিকেজি ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে গেল সপ্তাহের মত ৩০০ টাকা কেজি দরে।

দেশি মুরগির দামেও নড়চড় হয়নি। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা দরে।

দেশি মুরগির ডিমের দামও স্থিতিশীল দেখা গেছে। গেল সপ্তাহের মত শুক্রবারও প্রতি ডজন বিক্রি হয়েছে ২৭০ টাকা টাকা দরে।

তবে প্রতি ডজন হাঁসের ডিম গেল সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা বেড়ে ২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কোয়েলের ডিমের দাম আগের সপ্তাহের মতই প্রতি ডজন ৪৫ টাকা।

খামারের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন ১২০ টাকা দরে; সাদা ডিমের ডজন এর চেয়ে ১০ টাকা কম। গেল সপ্তাহেও এ দরে বিক্রি হয়েছে খামারের ডিম।

 

ছোট রসুন বাড়তি, কমেছে পেঁয়াজের দাম

মোহাম্মদ এলাকার তিন বাজারে গেল সপ্তাহের তুলনায় পাকিস্তানি পেঁয়াজের দাম কমেছে। এদিন ৬০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে, গেল সপ্তাহে যা ছিল ৬৫ টাকা।

আদার দাম আগের সপ্তাহের মতই রয়েছে। মোটা ‘চীনা আদা’ ১৮০ টাকা এবং চিকন দেশি আদার ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বড় রসুনের দাম কমলেও বেড়েছে ছোট রসুনের। গেল সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৩০ টাকা কমে বড় রসুন বিক্রি হয় ২৪০ টাকা। তবে ছোট রসুন দাম আগের সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৬০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয় ১৮০ টাকা।

আর আলুর কেজি আগের মতই ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

সবজির দামে নড়চড় নেই

সবজির বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায় কোরবানির ঈদের পর থেকেই। সেটা কমে আসার লক্ষণ এখনও নেই।

ঢাকার এসব বাজারে দেখা যায়, ঢেঁড়সের কেজি আগের সপ্তাহের মত ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চিচিঙ্গা ও ঝিঙা ৭০, পটল ৬০ থেকে ৭০ ও ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে।

কাঁকরোল ৪০ টাকা ও কচুরমুখী ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

টমেটোর কেজি উঠে গেছে ১৬০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ১০০ টাকার নিচে ছিল।

এছাড়া গাজর ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে।

আকার ও প্রকারভেদে লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ৩০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহেও প্রায় একই ছিল।

 

ছোট মাছের দাম বাড়তি

দুই সপ্তাহ আগে মলা মাছের দাম কমার প্রবণতা দেখা গেলেও শুক্রবার বাড়তি দেখা যায়। বাজারগুলোতে প্রতিকেজি মলা মাছ বিক্রি হয় ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা দরে। পাবদা মাছের দামও প্রায় একই আছে। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়।

হেরফের দেখা যায়নি বড় টেংরা মাছের দামেও, প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই কেজি বা তার কাছাকাছি আকারের রুই মাছ প্রতিকেজি ৪২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি বা তার কাছাকাছি ওজনের রুই বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি দরে।

দুই কেজি বা তার কাছাকাছি ওজনের কাতল শুক্রবার ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ছোট আকারের বোয়াল ৪৫০ থেকে ৫০০, ছোট আইড় ৬৫০ থেকে ৭৫০, শিং ৪৫০, কাচকি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

 

মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

 

নিউজটি শেয়ার করুন

“কাঁচামরিচের সরবরাহ কম, তাই দামও বেশি। সামনে দাম কমবে আরও,” বলেন সবজি বিক্রেতা হাসান।

বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম, কাঁচা মরিচ এখনো চড়া

আপডেট সময় ০৯:৪৪:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

 

এক সপ্তাহের ব্যবধানে সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। তবে ব্রয়লার ও দেশি মুরগির দাম আগের মতই স্থিতিশীল রয়েছে।

তবে চড়তে থাকা কাঁচামরিচের দাম গেল সপ্তাহের তুলনায় কমলেও এখনো চড়াই আছে। যদিও গেল সপ্তাহের চেয়ে কেজি প্রতি ৮০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়।

বিক্রেতাদের দাবি, কাঁচামরিচের যোগান কম থাকার কারণে এর দাম এখনো বেশি।

শুক্রবার ঢাকার মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ সংলগ্ন কাঁচাবাজার, কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির দামও আগের মতই চড়া।

আর দাম বেড়ে চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। বড় মাছের দাম স্থিতিশীল থাকলেও কোনো কোনো ছোট মাছের দাম বেড়েছে।

পেঁয়াজের বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। বড় রসুনের দাম কমলেও বেড়েছে ছোট রসুনের। আদা ও আলু দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

শিয়া মসজিদ সংলগ্ন কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ হাসান বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কাঁচা মরিচের কেজি ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম আগে আরও বেশি ছিল। কাঁচামরিচের সরবরাহ কম, তাই দামও বেশি। সামনে দাম কমবে আরও।”

 

দাম বেড়েছে সোনালি মুরগির

মোহাম্মদপুর এলাকার তিনটি বাজারে সোনালি মুরগি হচ্ছে কেজি ৩১০ টাকা থেকে ৩৩০ টাকা পর্যন্ত দরে, যা গেল সপ্তাহে ছিল ২৮০-২৯০ টাকা।

টাউন হল বাজারে সোনালি মুরগী কিনতে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বেসরকারি চাকরিজীবি আহমেদ কামাল। তিনি বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যখন-তখন মুরগির দাম বাড়ায় এরা। আগের সপ্তাহের থেকে কেজি ৩০ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।”

ব্রয়লার মুরগি আগের সপ্তাহের মত প্রতিকেজি ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে গেল সপ্তাহের মত ৩০০ টাকা কেজি দরে।

দেশি মুরগির দামেও নড়চড় হয়নি। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা দরে।

দেশি মুরগির ডিমের দামও স্থিতিশীল দেখা গেছে। গেল সপ্তাহের মত শুক্রবারও প্রতি ডজন বিক্রি হয়েছে ২৭০ টাকা টাকা দরে।

তবে প্রতি ডজন হাঁসের ডিম গেল সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা বেড়ে ২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কোয়েলের ডিমের দাম আগের সপ্তাহের মতই প্রতি ডজন ৪৫ টাকা।

খামারের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন ১২০ টাকা দরে; সাদা ডিমের ডজন এর চেয়ে ১০ টাকা কম। গেল সপ্তাহেও এ দরে বিক্রি হয়েছে খামারের ডিম।

 

ছোট রসুন বাড়তি, কমেছে পেঁয়াজের দাম

মোহাম্মদ এলাকার তিন বাজারে গেল সপ্তাহের তুলনায় পাকিস্তানি পেঁয়াজের দাম কমেছে। এদিন ৬০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে, গেল সপ্তাহে যা ছিল ৬৫ টাকা।

আদার দাম আগের সপ্তাহের মতই রয়েছে। মোটা ‘চীনা আদা’ ১৮০ টাকা এবং চিকন দেশি আদার ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বড় রসুনের দাম কমলেও বেড়েছে ছোট রসুনের। গেল সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৩০ টাকা কমে বড় রসুন বিক্রি হয় ২৪০ টাকা। তবে ছোট রসুন দাম আগের সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৬০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয় ১৮০ টাকা।

আর আলুর কেজি আগের মতই ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

সবজির দামে নড়চড় নেই

সবজির বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায় কোরবানির ঈদের পর থেকেই। সেটা কমে আসার লক্ষণ এখনও নেই।

ঢাকার এসব বাজারে দেখা যায়, ঢেঁড়সের কেজি আগের সপ্তাহের মত ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চিচিঙ্গা ও ঝিঙা ৭০, পটল ৬০ থেকে ৭০ ও ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে।

কাঁকরোল ৪০ টাকা ও কচুরমুখী ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

টমেটোর কেজি উঠে গেছে ১৬০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ১০০ টাকার নিচে ছিল।

এছাড়া গাজর ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে।

আকার ও প্রকারভেদে লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ৩০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহেও প্রায় একই ছিল।

 

ছোট মাছের দাম বাড়তি

দুই সপ্তাহ আগে মলা মাছের দাম কমার প্রবণতা দেখা গেলেও শুক্রবার বাড়তি দেখা যায়। বাজারগুলোতে প্রতিকেজি মলা মাছ বিক্রি হয় ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা দরে। পাবদা মাছের দামও প্রায় একই আছে। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়।

হেরফের দেখা যায়নি বড় টেংরা মাছের দামেও, প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই কেজি বা তার কাছাকাছি আকারের রুই মাছ প্রতিকেজি ৪২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি বা তার কাছাকাছি ওজনের রুই বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি দরে।

দুই কেজি বা তার কাছাকাছি ওজনের কাতল শুক্রবার ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ছোট আকারের বোয়াল ৪৫০ থেকে ৫০০, ছোট আইড় ৬৫০ থেকে ৭৫০, শিং ৪৫০, কাচকি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

 

মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম