০৪:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার লক্ষ্যেই ইসলামাবাদ এ পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পর সেনাবাহিনীতে ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট বানাচ্ছে পাকিস্তান

মিজানুর রহমান খান - বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৫:২৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৪৫ বার পড়া হয়েছে

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে লাহোরে একটি নির্মাণাধীন ভবনে উড়ছে পাকিস্তানি পতাকা। ছবি: রয়টার্স

 

পারমাণবিক সংঘাত বাদে, সাধারণ যুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার তত্ত্বাবধানে সামরিক বাহিনীতে নতুন ইউনিট গঠন করতে যাচ্ছে পাকিস্তান।

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার লক্ষ্যেই ইসলামাবাদ এ পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

মে-তে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক সংঘাতের স্মরণে বুধবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ‘আর্মি রকেট ফোর্স’ গঠনের এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

দেশটির ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন ইসলামাবাদে এ অনুষ্ঠান হয়।

“ইউনিটটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সজ্জিত হবে,” শরিফ এমনটাই বলেছেন বলে তার কার্যালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা জোরদারে এই ইউনিট মাইলফলকের ভূমিকা পালন করবে, বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি এ সম্বন্ধে আর বিস্তারিত কিছু বলেননি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাকিস্তানের এক ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, নতুন বাহিনীটির নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা স্বতন্ত্র হবে এবং তারা প্রচলিত যে কোনো সংঘাত বা যুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন বা দেখভালেই নিয়োজিত থাকবে।

“ভারতকে লক্ষ্য ধরেই যে এটা করা হচ্ছে, তা স্পষ্ট,” বলেছেন তিনি।

প্রতিবেশী দুই দেশ ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই একে অপরকে হুমকি বিবেচনা করে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে ও অস্ত্রভাণ্ডার আধুনিকায়নে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকবার যুদ্ধও হয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে নয়া দিল্লি ও ইসলামাবাদের উত্তেজনা এখনও বিদ্যমান।

চলতি বছর এপ্রিলে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এক সন্ত্রাসী হামরায় ২৬ বেসামরিক নিহত হওয়ার পর পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।

ভারত ওই হামলায় জড়িত সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগসাজশ আছে বলে অভিযোগ করে এলেও ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করেছে।

এরই সূত্র ধরে মে মাসে দুই দেশ কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। চারদিনের এ সংঘর্ষে দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। পরে ডনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণায় সংঘাত থামে।

এ যুদ্ধবিরতির পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা পাকিস্তান স্বীকার করে এলেও নয়া দিল্লি বলছে, কোনো মধ্যস্থতাকারী নয়, বিবদমান দুই পক্ষের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রত্যক্ষ যোগাযোগের পর সংঘাতে বিরতি এসেছে।

 

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার লক্ষ্যেই ইসলামাবাদ এ পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পর সেনাবাহিনীতে ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট বানাচ্ছে পাকিস্তান

আপডেট সময় ০৫:২৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

 

পারমাণবিক সংঘাত বাদে, সাধারণ যুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার তত্ত্বাবধানে সামরিক বাহিনীতে নতুন ইউনিট গঠন করতে যাচ্ছে পাকিস্তান।

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার লক্ষ্যেই ইসলামাবাদ এ পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

মে-তে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক সংঘাতের স্মরণে বুধবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ‘আর্মি রকেট ফোর্স’ গঠনের এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

দেশটির ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন ইসলামাবাদে এ অনুষ্ঠান হয়।

“ইউনিটটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সজ্জিত হবে,” শরিফ এমনটাই বলেছেন বলে তার কার্যালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা জোরদারে এই ইউনিট মাইলফলকের ভূমিকা পালন করবে, বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি এ সম্বন্ধে আর বিস্তারিত কিছু বলেননি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাকিস্তানের এক ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, নতুন বাহিনীটির নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা স্বতন্ত্র হবে এবং তারা প্রচলিত যে কোনো সংঘাত বা যুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন বা দেখভালেই নিয়োজিত থাকবে।

“ভারতকে লক্ষ্য ধরেই যে এটা করা হচ্ছে, তা স্পষ্ট,” বলেছেন তিনি।

প্রতিবেশী দুই দেশ ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই একে অপরকে হুমকি বিবেচনা করে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে ও অস্ত্রভাণ্ডার আধুনিকায়নে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকবার যুদ্ধও হয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে নয়া দিল্লি ও ইসলামাবাদের উত্তেজনা এখনও বিদ্যমান।

চলতি বছর এপ্রিলে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এক সন্ত্রাসী হামরায় ২৬ বেসামরিক নিহত হওয়ার পর পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।

ভারত ওই হামলায় জড়িত সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগসাজশ আছে বলে অভিযোগ করে এলেও ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করেছে।

এরই সূত্র ধরে মে মাসে দুই দেশ কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। চারদিনের এ সংঘর্ষে দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। পরে ডনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণায় সংঘাত থামে।

এ যুদ্ধবিরতির পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা পাকিস্তান স্বীকার করে এলেও নয়া দিল্লি বলছে, কোনো মধ্যস্থতাকারী নয়, বিবদমান দুই পক্ষের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রত্যক্ষ যোগাযোগের পর সংঘাতে বিরতি এসেছে।

 

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম