ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সংঘাত এবং দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন।
ভারত ও পাকিস্তানের ওপর ‘প্রতিদিন’ নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র: রুবিও

- আপডেট সময় ১২:০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫
- / ৩৪ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘প্রতিটি দিনই’ ভারত ও পাকিস্তানের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।
দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক উত্তেজনা বৃদ্ধি ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধবিরতিতে উপনীত হতে সহায়তায় করার ট্রাম্পের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে রোববার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুবিও একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধবিরতি দ্রুত ভেঙে পড়তে পারে, এটি টিকিয়ে রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
গত ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে টানাপোড়েন চরমে পৌঁছায়।
দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চার দিন ধরে চলা সংঘাত মে মাসে একটি যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে শেষ হয়। ট্রাম্প দাবি করে আসছেন, তার হস্তক্ষেপেই ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।
পাকিস্তানও ট্রাম্পের এই দাবিকেই সমর্থন দিয়ে এসেছে এবং ট্রাম্পের মনোযোগ পাওয়ার জন্য তাকে কৃতিত্বও দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বলেন, “যুদ্ধবিরতির একটি জটিল বিষয় হল সেটি বজায় রাখা, যা খুবই কঠিন। আমরা প্রতিটি দিন পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কী ঘটছে তার ওপর নজর রাখছি।”
রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গ তুলে রুবিও বলেন, “একটি যুদ্ধবিরতি করার একমাত্র উপায় হল, উভয় পক্ষ একে অপরের দিকে গুলি ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে রাজি হওয়া। রাশিয়া এখনও তা করতে রাজি হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “যুদ্ধবিরতি খুব দ্রুত ভেঙে পড়তে পারে। বিশেষ করে ইউক্রেইনে সাড়ে তিন বছরের যুদ্ধের পর আমরা এখন যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছি।
“তবে আমি মনে করি না কেউ এ বিষয়ে দ্বিমত করবে যে, এখানে আমাদের লক্ষ্য কোনও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি করা নয়। আমাদের লক্ষ্য হল- একটি শান্তিচুক্তি করা, যাতে যুদ্ধ এখনও না থাকে আর ভবিষ্যতেও যুদ্ধ না হয়।”
ফক্স বিজনেসকে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে রুবিও ফের ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সংঘাত এবং দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকার প্রসঙ্গে কথা বলেন।
“আমি মনে করি, আমরা খুব সৌভাগ্যবান এবং ধন্য যে, আমাদের এমন একজন প্রেসিডেন্ট আছেন যিনি শান্তি ও শান্তি অর্জনকে তার প্রশাসনে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আমরা কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের ক্ষেত্রে এটি দেখেছি।
“আমরা ভারত-পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এটি দেখেছি। রুয়ান্ডা ও গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতেও এটি দেখেছি। আমরা বিশ্বজুড়ে শান্তি আনার যে কোনও সুযোগ পেলে, তা অনুসরণ করে যাব।”
মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম