০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
ব্রেক্সিটের পর এটিই কোনও দেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক চুক্তি। চুক্তিটি কার্যকর হতে সময় লাগতে পারে আরও একবছর।

ভারত-যুক্তরাজ্য ৬শ কোটি পাউন্ডের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই

মিজানুর রহমান খান - বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১২:২৯:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

নরেন্দ্র মোদী ও কিয়ার স্টারমার। ছবি: রয়টার্স।

 

তিন বছর ধরে চলা আলোচনার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার অবশেষে ৬০০ কোটি পাউন্ডের একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করেছেন।

চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে রপ্তানি ও বিনিয়োগের পথ আরও প্রসারিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্য ২০২০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) পর এটিই কোনও দেশের সঙ্গে তাদের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক চুক্তি।

চুক্তি সইয়ের পর প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, “ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি এটি। দীর্ঘদিন আলোচনার পর আমাদের সরকারই এটি বাস্তবায়ন করল।”

চুক্তিটিকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন স্টারমার। তিনি লেখেন, “ভারতের সঙ্গে একটি যুগান্তকারী চুক্তি হল। এর ফলে যুক্তরাজ্যে চাকরি, বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন হবে। হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে, ব্যবসার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হবে।”

ওদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী চুক্তিটিকে দুই দেশের ‘যৌথ সমৃদ্ধির রূপরেখা’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, “ভারতীয় পণ্যের জন্য যুক্তরাজ্যের বাজার খুলে যাবে, আবার ব্রিটিশ প্রযুক্তি পণ্য ভারতে সাশ্রয়ী দামে মিলবে।”

তিনি আরও বলেন, “আজ আমাদের সম্পর্কের এক ঐতিহাসিক দিন। বেশ কয়েক বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর, আজ দুই দেশ একটি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তি সই করেছে।”

বৃহস্পতিবার লন্ডনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মধ্যে বৈঠকের পর চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়।

দীর্ঘ আলোচনার পর গত ৬ মে ভারত এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা শেষ হয়। এবার মোদীর যুক্তরাজ্য সফরকালে সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হল।

বিবিসি জানায়, চুক্তিটি ভারতের মন্ত্রিসভা এ সপ্তাহের শুরুতেই অনুমোদন করেছে। তবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে চুক্তিটি এখনও অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। ফলে এটি কার্যকর হতে সময় লাগতে পারে আরও এক বছর।

কী আছে চুক্তিতে:

দ্বিপাক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্যচুক্তির ফলে ব্রিটিশ গাড়ি, হুইস্কি, চিকিৎসা যন্ত্র, এয়ারোস্পেস পার্টস, ল্যাম, সালমন ও কসমেটিকস রপ্তানিতে ভারতের শুল্ক উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।

যুক্তরাজ্য থেকে ভারতে পণ্য রপ্তানিতে গড় শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমে ৩ শতাংশে নামবে। ফলে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো সহজেই ভারতে পণ্য বিক্রি করতে পারবে।

ধাপে ধাপে রপ্তানি শুল্ক কমানোর প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে যুক্তরাজ্যের খাদ্য এবং পানীয় প্রস্তুতকারী খাত। এর মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ স্কচ হুইস্কি।

বর্তমানে স্কচ হুইস্কির উপর ভারতীয় বাজারে ১৫০ শতাংশ হারে শুল্ক নেওয়া হয়। নতুন চুক্তিতে এই শুল্ক প্রথম ধাপে কমিয়ে ৭৫ শতাংশ করা হবে। তারপর এক দশকের মধ্যে শুল্ক আরও কমিয়ে ৪০ শতাংশ করে দেওয়া হবে।

ওদিকে, যুক্তরাজ্যের বাজারে ভারতের বেশ কিছু কৃষিজাত এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য আমদানিতে কোনও শুল্ক লাগবে না। নতুন চুক্তির আওতায়, হলুদ, গোলমরিচ, এলাচের মতো কৃষিপণ্য এবং আমের শাঁস, আচার, ডালের মতো প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য ব্রিটিশ বাজারে বিনা শুল্কে প্রবেশ করতে পারবে।

পাশাপাশি ভারতীয় মৎস্যজীবীরাও উপকৃত হবেন। ভারতের চিংড়ি, টুনা মাছ-সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক খাদ্যপণ্য বিনা শুল্কে যুক্তরাজ্যের বাজারে আমদানি করা যাবে।

তাছাড়া, ভারত-যুক্তরাজ্য মুক্ত বাণিজ্যচুক্তির ফলে ব্রিটিশ বাজারে ভারতীয় বস্ত্র, জুতো, মূল্যবান রত্ন, গহনা, সামুদ্রিক খাবার এবং প্রযুক্তিগত পণ্য আরও বেশি করে পাওয়া যাবে।

কর্মী স্থানান্তর ও সামাজিক নিরাপত্তা:

চুক্তি অনুযায়ী, ভারত বা যুক্তরাজ্যে অস্থায়ীভাবে কর্মরত কর্মীদের শুধুমাত্র নিজ নিজ দেশে সামাজিক নিরাপত্তা ফি দিতে হবে। দুই দেশই একে “অভূতপূর্ব অগ্রগতি” হিসেবে দেখছে।

তবে কিছু সমালোচক আশঙ্কা করেছেন, এতে করে ব্রিটিশ শ্রমিকরা পিছিয়ে পড়তে পারেন। জবাবে ব্রিটিশ ব্যবসা সচিব জনাথন রেনল্ডস বলেন, “এতে কোনও পক্ষপাত নেই। বরং ভারতীয় কর্মীদের নিয়োগ খরচই বেশি, কারণ তাদের ভিসা ও স্বাস্থ্য ফি দিতে হয়।”

প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা সহযোগিতা:

চুক্তির আওতায় প্রতিরক্ষা, জলবায়ু, প্রযুক্তি, শিক্ষাক্ষেত্র এবং অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে যৌথ পরিকল্পনার ঘোষণা এসেছে। এছাড়া অপরাধ রেকর্ড ও গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানেও নতুন চুক্তি হয়েছে।

তবে আর্থিক ও আইনি খাতে যুক্তরাজ্যের প্রত্যাশিত প্রবেশাধিকার এখনও মেলেনি। বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলাদা আলোচনা চলছে।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া:

কনজারভেটিভ পার্টি দাবি করেছে, “এই চুক্তি সম্ভব হয়েছে ব্রেক্সিটের কারণেই।” তবে তারা সতর্ক করেছে, লেবার পার্টির ‘ইউনিয়ন চার্টার’ নীতির কারণে ব্যবসা ও বিনিয়োগে ভবিষ্যতে প্রভাব পড়তে পারে।

 

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

ব্রেক্সিটের পর এটিই কোনও দেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক চুক্তি। চুক্তিটি কার্যকর হতে সময় লাগতে পারে আরও একবছর।

ভারত-যুক্তরাজ্য ৬শ কোটি পাউন্ডের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই

আপডেট সময় ১২:২৯:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

 

তিন বছর ধরে চলা আলোচনার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার অবশেষে ৬০০ কোটি পাউন্ডের একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করেছেন।

চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে রপ্তানি ও বিনিয়োগের পথ আরও প্রসারিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্য ২০২০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) পর এটিই কোনও দেশের সঙ্গে তাদের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক চুক্তি।

চুক্তি সইয়ের পর প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, “ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি এটি। দীর্ঘদিন আলোচনার পর আমাদের সরকারই এটি বাস্তবায়ন করল।”

চুক্তিটিকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন স্টারমার। তিনি লেখেন, “ভারতের সঙ্গে একটি যুগান্তকারী চুক্তি হল। এর ফলে যুক্তরাজ্যে চাকরি, বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন হবে। হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে, ব্যবসার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হবে।”

ওদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী চুক্তিটিকে দুই দেশের ‘যৌথ সমৃদ্ধির রূপরেখা’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, “ভারতীয় পণ্যের জন্য যুক্তরাজ্যের বাজার খুলে যাবে, আবার ব্রিটিশ প্রযুক্তি পণ্য ভারতে সাশ্রয়ী দামে মিলবে।”

তিনি আরও বলেন, “আজ আমাদের সম্পর্কের এক ঐতিহাসিক দিন। বেশ কয়েক বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর, আজ দুই দেশ একটি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তি সই করেছে।”

বৃহস্পতিবার লন্ডনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মধ্যে বৈঠকের পর চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়।

দীর্ঘ আলোচনার পর গত ৬ মে ভারত এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা শেষ হয়। এবার মোদীর যুক্তরাজ্য সফরকালে সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হল।

বিবিসি জানায়, চুক্তিটি ভারতের মন্ত্রিসভা এ সপ্তাহের শুরুতেই অনুমোদন করেছে। তবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে চুক্তিটি এখনও অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। ফলে এটি কার্যকর হতে সময় লাগতে পারে আরও এক বছর।

কী আছে চুক্তিতে:

দ্বিপাক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্যচুক্তির ফলে ব্রিটিশ গাড়ি, হুইস্কি, চিকিৎসা যন্ত্র, এয়ারোস্পেস পার্টস, ল্যাম, সালমন ও কসমেটিকস রপ্তানিতে ভারতের শুল্ক উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।

যুক্তরাজ্য থেকে ভারতে পণ্য রপ্তানিতে গড় শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমে ৩ শতাংশে নামবে। ফলে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো সহজেই ভারতে পণ্য বিক্রি করতে পারবে।

ধাপে ধাপে রপ্তানি শুল্ক কমানোর প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে যুক্তরাজ্যের খাদ্য এবং পানীয় প্রস্তুতকারী খাত। এর মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ স্কচ হুইস্কি।

বর্তমানে স্কচ হুইস্কির উপর ভারতীয় বাজারে ১৫০ শতাংশ হারে শুল্ক নেওয়া হয়। নতুন চুক্তিতে এই শুল্ক প্রথম ধাপে কমিয়ে ৭৫ শতাংশ করা হবে। তারপর এক দশকের মধ্যে শুল্ক আরও কমিয়ে ৪০ শতাংশ করে দেওয়া হবে।

ওদিকে, যুক্তরাজ্যের বাজারে ভারতের বেশ কিছু কৃষিজাত এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য আমদানিতে কোনও শুল্ক লাগবে না। নতুন চুক্তির আওতায়, হলুদ, গোলমরিচ, এলাচের মতো কৃষিপণ্য এবং আমের শাঁস, আচার, ডালের মতো প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য ব্রিটিশ বাজারে বিনা শুল্কে প্রবেশ করতে পারবে।

পাশাপাশি ভারতীয় মৎস্যজীবীরাও উপকৃত হবেন। ভারতের চিংড়ি, টুনা মাছ-সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক খাদ্যপণ্য বিনা শুল্কে যুক্তরাজ্যের বাজারে আমদানি করা যাবে।

তাছাড়া, ভারত-যুক্তরাজ্য মুক্ত বাণিজ্যচুক্তির ফলে ব্রিটিশ বাজারে ভারতীয় বস্ত্র, জুতো, মূল্যবান রত্ন, গহনা, সামুদ্রিক খাবার এবং প্রযুক্তিগত পণ্য আরও বেশি করে পাওয়া যাবে।

কর্মী স্থানান্তর ও সামাজিক নিরাপত্তা:

চুক্তি অনুযায়ী, ভারত বা যুক্তরাজ্যে অস্থায়ীভাবে কর্মরত কর্মীদের শুধুমাত্র নিজ নিজ দেশে সামাজিক নিরাপত্তা ফি দিতে হবে। দুই দেশই একে “অভূতপূর্ব অগ্রগতি” হিসেবে দেখছে।

তবে কিছু সমালোচক আশঙ্কা করেছেন, এতে করে ব্রিটিশ শ্রমিকরা পিছিয়ে পড়তে পারেন। জবাবে ব্রিটিশ ব্যবসা সচিব জনাথন রেনল্ডস বলেন, “এতে কোনও পক্ষপাত নেই। বরং ভারতীয় কর্মীদের নিয়োগ খরচই বেশি, কারণ তাদের ভিসা ও স্বাস্থ্য ফি দিতে হয়।”

প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা সহযোগিতা:

চুক্তির আওতায় প্রতিরক্ষা, জলবায়ু, প্রযুক্তি, শিক্ষাক্ষেত্র এবং অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে যৌথ পরিকল্পনার ঘোষণা এসেছে। এছাড়া অপরাধ রেকর্ড ও গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানেও নতুন চুক্তি হয়েছে।

তবে আর্থিক ও আইনি খাতে যুক্তরাজ্যের প্রত্যাশিত প্রবেশাধিকার এখনও মেলেনি। বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলাদা আলোচনা চলছে।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া:

কনজারভেটিভ পার্টি দাবি করেছে, “এই চুক্তি সম্ভব হয়েছে ব্রেক্সিটের কারণেই।” তবে তারা সতর্ক করেছে, লেবার পার্টির ‘ইউনিয়ন চার্টার’ নীতির কারণে ব্যবসা ও বিনিয়োগে ভবিষ্যতে প্রভাব পড়তে পারে।

 

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম