এ হ্যাকিংয়ের কারণে ‘একাধিক গোপন তথ্যদাতার পরিচয় ফাঁস হয়ে যেতে পারে, যারা বিভিন্ন ফেডারেল আদালতের অপরাধ মামলায় জড়িত ছিলেন’।
মার্কিন আদালতের ডেটাবেইস হ্যাকিংয়ে রাশিয়া জড়িত?

- আপডেট সময় ০৬:৩২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৮ বার পড়া হয়েছে
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতের বিভিন্ন মামলার নথি শেয়ার ও সংরক্ষণের ডেটাবেইস সাইবার হামলার কবলে পড়েছে। প্রভাবশালী এক মার্কিন দৈনিকের প্রতিবেদন বলছে, এ হ্যাকিংয়ের সঙ্গে সম্ভবত রাশিয়া জড়িত।
গত সপ্তাহে এ হ্যাকিংয়ের খবর প্রথম প্রকাশ করে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম পলিটিকো। বুধবার মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর এক তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, মার্কিন আদালতে এ সাইবার হামলা চালানোর জন্য রাশিয়ার জড়িত থাকার বিষয়টি সন্দেহ করা হচ্ছে।
জুলাইয়ে এ সাইবার হামলার বিষয়টি চিহ্নিত করেছিল মার্কিন আদালতের প্রশাসনিক দপ্তর।
তবে এ ‘ধারাবাহিক ও পরিশীলিত সাইবার হামলা’ কারা চালিয়েছে ও এতে কী পরিমাণ তথ্য ফাঁস হয়েছে তা এখনও পুরোপুরি প্রকাশ করা হয়নি, সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তারাও তা পুরোপুরি জানেন না বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এনগ্যাজেট।
এ সাইবার আক্রমণে মার্কিন আদালতের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে একটি হচ্ছে, ‘কেইস ম্যানেজমেন্ট/ইলেকট্রনিক কেইস ফাইল’, যেটি আইনজীবী ও আদালতের কর্মীরা মামলার কাগজপত্র জমা দেওয়া ও সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করেন।
অন্যটি হচ্ছে, ‘পাবলিক অ্যাসেস টু কোর্ট ইলেকট্রিক রেকর্ডস’, এই সিস্টেমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সেখানে থাকা বিভিন্ন মামলার নথি সীমিত পরিসরে দেখতে পারেন।
বেনামী কর্মকর্তারা পলিটিকোকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাতটি অঙ্গরাজ্য বা ‘৮ম সার্কিটে’র ফেডারেল আদালতের প্রধান বিচারকদের এ হ্যাকিং সম্পর্কে জানানো হয়েছে। তবে কে বা কোন সংস্থা তাদের এ তথ্য দিয়েছে তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের এ ৮ম সার্কিটের মধ্যে রয়েছে আরকানস, আইওয়া, মিনেসোটা, মিসৌরি, নেবরাস্কা, নর্থ ও সাউথ ডেকোটা অঙ্গরাজ্য।
পলিটিকোর মূল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ হ্যাকিংয়ের কারণে ‘একাধিক গোপন তথ্যদাতার পরিচয় ফাঁস হয়ে যেতে পারে, যারা বিভিন্ন ফেডারেল আদালতের অপরাধ মামলায় জড়িত ছিলেন’।
এদিকে, নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রতিবেদনে লিখেছে, হ্যাকাররা যেসব ফাইল দেখেছে তার মধ্যে ‘নিউ ইয়র্ক সিটির কিছু মাঝারি স্তরের অপরাধ মামলা ও রুশ বা পূর্ব ইউরোপীয় মামলার নাম ছিল’।
তবে এ হ্যাকিংয়ের পেছনে আসলে কারা রয়েছে, রাশিয়ার কোনো গোয়েন্দা সংস্থা বা রাশিয়া জড়িত কি না সে সম্পর্কে তদন্তকারীরা এখনো নির্দিষ্ট করে কিছু প্রকাশ করেনি বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এনগ্যাজেট।
এবারই প্রথম নয়, এর আগেও সাইবার হামলার শিকার হয়েছে মার্কিন আদালতের ‘কেইস ম্যানেজমেন্ট/ইলেকট্রনিক কেইস ফাইল’-এর সিস্টেম। ২০২১ সালে সাইবার আক্রমণের পর এ সিস্টেমে নতুন নিরাপত্তাব্যবস্থা চালু করেছিল আদালত।
এবারও একই রকম ঘোষণা দিয়েছে আদালত। মার্কিন বিভিন্ন আদালতকে এখন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেসব মামলার ফাইল হ্যাকারদের আগ্রহের বিষয় হতে পারে সেগুলো এ আক্রান্ত সিস্টেম থেকে সরিয়ে নিতে।
এদিকে, কিছু অঙ্গরাজ্যের আদালত আরও কড়াকড়ি ব্যবস্থা নিয়েছে, যেখানে ভবিষ্যতে হ্যাকিং ঠেকাতে ‘কেইস ম্যানেজমেন্ট/ইলেকট্রনিক কেইস ফাইল’ সিস্টেমের ব্যবহার সীমিত করেছে কতৃপক্ষ।
প্রযুক্তি ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম