০১:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

মাহিকে কখনও রসালো আলাপ বা বদনাম করতে দেখিনি : শাওন

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৮:৪৩:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩
  • / ১১১ বার পড়া হয়েছে

ওমরাহ শেষে দেশে ফিরেই কারাগারে যেতে হয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি। তবে বিমানবন্দর থেকে নয় মাসের একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীকে এভাবে কারগারে প্রেরণের বিষয়ে অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

মাহি ইস্যুতে গুণী অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, মাহিয়া মাহিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। আমার পরিচালিত প্রথম ছবি ‘কৃষ্ণপক্ষ’তে কাজ করার সময় প্রায় ১ মাস দিন-রাত একসঙ্গে থেকেছি। শুটিং স্পটে দীর্ঘসময় একসাথে থাকলে মানুষের দোষ-গুণ মোটামুটি ৯০ ভাগ জানা হয়ে যায়। সেই জানা থেকে বলছি, মাহি একজন লক্ষী মেয়ে, ভালো মানুষ। আমি কখনও তাকে সহকর্মীদের নিয়ে রসালো আলাপ কিংবা বদনাম করতে দেখিনি। বরং শুটিং স্পটের সব শ্রেণীর কলাকুশলীদের সঙ্গে যথাযথ সম্মান দিয়েই কথা বলতে দেখেছি।

তিনি আরও লেখেন, আজ শুনলাম, মাহি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়েছে। এয়ারপোর্ট থেকে তার গ্রেপ্তারের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ঘোরাঘুরি করছে! আর সেই ছবির নিচে মন্তব্যকারীদের রুচির স্তর সম্বন্ধে তো বলে শেষ করা যাবে না! (যদিও সেলিব্রেটিদের ছবিতে কুৎসিত মন্তব্য, মিথ্যা অপবাদ কিংবা অসম্মানের হুমকির জন্য কোনো নিরাপত্তা আইন নেই!) শাওনের ভাষ্য, মাহিয়া মাহি যদি আইনের দৃষ্টিতে কোনো অন্যায় করে থাকেন, অবশ্যই তার তদন্ত চলুক।

তবে একজন নয় মাসের গর্ভবতী মা’কে কারাগারে প্রেরণ কিংবা তার জন্য রিমান্ডের আবেদন কোনোভাবেই কাম্য নয়। আইন রক্ষাকারী এবং প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কাছে অন্তঃসত্ত্বা মাহি ও তার অনাগত সন্তানের প্রতি ন্যায়সংগত ও সংবেদনশীল আচরণের অনুরোধ জানাচ্ছি। মাহির জামিনের খবর শুনে একই পোস্টে তিনি যুক্ত করেছেন, জামিন পেয়েছেন মাহিয়া মাহি। এই মানবিকতার জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

মাহিকে কখনও রসালো আলাপ বা বদনাম করতে দেখিনি : শাওন

আপডেট সময় ০৮:৪৩:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

ওমরাহ শেষে দেশে ফিরেই কারাগারে যেতে হয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি। তবে বিমানবন্দর থেকে নয় মাসের একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীকে এভাবে কারগারে প্রেরণের বিষয়ে অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

মাহি ইস্যুতে গুণী অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, মাহিয়া মাহিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। আমার পরিচালিত প্রথম ছবি ‘কৃষ্ণপক্ষ’তে কাজ করার সময় প্রায় ১ মাস দিন-রাত একসঙ্গে থেকেছি। শুটিং স্পটে দীর্ঘসময় একসাথে থাকলে মানুষের দোষ-গুণ মোটামুটি ৯০ ভাগ জানা হয়ে যায়। সেই জানা থেকে বলছি, মাহি একজন লক্ষী মেয়ে, ভালো মানুষ। আমি কখনও তাকে সহকর্মীদের নিয়ে রসালো আলাপ কিংবা বদনাম করতে দেখিনি। বরং শুটিং স্পটের সব শ্রেণীর কলাকুশলীদের সঙ্গে যথাযথ সম্মান দিয়েই কথা বলতে দেখেছি।

তিনি আরও লেখেন, আজ শুনলাম, মাহি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়েছে। এয়ারপোর্ট থেকে তার গ্রেপ্তারের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ঘোরাঘুরি করছে! আর সেই ছবির নিচে মন্তব্যকারীদের রুচির স্তর সম্বন্ধে তো বলে শেষ করা যাবে না! (যদিও সেলিব্রেটিদের ছবিতে কুৎসিত মন্তব্য, মিথ্যা অপবাদ কিংবা অসম্মানের হুমকির জন্য কোনো নিরাপত্তা আইন নেই!) শাওনের ভাষ্য, মাহিয়া মাহি যদি আইনের দৃষ্টিতে কোনো অন্যায় করে থাকেন, অবশ্যই তার তদন্ত চলুক।

তবে একজন নয় মাসের গর্ভবতী মা’কে কারাগারে প্রেরণ কিংবা তার জন্য রিমান্ডের আবেদন কোনোভাবেই কাম্য নয়। আইন রক্ষাকারী এবং প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কাছে অন্তঃসত্ত্বা মাহি ও তার অনাগত সন্তানের প্রতি ন্যায়সংগত ও সংবেদনশীল আচরণের অনুরোধ জানাচ্ছি। মাহির জামিনের খবর শুনে একই পোস্টে তিনি যুক্ত করেছেন, জামিন পেয়েছেন মাহিয়া মাহি। এই মানবিকতার জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ।