০৮:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

মির্জা ফখরুলের কড়া হুঁশিয়ারি

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৮:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩
  • / ৭০ বার পড়া হয়েছে

বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (২১ মে) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। তাছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এই সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করতে হবে, না হলে কারও অস্তিত্ব থাকবে না। তিনি বলেন, এই সরকার যখন আন্দোলন দেখে, তখন তা অন্যদিকে প্রবাহিত করতে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতিকে খুবলে খুবলে খাচ্ছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে না। কারণ, তারা তাদের মাথা বিক্রি করে দিয়েছে। একদিকে শাসকগোষ্ঠী, অন্যদিকে জনগণ। দেশের মানুষের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে সরকার। তারা অন্যায়ভাব র‌্যাব, পুলিশ ও দলীয় গুন্ডা দিয়ে জনগণের আন্দোলন দমাতে চায়। মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছিল, তখন আওয়ামী লীগ অনেকগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

কিন্তু আওয়ামী লীগ সেগুলো পূরণ না করে বরং দূরে সরে গেছে। তারা দুটি ভুয়া নির্বাচন করেছে। এই সরকার নির্বাচন ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, এই সরকারের অপকর্ম বলে শেষ করা যাবে না। তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের অবস্থা আরও খারাপ হবে। কোনো ভালো মানুষ আওয়ামী লীগে থাকতে পারেনি। মওলানা ভাসানীকে তারা বের করে দিয়েছে। এ ছাড়া আরও অনেকেই আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে গেছেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আব্দুস সালাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদত হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার আবিদুর রহমানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

মির্জা ফখরুলের কড়া হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় ০৮:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩

বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (২১ মে) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। তাছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এই সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করতে হবে, না হলে কারও অস্তিত্ব থাকবে না। তিনি বলেন, এই সরকার যখন আন্দোলন দেখে, তখন তা অন্যদিকে প্রবাহিত করতে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতিকে খুবলে খুবলে খাচ্ছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে না। কারণ, তারা তাদের মাথা বিক্রি করে দিয়েছে। একদিকে শাসকগোষ্ঠী, অন্যদিকে জনগণ। দেশের মানুষের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে সরকার। তারা অন্যায়ভাব র‌্যাব, পুলিশ ও দলীয় গুন্ডা দিয়ে জনগণের আন্দোলন দমাতে চায়। মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছিল, তখন আওয়ামী লীগ অনেকগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

কিন্তু আওয়ামী লীগ সেগুলো পূরণ না করে বরং দূরে সরে গেছে। তারা দুটি ভুয়া নির্বাচন করেছে। এই সরকার নির্বাচন ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, এই সরকারের অপকর্ম বলে শেষ করা যাবে না। তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের অবস্থা আরও খারাপ হবে। কোনো ভালো মানুষ আওয়ামী লীগে থাকতে পারেনি। মওলানা ভাসানীকে তারা বের করে দিয়েছে। এ ছাড়া আরও অনেকেই আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে গেছেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আব্দুস সালাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদত হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার আবিদুর রহমানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।