মীনা মিডিয়া এওয়ার্ড পেলেন ফারজানা বিনতে হোসাইন

- আপডেট সময় ০৭:২৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২
- / ৩২ বার পড়া হয়েছে
তারান্নুম শবনম : ‘‘মীনা মিডিয়া এওয়ার্ড ২০২২’’ এ সেরা সাংবাদিক হিসেবে সম্মাননা পেলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক ও লেখক ফারজানা বিনতে হোসাইন। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এবং মীনা মিডিয়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত এই সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি তার অনবদ্য কাজের জন্য পুরস্কৃত হন। তার প্রতিবেদন এবং সাংবাদিকতার মাধ্যমে শিশুর অধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার পেয়েছেন আর ১০ জন সাংবাদিন ও কর্মী।
ফারজানা বিনতে হোসাইন দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন এবং তার প্রতিবেদনে বিশেষভাবে শিশুদের প্রতি সহানুভূতি, উন্নয়ন এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের দিকগুলো ফুটে ওঠে। মীনা মিডিয়া এওয়ার্ড এক বিশেষ সম্মাননা, যা ইউনিসেফের উদ্যোগে প্রতিবছর সাংবাদিকদের শিশুদের অধিকার এবং উন্নয়ন বিষয়ে অবদান রাখার জন্য প্রদান করা হয়।
এ বছর এই পুরস্কারের জন্য ফারজানা নির্বাচিত হন তার ‘‘শিশুর স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় বৈষম্য’’ বিষয়ক প্রতিবেদনটির জন্য। তার প্রতিবেদনে বিভিন্ন সঠিক তথ্য এবং গবেষণালব্ধ বিষয়াদি তুলে ধরা হয়েছে যা সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে। ফারজানা বলেন, “এই পুরস্কার আমার কাজের প্রতি আমার দায়বদ্ধতাকেই আরও শক্তিশালী করেছে। শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং আমি আশা করি যে, আমাদের দেশেই আরও বেশি মানুষ এই ইস্যুতে সচেতন হবেন।”
রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে , পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফের বিভিন্ন প্রতিনিধি এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিকগণ। ফারজানা তার বক্তব্যে বলেন, “এমন একটি পুরস্কার পেয়ে আমি অত্যন্ত গর্বিত এবং এই সম্মাননা আমার দায়িত্বকে আরও কঠিন করে তুলেছে। আমি আমার কাজের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি শিশুর জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাব।”
ফারজানা বিনতে হোসাইনের এ ধরনের কর্মসূচি ও সামাজিক অবদানের জন্য আগেও একাধিক জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। তবে মীনা মিডিয়া এওয়ার্ড ২০২২ তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা অর্জন বলে মনে করছেন তার সহকর্মীরা।
এ পুরস্কারের মাধ্যমে ফারজানা বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এবং শিশুর অধিকার বিষয়ে তার ধারাবাহিক কাজ দেশের জনগণের মাঝে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করবে।