০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতির অবসরের সময় বাড়ানোর আবেদন

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৯:৩৮:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
  • / ৯০ বার পড়া হয়েছে

সুপ্রিম কোর্টের মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতিদের অবসরের সময়সীমা অন্যান্য বিচারপতিদের থেকে এক বছর বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ মে) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের ৮০ জন তরুণ আইনজীবী এ আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী বরাবর এ আবেদন করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট মো.বাচ্চু মিয়া, অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান, অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট বাহারুল আলম, অ্যাডভোকেট রাজু হাওলাদার পলাশ, অ্যাডভোকেট ফারজানা আক্তার ও অ্যাডভোকেট মো. শাহেদ সিদ্দিকীসহ ৮০ জন আইনজীবী আবেদনটি করেছেন।

আবেদনে বলা হয়, বাঙালি জাতির ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অধ্যায় হলো ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের ফলে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের জনগণ নিজের জীবনের বাজি ধরে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা।

দেশের যেসব সন্তান নিজের জীবনের মায়াকে তুচ্ছ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, জাতির সেসব সূর্য সন্তানদের বিভিন্নভাবে সম্মানিত করা হয়েছে। গণকর্মচারী অবসর (সংশোধনী) আইন, ২০১৩-এর ৪ ‘এ’ ধারা অনুযায়ী, সব মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারী অবসরের বয়স সাধারণ গণকর্মচারী থেকে এক বছর বেশি। অর্থাৎ রাষ্ট্র সব মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা প্রদান করলেও বিচারপতিদের ক্ষেত্রে এই সুবিধা নেই।

তাই তাদের ক্ষেত্রে একই মর্মে সুবিধার ব্যবস্থা করা উচিত বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশের সংবিধানের (পঞ্চদশ সংশোধন, ২০১১) ৯৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অবসরের বয়সসীমা বর্তমানে ৬৭ বছর। এ ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা বিচারকদের অবসরের বয়স এক বছর বেশি করার মাধ্যমে তাদেরকেও সম্মানিত করা যেতে পারে।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতির অবসরের সময় বাড়ানোর আবেদন

আপডেট সময় ০৯:৩৮:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

সুপ্রিম কোর্টের মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতিদের অবসরের সময়সীমা অন্যান্য বিচারপতিদের থেকে এক বছর বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ মে) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের ৮০ জন তরুণ আইনজীবী এ আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী বরাবর এ আবেদন করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট মো.বাচ্চু মিয়া, অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান, অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট বাহারুল আলম, অ্যাডভোকেট রাজু হাওলাদার পলাশ, অ্যাডভোকেট ফারজানা আক্তার ও অ্যাডভোকেট মো. শাহেদ সিদ্দিকীসহ ৮০ জন আইনজীবী আবেদনটি করেছেন।

আবেদনে বলা হয়, বাঙালি জাতির ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অধ্যায় হলো ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের ফলে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের জনগণ নিজের জীবনের বাজি ধরে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা।

দেশের যেসব সন্তান নিজের জীবনের মায়াকে তুচ্ছ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, জাতির সেসব সূর্য সন্তানদের বিভিন্নভাবে সম্মানিত করা হয়েছে। গণকর্মচারী অবসর (সংশোধনী) আইন, ২০১৩-এর ৪ ‘এ’ ধারা অনুযায়ী, সব মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারী অবসরের বয়স সাধারণ গণকর্মচারী থেকে এক বছর বেশি। অর্থাৎ রাষ্ট্র সব মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা প্রদান করলেও বিচারপতিদের ক্ষেত্রে এই সুবিধা নেই।

তাই তাদের ক্ষেত্রে একই মর্মে সুবিধার ব্যবস্থা করা উচিত বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশের সংবিধানের (পঞ্চদশ সংশোধন, ২০১১) ৯৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অবসরের বয়সসীমা বর্তমানে ৬৭ বছর। এ ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা বিচারকদের অবসরের বয়স এক বছর বেশি করার মাধ্যমে তাদেরকেও সম্মানিত করা যেতে পারে।