১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
রাতে একটা পরিকল্পনা করা হয় রুবি আক্তারের পরিবারকে শায়েস্তা করা হবে, বলছে র‌্যাব।

মুরাদনগরে মা ও ছেলেমেয়েকে হত্যা: যা বলল র‌্যাব-১১ -ছয়জনকে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৫:২৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লার মুরাদনগরে মা ও ছেলেমেয়েকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা।

 

কুমিল্লা মুরাদনগরের কড়ইবাড়ী এলাকায় মা ও ছেলেমেয়েকে পিটিয়ে হত্যার নেপথ্যে শুরুতে ‘মাদক কারবারের’ অভিযোগ উঠলেও ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে করা দাবিরই প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়েছে র‌্যাব।

ঘটনাটিতে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব বলছে, মোবাইল চুরির অভিযোগে গ্রাম্য সালিশে বোরহান নামে এক যুবককে মারধরের পর তিনি ‘নিখোঁজ’ হন। এ ঘটনায় বোরহানের বাবা জসীম সালিশকারীদের বিরুদ্ধে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি অভিযোগ করেন।

বোরহান নিহত রোকসানা বেগম ওরফে রুবির প্রতিবেশী। ফলে বোরহানের বাবার এ কাজের পেছনে রুবির ভূমিকা থাকতে পারে ধারণা করে রুবিদের ‘শায়েস্তা করতে’ পরিকল্পনামাফিক সালিশে যুক্তরা হামলা চালান।

ঢাকার কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন আলোচিত এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে এই তথ্য দিয়েছেন।

মুরাদনগরের বাজার থানার কড়ইবাড়ী গ্রামে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে একটি বাড়িতে মাদক কারবার ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে কিছু লোক হামলা চালায়।

এতে সেই বাড়ির খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা বেগম ওরফে রুবি (৫৩), তার ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও তাসপিয়া আক্তার ওরফে জোনাকি (২৯) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

আহত হন রুবির মেয়ে রুমা আক্তার (২৮)। তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন।

স্থানীয়দের দাবি, পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের কারণে এমন ঘটনা ঘটে।

তবে পরিবারের অন্য সদস্যরা মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

ঘটনার পর রুবির মেয়ে রিক্তা বেগম বাঙ্গরা বাজার থানায় ৩৮ জনের নামে ও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

এরপর শুক্রবার রাতে কুমিল্লার মুরাদনগরের আকবপুর এলাকা থেকে সবির আহমেদ (৪৮) ও মো. নাজিমউদ্দীন বাবুল (৫৬) নামে দুজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে সেনাবাহিনী।

 

 

সেই রাতেই কুমিল্লা ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সবমিলিয়ে আটজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

গ্রেপ্তাররা অন্যরা হলেন- মামলার ৩ নম্বর আসামি বাচ্চু মিয়া (৫৫), ৫ নম্বর আসামি রবিউল আওয়াল (৫৫), ৩৩ নম্বর আসামি দুলাল (৪৫) ও ঘটনায় ‘জড়িত’ থাকার অভিযোগে আতিকুর রহমান (৪২), বায়েজ মাস্টার (৪৩) ও আকাশ (২৪)।

এই ছয়জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে আসে র‌্যাব। সেখানে র‌্যাব কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন মোবাইল চুরির ঘটনা থেকে তিনজনকে হত্যার বর্ণনা দেন।

তিনি বলেন, “ঘটনার সূত্রপাত হয় পহেলা জুলাই একটি মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে। বোরহান নামে একজন স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষকের একটি মোবাইল চুরি করেন। সেই ঘটনা নিয়ে এলাকায় চোরকে মারধর করা হয়। সেটাকে নিয়ে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করেই পরের ঘটনা। এলাকাবাসী লোকজন ধরে বোরহানকে অনেক মারধর করে, মারধর করার পরে তার বাবাকে খবর দেওয়া হয়। এখন এই বোরহান কোথায় সেটার ট্রেস (অবস্থান) এখনও নাই। এর প্রেক্ষিতে বোরহানের বাবা থানায় একটি অভিযোগ করেন।”

র‌্যাব বলছে, বোরহানের বাড়ি রুবির মেয়ে নিহত জোনাকির স্বামী মনির হোসেনের বাড়ির পাশে। বোরহান চুরি করার পর ধরা পড়লে সেই হিসেবে তার বাবা রুবির কাছে সাহায্য চান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “সালিশে মারধরের পর বোরহানকে না পাওয়ায় সাহায্য চাইলে রুবিও ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হন। বাচ্চু মেম্বারের নেতৃত্বে চুরির ঘটনাকে সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। সেহেতু বাচ্চু মেম্বার ও বরিউলসহ চারজনের বিরুদ্ধে বোরহানের বাবা জসীম অভিযোগটি দায়ের করেন। এর ফলে যারা সালিশ করেছে তারা ক্ষিপ্ত হয়।”

সাজ্জাদ হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগের দিন ২ জুলাই বিষয়টি সালিশ করে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা হয়। গ্রামপর্যায়ে একটা মিটিং করা হয়, কিন্তু নিষ্পত্তি হয় না। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাতে একটা পরিকল্পনা করা হয় রুবি আক্তারের পরিবারকে শায়েস্তা করা হবে।

“রাতে রুবির ছেলে রাসেলকে ফোন করে ‘তোর বংশ নির্বংশ’ করে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ৩ জুলাই সকাল বেলা এলাকার চেয়ারম্যানসহ আরও কিছু ব্যক্তি বাচ্চু মেম্বার, রবিউল ভোরবেলা আসে। সকালে একটা জমায়েত হলে রুবি ও তার মেয়েকে ডাকা হয়, তর্কাতর্কির একপর্যায়ে তাদের গায়ে হাত দেওয়া হয়। হাতাহাতির ঘটনা থেকে এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে।”

এক প্রশ্নের জবাবে এ র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, “ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো যোগসাজশ আমরা পাইনি। মোবাইল চুরি, থানায় অভিযোগ দায়ের করা নিয়েই এ ঘটনা ঘটে।”

এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহলের তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, “যারা ইন্ধন দিয়েছে তাদের গ্রেপ্তার, অভিযান কার্যক্রম চলমান আছে। তবে সাধারণ মানুষকে হেনস্তা করা হচ্ছে না।

“যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তারাই এলাকা থেকে (সরে) গিয়েছে। যারা জড়িত নেই, তাদের এলাকা ছাড়ার তো প্রশ্নই আসে না।”

বিভিন্ন অভিযোগে নিহত রুবির নামে ১১টি ও ছেলের নামে নয়টি মামলার তথ্যও দিয়েছেন তিনি।

 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

রাতে একটা পরিকল্পনা করা হয় রুবি আক্তারের পরিবারকে শায়েস্তা করা হবে, বলছে র‌্যাব।

মুরাদনগরে মা ও ছেলেমেয়েকে হত্যা: যা বলল র‌্যাব-১১ -ছয়জনকে গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৫:২৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

 

কুমিল্লা মুরাদনগরের কড়ইবাড়ী এলাকায় মা ও ছেলেমেয়েকে পিটিয়ে হত্যার নেপথ্যে শুরুতে ‘মাদক কারবারের’ অভিযোগ উঠলেও ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে করা দাবিরই প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়েছে র‌্যাব।

ঘটনাটিতে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব বলছে, মোবাইল চুরির অভিযোগে গ্রাম্য সালিশে বোরহান নামে এক যুবককে মারধরের পর তিনি ‘নিখোঁজ’ হন। এ ঘটনায় বোরহানের বাবা জসীম সালিশকারীদের বিরুদ্ধে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি অভিযোগ করেন।

বোরহান নিহত রোকসানা বেগম ওরফে রুবির প্রতিবেশী। ফলে বোরহানের বাবার এ কাজের পেছনে রুবির ভূমিকা থাকতে পারে ধারণা করে রুবিদের ‘শায়েস্তা করতে’ পরিকল্পনামাফিক সালিশে যুক্তরা হামলা চালান।

ঢাকার কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন আলোচিত এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে এই তথ্য দিয়েছেন।

মুরাদনগরের বাজার থানার কড়ইবাড়ী গ্রামে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে একটি বাড়িতে মাদক কারবার ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে কিছু লোক হামলা চালায়।

এতে সেই বাড়ির খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা বেগম ওরফে রুবি (৫৩), তার ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও তাসপিয়া আক্তার ওরফে জোনাকি (২৯) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

আহত হন রুবির মেয়ে রুমা আক্তার (২৮)। তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন।

স্থানীয়দের দাবি, পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের কারণে এমন ঘটনা ঘটে।

তবে পরিবারের অন্য সদস্যরা মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

ঘটনার পর রুবির মেয়ে রিক্তা বেগম বাঙ্গরা বাজার থানায় ৩৮ জনের নামে ও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

এরপর শুক্রবার রাতে কুমিল্লার মুরাদনগরের আকবপুর এলাকা থেকে সবির আহমেদ (৪৮) ও মো. নাজিমউদ্দীন বাবুল (৫৬) নামে দুজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে সেনাবাহিনী।

 

 

সেই রাতেই কুমিল্লা ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সবমিলিয়ে আটজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

গ্রেপ্তাররা অন্যরা হলেন- মামলার ৩ নম্বর আসামি বাচ্চু মিয়া (৫৫), ৫ নম্বর আসামি রবিউল আওয়াল (৫৫), ৩৩ নম্বর আসামি দুলাল (৪৫) ও ঘটনায় ‘জড়িত’ থাকার অভিযোগে আতিকুর রহমান (৪২), বায়েজ মাস্টার (৪৩) ও আকাশ (২৪)।

এই ছয়জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে আসে র‌্যাব। সেখানে র‌্যাব কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন মোবাইল চুরির ঘটনা থেকে তিনজনকে হত্যার বর্ণনা দেন।

তিনি বলেন, “ঘটনার সূত্রপাত হয় পহেলা জুলাই একটি মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে। বোরহান নামে একজন স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষকের একটি মোবাইল চুরি করেন। সেই ঘটনা নিয়ে এলাকায় চোরকে মারধর করা হয়। সেটাকে নিয়ে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করেই পরের ঘটনা। এলাকাবাসী লোকজন ধরে বোরহানকে অনেক মারধর করে, মারধর করার পরে তার বাবাকে খবর দেওয়া হয়। এখন এই বোরহান কোথায় সেটার ট্রেস (অবস্থান) এখনও নাই। এর প্রেক্ষিতে বোরহানের বাবা থানায় একটি অভিযোগ করেন।”

র‌্যাব বলছে, বোরহানের বাড়ি রুবির মেয়ে নিহত জোনাকির স্বামী মনির হোসেনের বাড়ির পাশে। বোরহান চুরি করার পর ধরা পড়লে সেই হিসেবে তার বাবা রুবির কাছে সাহায্য চান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “সালিশে মারধরের পর বোরহানকে না পাওয়ায় সাহায্য চাইলে রুবিও ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হন। বাচ্চু মেম্বারের নেতৃত্বে চুরির ঘটনাকে সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। সেহেতু বাচ্চু মেম্বার ও বরিউলসহ চারজনের বিরুদ্ধে বোরহানের বাবা জসীম অভিযোগটি দায়ের করেন। এর ফলে যারা সালিশ করেছে তারা ক্ষিপ্ত হয়।”

সাজ্জাদ হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগের দিন ২ জুলাই বিষয়টি সালিশ করে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা হয়। গ্রামপর্যায়ে একটা মিটিং করা হয়, কিন্তু নিষ্পত্তি হয় না। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাতে একটা পরিকল্পনা করা হয় রুবি আক্তারের পরিবারকে শায়েস্তা করা হবে।

“রাতে রুবির ছেলে রাসেলকে ফোন করে ‘তোর বংশ নির্বংশ’ করে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ৩ জুলাই সকাল বেলা এলাকার চেয়ারম্যানসহ আরও কিছু ব্যক্তি বাচ্চু মেম্বার, রবিউল ভোরবেলা আসে। সকালে একটা জমায়েত হলে রুবি ও তার মেয়েকে ডাকা হয়, তর্কাতর্কির একপর্যায়ে তাদের গায়ে হাত দেওয়া হয়। হাতাহাতির ঘটনা থেকে এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে।”

এক প্রশ্নের জবাবে এ র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, “ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো যোগসাজশ আমরা পাইনি। মোবাইল চুরি, থানায় অভিযোগ দায়ের করা নিয়েই এ ঘটনা ঘটে।”

এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহলের তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, “যারা ইন্ধন দিয়েছে তাদের গ্রেপ্তার, অভিযান কার্যক্রম চলমান আছে। তবে সাধারণ মানুষকে হেনস্তা করা হচ্ছে না।

“যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তারাই এলাকা থেকে (সরে) গিয়েছে। যারা জড়িত নেই, তাদের এলাকা ছাড়ার তো প্রশ্নই আসে না।”

বিভিন্ন অভিযোগে নিহত রুবির নামে ১১টি ও ছেলের নামে নয়টি মামলার তথ্যও দিয়েছেন তিনি।

 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম