০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

যত বাধাই আসুক কল্যাণপুরে ইকো পার্ক নির্মাণ হবে : মেয়র আতিক

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ১১:১৭:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
  • / ৮০ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, যত বাধাই আসুক জনগণের সুবিধার জন্য সব বাধা অতিক্রম করে কল্যাণপুরে হাইড্রো ইকো পার্ক নির্মাণ করা হবে। বুধবার (১০ মে) দুপুরে গাবতলী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন কল্যাণপুর রিটেনশন পণ্ড (ডিএনসিসির যান্ত্রিক সার্কেল অফিস সংলগ্ন) ইকো পার্ক নির্মাণের কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ১৯৮৯ সালে ঢাকা ওয়াসা জমি অধিগ্রহণ করেছে। ৫২ একর জমি ঢাকা ওয়াসা উদ্ধার করতে পারেনি। আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। তখন অনেকে টাকা নিয়েছেন। উচ্ছেদ না করায় এখানে ঘরবাড়ি করা হয়েছে। যারা অধিগ্রহণের টাকা নেননি তারা ডিসি অফিসে যোগাযোগ করবেন। পার্ক নির্মাণের লক্ষ্যে আমরা এখানে খনন কাজ শুরু করেছি। খনন করতে গিয়ে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সব অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। অবৈধ দখলদারদের আমি কোনো বৈধ নোটিশ দেব না।

তিনি বলেন, ইকো পার্ক আমার বা কারও একার জন্য নয়, এটা পুরো রাজধানীর জন্য। সব বয়সের মানুষের জন্য এই ইকো পার্ক করা হবে। শিশু, নারী, পুরুষ ও বয়স্ক সব মানুষের সুবিধা থাকবে এখানে। আমরা সিটি ফরেস্ট গড়ে তুলব। প্রধানমন্ত্রী ঢাকা শহরে হাতিরঝিল প্রকল্প করে দিয়েছেন। কল্যাণপুরে আমরা তেমনি ন্যাচারবেজড ইকো পার্ক নির্মাণ করব। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি নিজেরাই আপনাদের স্থাপনা সরিয়ে নিন। নগর ও জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে আপনারা অবৈধ দখল সরিয়ে নিন।

মেয়র বলেন, এখানে ১৭৩ একর জলাশয়ের মধ্যে ১১৭ একর জমি হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি)। জলাধার আইনে পরিষ্কার বলা আছে, বৃষ্টি ধারণ অঞ্চলের (রিটেনশন পণ্ডের) জন্য বিএডিসিকে জমি দেওয়া আছে। কিন্তু শীত কালে এটা হবে বীজ তলা। এখানে কোনো ধরনের বিল্ডিং করতে পারবেনা। অথচ বিএডিসি জলাশয় ভরাট করে ভবন নির্মাণের কাজ করছে। এটি শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় বাধা হবে। এখানে পাঁচটি খাল থেকে পানি আসবে বৃষ্টি ধারণ অঞ্চলে (রিটেনশন পন্ডে)।

যত বৃষ্টি পড়বে এই রিটেনশন পন্ডে পানি আসবে। এর পর পাম্প করে নিয়ে যাব তুরাগ নদীতে। এলাকাগুলোতে কোনো জলাবদ্ধতা হবে না। বাস্তবে এটা যদি ঠিক করতে না পারি তাহলে মোহাম্মদপুর, মিরপুর, কল্যাণপুর, শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়া পানিতে ডুবে যাবে। ইকোপার্ক যত বেশি বড় হবে এলাকাবাসী তত বেশি সুফল ভোগ করতে পারবেন।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

যত বাধাই আসুক কল্যাণপুরে ইকো পার্ক নির্মাণ হবে : মেয়র আতিক

আপডেট সময় ১১:১৭:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, যত বাধাই আসুক জনগণের সুবিধার জন্য সব বাধা অতিক্রম করে কল্যাণপুরে হাইড্রো ইকো পার্ক নির্মাণ করা হবে। বুধবার (১০ মে) দুপুরে গাবতলী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন কল্যাণপুর রিটেনশন পণ্ড (ডিএনসিসির যান্ত্রিক সার্কেল অফিস সংলগ্ন) ইকো পার্ক নির্মাণের কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ১৯৮৯ সালে ঢাকা ওয়াসা জমি অধিগ্রহণ করেছে। ৫২ একর জমি ঢাকা ওয়াসা উদ্ধার করতে পারেনি। আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। তখন অনেকে টাকা নিয়েছেন। উচ্ছেদ না করায় এখানে ঘরবাড়ি করা হয়েছে। যারা অধিগ্রহণের টাকা নেননি তারা ডিসি অফিসে যোগাযোগ করবেন। পার্ক নির্মাণের লক্ষ্যে আমরা এখানে খনন কাজ শুরু করেছি। খনন করতে গিয়ে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সব অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। অবৈধ দখলদারদের আমি কোনো বৈধ নোটিশ দেব না।

তিনি বলেন, ইকো পার্ক আমার বা কারও একার জন্য নয়, এটা পুরো রাজধানীর জন্য। সব বয়সের মানুষের জন্য এই ইকো পার্ক করা হবে। শিশু, নারী, পুরুষ ও বয়স্ক সব মানুষের সুবিধা থাকবে এখানে। আমরা সিটি ফরেস্ট গড়ে তুলব। প্রধানমন্ত্রী ঢাকা শহরে হাতিরঝিল প্রকল্প করে দিয়েছেন। কল্যাণপুরে আমরা তেমনি ন্যাচারবেজড ইকো পার্ক নির্মাণ করব। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি নিজেরাই আপনাদের স্থাপনা সরিয়ে নিন। নগর ও জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে আপনারা অবৈধ দখল সরিয়ে নিন।

মেয়র বলেন, এখানে ১৭৩ একর জলাশয়ের মধ্যে ১১৭ একর জমি হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি)। জলাধার আইনে পরিষ্কার বলা আছে, বৃষ্টি ধারণ অঞ্চলের (রিটেনশন পণ্ডের) জন্য বিএডিসিকে জমি দেওয়া আছে। কিন্তু শীত কালে এটা হবে বীজ তলা। এখানে কোনো ধরনের বিল্ডিং করতে পারবেনা। অথচ বিএডিসি জলাশয় ভরাট করে ভবন নির্মাণের কাজ করছে। এটি শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় বাধা হবে। এখানে পাঁচটি খাল থেকে পানি আসবে বৃষ্টি ধারণ অঞ্চলে (রিটেনশন পন্ডে)।

যত বৃষ্টি পড়বে এই রিটেনশন পন্ডে পানি আসবে। এর পর পাম্প করে নিয়ে যাব তুরাগ নদীতে। এলাকাগুলোতে কোনো জলাবদ্ধতা হবে না। বাস্তবে এটা যদি ঠিক করতে না পারি তাহলে মোহাম্মদপুর, মিরপুর, কল্যাণপুর, শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়া পানিতে ডুবে যাবে। ইকোপার্ক যত বেশি বড় হবে এলাকাবাসী তত বেশি সুফল ভোগ করতে পারবেন।