সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫৮ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুর পয়েন্টে ১৮০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পাউবো।
যমুনায় বাড়ছে পানি, ভাঙছে পাড়

- আপডেট সময় ১১:১৭:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
- / ৩১ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি শহররক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় ৪১ সেন্টিমিটার এবং কাজীপুরের মেঘাই পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। এ ছাড়া জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। আর এতে দেখা দিয়েছে ভাঙন।
এর মধ্যে জেলা সদর, কাজীপুর, চৌহালী, বেলকুচি ও শাহজাদপুর উপজেলার বেশকিছু আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বন্যা আতঙ্কে রয়েছেন নদীতীরের বাসিন্দারা।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় নাজমুল হোসাইন বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম এর সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিকে বলেন, শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি শহররক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় ৪১ সেন্টিমিটার এবং কাজীপুর উপজেলার মেঘাই পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
তবে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫৮ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুর পয়েন্টে ১৮০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম এর সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিকে আরো বলেন, সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের ভাটপিয়ারি ও কাজীপুর উপজেলার চরাঞ্চলের নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ, খাসরাজবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া বেলকুচি ও শাহজাদপুর উপজেলার নদীতীরেও দেখা দিয়েছে ভাঙন।
এর মধ্যে চরাঞ্চলের আখ, পাট ও বাদামসহ বহু ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বলে জানায় পাউবো।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, কাজিপুর উপজেলার চরগিরিশ ও সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী এলাকায় জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তবে নদীতীরের আবাদি জমিগুলোর ভাঙন ঠেকানো সম্ভব নয়।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম