০৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
সেতুর পূর্বপাড় থেকে রেলপথ তোলার কাজ শুরু হয়েছে; যা শেষ হতে অন্তত দুই মাস লাগবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে বিভাগ।

যমুনা সেতু থেকে তুলে ফেলা হচ্ছে রেলপথ, বাড়বে সড়ক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১১:১০:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • / ৪১ বার পড়া হয়েছে

যমুনা সেতু থেকে পরিত্যক্ত রেলপথ অপসারণ শুরু করেছে রেলওয়ে বিভাগ।

 

যমুনা সেতুর পাশে নতুন রেলওয়ে সেতু চালু হওয়ায় পর থেকে রেলপথটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অবশেষে সেতু থেকে পরিত্যক্ত রেলপথ অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে।

রেলপথ অপসারণের পর একই স্থানে নির্মাণ করা হবে সড়ক; এতে সেতু প্রশস্ত হয়ে যান চলাচলের পরিধি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার ২৬ জুন যমুনা সেতুর পূর্বপাড় থেকে এই রেলপথ তোলার কাজ শুরু হয়েছে; যা শেষ হতে অন্তত দুই মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশীর বিভাগীয় প্রকৌশলী বীরবল মণ্ডল।

শুক্রবার বিকালে তিনি বলেন, চলতি বছরের ১৮ মার্চ যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উত্তরে নতুন রেলওয়ে সেতুর উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকে নতুন সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে।

 

 

এরপর থেকে যমুনা সেতুর রেলপথটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যে কারণে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী সেতুর ওপর থেকে রেলপথ তুলে ফেলা হচ্ছে।

সেতুর পূর্বপাড় থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে; যা শেষ হতে অন্তত দুই মাস সময় লাগবে বলে জানান এই রেলওয়ে কর্মকর্তা।

যমুনা সেতু সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, “যমুনা সেতু থেকে রেলপথ তুলে নিলে আরও সাড়ে তিন মিটার জায়গা বাড়বে। আমরা ওই অংশটুকু সেতুর মূল সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করব। এতে সেতুর উভয় দিকে এক দশমিক ৭৫ মিটার করে জায়গা বাড়বে।

“সেতুর সড়ক প্রশস্তকরণে জন্য কারিগরি স্টাডির মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এটি কার্যকর করতে কিছু সময় লাগবে। বর্তমানে সেতুর পথগুলো রয়েছে ৬ দশমিক ৩ মিটার; যা সম্প্রসারণ হলে প্রশস্ত বেড়ে হবে ৮ মিটার।”

এতে সেতুর ওপরে যানজট ও জনদুর্ভোগ কমবে বলে আশা এই নির্বাহী প্রকৌশলীর।

১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা সেতু উদ্বোধন হলেও প্রথমে সেখানে কোনো রেলপথ ছিল না। পরে সেতুর উত্তরপাশে লোহার অ্যাঙ্গেল বসিয়ে রেলওয়ে সেতু তৈরি করা হয়। এরপর ২০০৪ সালের ১৫ অগাস্ট সেতুতে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

দ্রুগতিতে ট্রেন চলার কারণে ২০০৬ সালে সেতুতে ফাটল দেখা দেয়। পরে ট্রেনের গতি কমিয়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার করা হয়। এতে প্রতিটি ট্রেন সেতু অতিক্রম করতে ২২ মিনিট সময় লাগত। এ কারণে সেতুর দুই পাশে ট্রেনের জটলা বেধে যেত।

এ সমস্যা সমাধানে ২০২০ সালের ৩ মার্চ যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উত্তরে আলাদা রেলওয়ে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর রেলওয়ে সেতু নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। আর ২০২১ সালের মার্চে রেলওয়ে সেতুর কাজ শুরু হয়।

২০২৫ সালের ১৮ মার্চ রেলওয়ে সেতু উদ্বোধন করা হয়; এতে ব্যয় হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

 

নিউজটি শেয়ার করুন

সেতুর পূর্বপাড় থেকে রেলপথ তোলার কাজ শুরু হয়েছে; যা শেষ হতে অন্তত দুই মাস লাগবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে বিভাগ।

যমুনা সেতু থেকে তুলে ফেলা হচ্ছে রেলপথ, বাড়বে সড়ক

আপডেট সময় ১১:১০:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

 

যমুনা সেতুর পাশে নতুন রেলওয়ে সেতু চালু হওয়ায় পর থেকে রেলপথটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অবশেষে সেতু থেকে পরিত্যক্ত রেলপথ অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে।

রেলপথ অপসারণের পর একই স্থানে নির্মাণ করা হবে সড়ক; এতে সেতু প্রশস্ত হয়ে যান চলাচলের পরিধি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার ২৬ জুন যমুনা সেতুর পূর্বপাড় থেকে এই রেলপথ তোলার কাজ শুরু হয়েছে; যা শেষ হতে অন্তত দুই মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশীর বিভাগীয় প্রকৌশলী বীরবল মণ্ডল।

শুক্রবার বিকালে তিনি বলেন, চলতি বছরের ১৮ মার্চ যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উত্তরে নতুন রেলওয়ে সেতুর উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকে নতুন সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে।

 

 

এরপর থেকে যমুনা সেতুর রেলপথটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যে কারণে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী সেতুর ওপর থেকে রেলপথ তুলে ফেলা হচ্ছে।

সেতুর পূর্বপাড় থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে; যা শেষ হতে অন্তত দুই মাস সময় লাগবে বলে জানান এই রেলওয়ে কর্মকর্তা।

যমুনা সেতু সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, “যমুনা সেতু থেকে রেলপথ তুলে নিলে আরও সাড়ে তিন মিটার জায়গা বাড়বে। আমরা ওই অংশটুকু সেতুর মূল সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করব। এতে সেতুর উভয় দিকে এক দশমিক ৭৫ মিটার করে জায়গা বাড়বে।

“সেতুর সড়ক প্রশস্তকরণে জন্য কারিগরি স্টাডির মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এটি কার্যকর করতে কিছু সময় লাগবে। বর্তমানে সেতুর পথগুলো রয়েছে ৬ দশমিক ৩ মিটার; যা সম্প্রসারণ হলে প্রশস্ত বেড়ে হবে ৮ মিটার।”

এতে সেতুর ওপরে যানজট ও জনদুর্ভোগ কমবে বলে আশা এই নির্বাহী প্রকৌশলীর।

১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা সেতু উদ্বোধন হলেও প্রথমে সেখানে কোনো রেলপথ ছিল না। পরে সেতুর উত্তরপাশে লোহার অ্যাঙ্গেল বসিয়ে রেলওয়ে সেতু তৈরি করা হয়। এরপর ২০০৪ সালের ১৫ অগাস্ট সেতুতে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

দ্রুগতিতে ট্রেন চলার কারণে ২০০৬ সালে সেতুতে ফাটল দেখা দেয়। পরে ট্রেনের গতি কমিয়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার করা হয়। এতে প্রতিটি ট্রেন সেতু অতিক্রম করতে ২২ মিনিট সময় লাগত। এ কারণে সেতুর দুই পাশে ট্রেনের জটলা বেধে যেত।

এ সমস্যা সমাধানে ২০২০ সালের ৩ মার্চ যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উত্তরে আলাদা রেলওয়ে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর রেলওয়ে সেতু নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। আর ২০২১ সালের মার্চে রেলওয়ে সেতুর কাজ শুরু হয়।

২০২৫ সালের ১৮ মার্চ রেলওয়ে সেতু উদ্বোধন করা হয়; এতে ব্যয় হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম