এ মামলায় একজনকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
যশোরে ইজিবাইক চালক হত্যা মামলায় ৩ জনের প্রাণদণ্ড

- আপডেট সময় ১১:০৭:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৫৮ বার পড়া হয়েছে
মাগুরা শালিখা উপজেলার এক ইজিবাইক চালক হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে যশোরের একটি আদালত।
রোববার বিকালে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক জয়ন্তী রাণী দাস দুই আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) এস এম আব্দুর রাজ্জাক।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়ারা হলেন- শালিখা উপজেলার রামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর খানের ছেলে জুয়েল খান, একই এলাকার সেলিম হোসেনের ছেলে হারুন অর রশিদ এবং যশোর সদর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের হযরত আলীর ছেলে আলামিন।
দুই বছরের সাজা পাওয়া আসামি রাসেল মোল্যা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সবুজনগর গ্রামের সুলতান মোল্যার ছেলে। তিনি যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া বিল্লাল মসজিদ এলাকার বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় হারুন অর রশিদ ও রাসেল মোল্যা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
পিপি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শালিখা উপজেলার হরিশপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে আল আমিন হোসেন (২১) ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। প্রতিদিনের মতো ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর বিকালে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন আল আমিন। রাতে বাড়ি না ফেরায় আল আমিন মোবাইলে কল করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পরদিন দুপুর ২টার দিকে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে স্বজনরা জানতে পারেন, আল আমিনের ইজিবাইকটি যশোরের চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে। পরে আল আমিনের বাবা সেখানে গিয়ে ইজিবাইকটি তার ছেলের বলে শনাক্ত করেন। তবে ইজিবাইকে থাকা পাঁচটি ব্যাটারি এবং অতিরিক্ত একটি চাকা ছিল না।
পিপি বলেন, একই দিন দুপুরে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বুধোপুরে রাস্তার পাশে আল আমিনের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় আল আমিনের বাবা মোস্তাফিজুর অজ্ঞাত পরিচয়দের আসামি করে বাঘারপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
একই বছরের ২৫ ডিসেম্বর র্যাব আল আমিনকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করে বলে জানান পিপি আব্দুর রাজ্জাক।
২০২২ সালের ১৫ মে ওই চারজনকে আসামি করে আদালতে আভিযোপত্র দাখিল করা হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অপর আসামিকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়; যা অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাস কারাবাসে থাকতে হবে বলে জানান পিপি আব্দুর রাজ্জাক।
আসামিদের মধ্যে জুয়েল খান গত ১৮ মে যশোর আদালত চত্বরে পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে যান বলে জানান তিনি।
যশোর প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম