যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের চলাচলে সতর্কতা বিষয়টি বিএনপির অপরাজনীতি : তথ্যমন্ত্রী
- আপডেট সময় ০৯:৫০:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩
- / ৭৬ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের চলাচলে সতর্কতা জারির বিষয়টির জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিএনপির অপরাজনীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাদের নাগরিকদের চলাচলে সতর্কতা দিয়েছে। সোমবার (২২ মে) দুপুরে সচিবালয়ে টেলিভিশন নাট্য পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
গতকাল রোববার মার্কিন দূতাবাসের ‘ডেমোনস্ট্রেশন অ্যালার্ট’ শিরোনামে প্রচারিত হালনাগাদ করা ভ্রমণ সতর্কবার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকাসহ সারাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন নাগরিকদের জন্য জারি করা ওই সতর্কতা ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্য শহরগুলোর জন্যও প্রযোজ্য হবে।
এ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ও তাদের জোট যা করছে, তাতে আরও অনেকে (দেশ) সতর্ক করতে পারে। যেভাবে বিএনপি আন্দোলনের নামে ভাঙচুর করছে, গাড়িতে আগুন দেওয়া শুরু করেছে এগুলো দেখেই তো যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের চলাচলে সতর্ক করা খুব স্বাভাবিক বিষয়।বিএনপি হত্যা-খুন থেকে বের হয়ে রাজনীতি করতে পারে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজশাহীর জনসভায় বিএনপির এক নেতা প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন প্রকাশ্যে।
এতেই প্রমাণিত হয়ে যায়, বিএনপি হত্যা খুনের রাজনীতি থেকে বের হতে পারেনি। তারা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে। এর আগে সভায় ডিরেক্টরস গিল্ডের সঙ্গে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা সব টেলিভিশনকে উৎসাহ দিচ্ছি যাতে তারা বাংলাদেশের শিল্পী, কলাকুশলীদের নিয়ে দেশের কৃষ্টি, সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সিরিয়াল বানায়। একই সঙ্গে সেগুলো যেন সমাজকে ভালো জিনিস শেখায়। যেকোনো সিরিয়াল বা নাটক যেমন বিনোদন দেবে পাশাপাশি যদি সেখানে সমাজ হিতৈষী বার্তা থাকে, তাহলে সেটিকে আমি যথার্থ এবং পরিপূর্ণ বলে মনে করি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, ডিরেক্টরস গিল্ড কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সহসভাপতি কায়সার আহমেদ, আশরাফুল আলম রন্টু, সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান ও রাশেদা আক্তার লাজুক, অর্থ-সম্পাদক আবু রায়হান মো. জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম রেজা জুয়েল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জহির খান, প্রশিক্ষণ ও আর্কাইভ বিষয়স সম্পাদক শুভ্র খান, তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সবুজ খান, আইন ও কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক তারিক মুহাম্মদ হাসান, দপ্তর সম্পাদক সাঈদ রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য দীন মোহম্মদ মন্টু, সৈয়দ আওলাদ, গাজী আপেল মাহমুদ, ফিরোজ আহমেদ দুলাল, শহীদুল ইসলাম রুনু, শাহীন মাহমুদ ও নাসির উদ্দিন মাসুদসহ অনেকে।