০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়া পরিবর্তনে সরকার চাপ অনুভব করছে না’

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৫:১৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
  • / ৯৫ বার পড়া হয়েছে

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন নিয়ে সরকার চাপ অনুভব করছে না। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সচিবালয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভিসা প্রক্রিয়া পরিবর্তন সব নাগরিকের জন্য সমান। এটা আলাদা কোনো দল বা ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা নয়। আমার মনে হয় ভিসা প্রক্রিয়ার এই পরিবর্তন বিএনপির জন্যও প্রযোজ্য। তিনি বলেন, বিএনপি মানুষ পুড়িয়েছে, গণপরিবহনে আগুন দিয়েছে, গর্ভবতী মায়ের অ্যাম্বুলেন্স আটকে রেখেছে। এসব কারণে তাদের ভিসা প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আয়োজন করবে। সরকার তাতে সহায়তা করবে। সুষ্ঠু নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা কতটা সহায়ক হবে তা আমি জানি না। উন্নয়নের কারণেই আওয়ামী লীগ সরকারকে জনগণ বারবার ভোট দিয়েছে। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণই ঠিক করবে কারা ক্ষমতায় যাবে। তারা যাদের ভোট দেবে, তারাই দেশ পরিচালনা করবে। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এই নীতি অনুযায়ী, ভোটের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কোনো বাংলাদেশিকে ভিসা দেবে না দেশটি। এ সংক্রান্ত বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টিকারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ভিসা দানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার ব্যবস্থা সম্বলিত নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এই নীতির আওতায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মুক্ত ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানকে উৎসাহিত করা হবে। কেউ এর ব্যতিক্রম ঘটানোর জন্য দায়ী হিসেবে চিহ্নিত হলে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়া হবে না।

বাংলাদেশের মুক্ত, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বচনে যারা অন্তরায় হবে তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা রেস্টিকশান প্রদান করবে। এর মধ্যে বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকারপন্থী ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়া পরিবর্তনে সরকার চাপ অনুভব করছে না’

আপডেট সময় ০৫:১৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন নিয়ে সরকার চাপ অনুভব করছে না। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সচিবালয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভিসা প্রক্রিয়া পরিবর্তন সব নাগরিকের জন্য সমান। এটা আলাদা কোনো দল বা ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা নয়। আমার মনে হয় ভিসা প্রক্রিয়ার এই পরিবর্তন বিএনপির জন্যও প্রযোজ্য। তিনি বলেন, বিএনপি মানুষ পুড়িয়েছে, গণপরিবহনে আগুন দিয়েছে, গর্ভবতী মায়ের অ্যাম্বুলেন্স আটকে রেখেছে। এসব কারণে তাদের ভিসা প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আয়োজন করবে। সরকার তাতে সহায়তা করবে। সুষ্ঠু নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা কতটা সহায়ক হবে তা আমি জানি না। উন্নয়নের কারণেই আওয়ামী লীগ সরকারকে জনগণ বারবার ভোট দিয়েছে। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণই ঠিক করবে কারা ক্ষমতায় যাবে। তারা যাদের ভোট দেবে, তারাই দেশ পরিচালনা করবে। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এই নীতি অনুযায়ী, ভোটের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কোনো বাংলাদেশিকে ভিসা দেবে না দেশটি। এ সংক্রান্ত বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টিকারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ভিসা দানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার ব্যবস্থা সম্বলিত নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এই নীতির আওতায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মুক্ত ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানকে উৎসাহিত করা হবে। কেউ এর ব্যতিক্রম ঘটানোর জন্য দায়ী হিসেবে চিহ্নিত হলে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়া হবে না।

বাংলাদেশের মুক্ত, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বচনে যারা অন্তরায় হবে তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা রেস্টিকশান প্রদান করবে। এর মধ্যে বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকারপন্থী ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।