০১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫
বিরল এসব মৌল উৎপাদনকারী বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ চীন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক দর কষাকষিতে চাপ তৈরির উপায় হিসেবে ব্যবহার করছে দেশটি। এ নির্ভরতা থেকে বেরতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে চীনের বাজির ঘোড়া বিরল খনিজ?

প্রযুক্তি ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৪:৩০:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে

বর্তমানে দেশেই এসব বিরল মৌলের সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: রয়টার্স

 

রেয়ার বা বিরল আর্থ বলতে পর্যায় সারণির ১৭টি মৌলকে বোঝায়, যাদের পারমাণবিক গঠন বিশেষ এক চৌম্বক ধর্ম তৈরি করে। বর্তমানে এসব বিরল মৌল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য যুদ্ধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দর কষাকষির হাতিয়ারও।

বিরল এসব মৌল উৎপাদনকারী বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ চীন। ফলে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চীনের বড় শক্তি এসব মৌল, যেটিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক দরকষাকষিতে চাপ তৈরির উপায় হিসেবে ব্যবহার করছে দেশটি। আর যুক্তরাষ্ট্র এ নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি।

কারণ হচ্ছে, এসব বিরল খনিজের ম্যাগনেট বা চুম্বক ইলেকট্রিক গাড়ি, উইন্ড টারবাইন বা বায়ু বিদ্যুৎচালিত যন্ত্র থেকে শুরু করে সামরিক টুল, ডেটা সেন্টার ও অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক্সে শক্তি দিতে ব্যবহুত হয়। একসময় বিরল খনিজ উৎপাদনে শীর্ষ দেশ ছিল যুক্তরাষ্ট্র।

তবে গত কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র’সহ পুরো বিশ্ব এসব বিরল মৌলের জন্য মূলত চীনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৭০ শতাংশ বিরল খনিজ উত্তোলন ও প্রায় ৯০ শতাংশ প্রক্রিয়াজাত করে চীন।

‘বেঞ্চমার্ক মিনারেল ইন্টেলিজেন্স’-এর বিরল খনিজ গবেষণা ব্যবস্থাপক নেহা মুখার্জি বলেছেন, “চীন এ বাজার অনেক দিন ধরেই একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। বর্তমানে সেই নিয়ন্ত্রণ আরও বেড়েছে। এসব বিরল মৌল অনেক কম কম দামে উৎপাদন ও বিক্রি করে চীন। ফলে বাইরের কোনো দেশ সহজে চীনের বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারে না। চীনে এসব বিরল মৌলের দাম এতই কম যে, একে আমরা অযৌক্তিক দাম বলি।”

গত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের এক শক্তিশালী অস্ত্রে পরিণত হয়েছে এই বিরল খনিজ। এপ্রিলে এসব বিরল মৌল রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছিল চীন। ওইসময় অনেক শিল্পক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ে, বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে গাড়ি শিল্প।

 

 

প্রযুক্তি ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

বিরল এসব মৌল উৎপাদনকারী বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ চীন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক দর কষাকষিতে চাপ তৈরির উপায় হিসেবে ব্যবহার করছে দেশটি। এ নির্ভরতা থেকে বেরতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে চীনের বাজির ঘোড়া বিরল খনিজ?

আপডেট সময় ০৪:৩০:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

 

রেয়ার বা বিরল আর্থ বলতে পর্যায় সারণির ১৭টি মৌলকে বোঝায়, যাদের পারমাণবিক গঠন বিশেষ এক চৌম্বক ধর্ম তৈরি করে। বর্তমানে এসব বিরল মৌল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য যুদ্ধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দর কষাকষির হাতিয়ারও।

বিরল এসব মৌল উৎপাদনকারী বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ চীন। ফলে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চীনের বড় শক্তি এসব মৌল, যেটিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক দরকষাকষিতে চাপ তৈরির উপায় হিসেবে ব্যবহার করছে দেশটি। আর যুক্তরাষ্ট্র এ নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি।

কারণ হচ্ছে, এসব বিরল খনিজের ম্যাগনেট বা চুম্বক ইলেকট্রিক গাড়ি, উইন্ড টারবাইন বা বায়ু বিদ্যুৎচালিত যন্ত্র থেকে শুরু করে সামরিক টুল, ডেটা সেন্টার ও অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক্সে শক্তি দিতে ব্যবহুত হয়। একসময় বিরল খনিজ উৎপাদনে শীর্ষ দেশ ছিল যুক্তরাষ্ট্র।

তবে গত কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র’সহ পুরো বিশ্ব এসব বিরল মৌলের জন্য মূলত চীনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৭০ শতাংশ বিরল খনিজ উত্তোলন ও প্রায় ৯০ শতাংশ প্রক্রিয়াজাত করে চীন।

‘বেঞ্চমার্ক মিনারেল ইন্টেলিজেন্স’-এর বিরল খনিজ গবেষণা ব্যবস্থাপক নেহা মুখার্জি বলেছেন, “চীন এ বাজার অনেক দিন ধরেই একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। বর্তমানে সেই নিয়ন্ত্রণ আরও বেড়েছে। এসব বিরল মৌল অনেক কম কম দামে উৎপাদন ও বিক্রি করে চীন। ফলে বাইরের কোনো দেশ সহজে চীনের বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারে না। চীনে এসব বিরল মৌলের দাম এতই কম যে, একে আমরা অযৌক্তিক দাম বলি।”

গত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের এক শক্তিশালী অস্ত্রে পরিণত হয়েছে এই বিরল খনিজ। এপ্রিলে এসব বিরল মৌল রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছিল চীন। ওইসময় অনেক শিল্পক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ে, বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে গাড়ি শিল্প।

 

 

প্রযুক্তি ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম