০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির শাস্তিস্বরূপ ভারতীয় পণ্যে শুল্ক দ্বিগুণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। ফলে মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে।

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০% শুল্ক আরোপকে ‘অন্যায্য’ বলল ভারত

মিজানুর রহমান খান - বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০২:২৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৫৪ বার পড়া হয়েছে

ডনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদী। ছবি: রয়টার্স

 

ভারতের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের নিন্দা কড়া বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে ‘অন্যায্য’ উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

বুধবারই ভারতের পণ্যের উপর শুল্ক দ্বিগুণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ফলে মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির শাস্তিস্বরূপ এই শুল্কারোপ করেছেন ট্রাম্প।

‘দ্য হিন্দুস্তান টাইমস’পত্রিকা জানায়, ভারত সরকার বিবৃতি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং স্পষ্ট করেই বলেছে যে, তারা জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করবে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বিবৃতিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘গত কয়েকদিন ধরে ভারতের রাশিয়া থেকে তেল আমদানিকে নিশানা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান ইতোমধ্যেই স্পষ্ট করেছি।

“আমাদের আমদানি বাজারের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। ভারতের জনগণের জ্বালানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য। অন্য অনেক দেশ জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় একই ব্যবস্থা্ নিচ্ছে। তারপরও বাড়তি শুল্ক আরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বেছে নিয়েছে ভারতকে, যা দুর্ভাগ্যজনক।

“এই পদক্ষেপ অন্যায্য, অযৌক্তিক এবং অনর্থক। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় ভারত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।”

বুধবার ভারতের পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপের নির্বাহী আদেশ সই করেছেন ট্রাম্প। আগেই ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল ভারতীয় পণ্যে। সেই শুল্ক ৭ অগাস্ট বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।

আর বুধবারের বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা আগামী ২৭ অগাস্ট থেকে। এই শুল্ক কার্যকর হলে ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করতে হলে ৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।

ট্রাম্পের এই বাড়তি শুল্ক ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত সর্বোচ্চ শুল্কের তালিকায় উঠল ভারতের নাম। তাছাড়া, ব্রাজিলের পণ্যের উপরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।

তিনি বলছেন, রাশিয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে তেলের ব্যবসা চালানো কিংবা রাশিয়া থেকে তেল আমদানির কারণেই ভারতের ওপর বাড়তি শুল্ক চাপানো হয়েছে।

ভারত অবশ্য আগেই বলেছিল, রাশিয়া সস্তায় তেল বিক্রি করে বলেই তারা তা কেনে জাতীয় স্বার্থের কথা ভেবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারদরের নিরীখে।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে সেই অর্থ ইউক্রেইনে যুদ্ধ চালাতে কাজে লাগাচ্ছে মস্কো। অর্থাৎ, ভারতের অর্থে রাশিয়া যুদ্ধে আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে।

সূত্র :  দ্য হিন্দুস্তান টাইমস’পত্রিকা / সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির শাস্তিস্বরূপ ভারতীয় পণ্যে শুল্ক দ্বিগুণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। ফলে মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে।

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০% শুল্ক আরোপকে ‘অন্যায্য’ বলল ভারত

আপডেট সময় ০২:২৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

 

ভারতের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের নিন্দা কড়া বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে ‘অন্যায্য’ উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

বুধবারই ভারতের পণ্যের উপর শুল্ক দ্বিগুণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ফলে মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির শাস্তিস্বরূপ এই শুল্কারোপ করেছেন ট্রাম্প।

‘দ্য হিন্দুস্তান টাইমস’পত্রিকা জানায়, ভারত সরকার বিবৃতি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং স্পষ্ট করেই বলেছে যে, তারা জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করবে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বিবৃতিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘গত কয়েকদিন ধরে ভারতের রাশিয়া থেকে তেল আমদানিকে নিশানা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান ইতোমধ্যেই স্পষ্ট করেছি।

“আমাদের আমদানি বাজারের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। ভারতের জনগণের জ্বালানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য। অন্য অনেক দেশ জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় একই ব্যবস্থা্ নিচ্ছে। তারপরও বাড়তি শুল্ক আরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বেছে নিয়েছে ভারতকে, যা দুর্ভাগ্যজনক।

“এই পদক্ষেপ অন্যায্য, অযৌক্তিক এবং অনর্থক। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় ভারত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।”

বুধবার ভারতের পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপের নির্বাহী আদেশ সই করেছেন ট্রাম্প। আগেই ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল ভারতীয় পণ্যে। সেই শুল্ক ৭ অগাস্ট বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।

আর বুধবারের বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা আগামী ২৭ অগাস্ট থেকে। এই শুল্ক কার্যকর হলে ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করতে হলে ৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।

ট্রাম্পের এই বাড়তি শুল্ক ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত সর্বোচ্চ শুল্কের তালিকায় উঠল ভারতের নাম। তাছাড়া, ব্রাজিলের পণ্যের উপরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।

তিনি বলছেন, রাশিয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে তেলের ব্যবসা চালানো কিংবা রাশিয়া থেকে তেল আমদানির কারণেই ভারতের ওপর বাড়তি শুল্ক চাপানো হয়েছে।

ভারত অবশ্য আগেই বলেছিল, রাশিয়া সস্তায় তেল বিক্রি করে বলেই তারা তা কেনে জাতীয় স্বার্থের কথা ভেবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারদরের নিরীখে।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে সেই অর্থ ইউক্রেইনে যুদ্ধ চালাতে কাজে লাগাচ্ছে মস্কো। অর্থাৎ, ভারতের অর্থে রাশিয়া যুদ্ধে আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে।

সূত্র :  দ্য হিন্দুস্তান টাইমস’পত্রিকা / সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম