যেভাবে জাতীয় পুরস্কারের জন্য চলচ্চিত্র জমা দেবেন
- আপডেট সময় ১১:০৯:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩
- / ৯৪ বার পড়া হয়েছে
‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২২’ অর্জনের লক্ষ্যে জুরি বোর্ডে সিনেমা জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক সংশ্লিষ্ট প্রযোজকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জুরি বোর্ডের সদস্য-সচিব স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রযোজকরা ৪ এপ্রিল থেকে ১০ মে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ প্রদানের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক গঠিত জুরি বোর্ডের প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ঢাকার সার্কিট হাউস রোডে বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গৃহীত সিদ্ধান্তে আরও বলা হয়, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রযোজকদেরকে নির্ধারিত ছকে আবেদন করতে হবে। আবেদনের ফরম-ছক বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা যাবে। সেন্সর বোর্ডের ওয়েবসাইট www.bfcb.gov.bd থেকে ডাউনলোড করেও ব্যবহার করা যাবে। প্রত্যেক আবেদনপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রের ২ কপি ডিভিডি-পেনড্রাইভে জমা দিতে হবে।
পুরস্কারের জন্য প্রস্তাবিত শিল্পী, কলাকুশলী, ব্যক্তিদের প্রত্যেকের ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবিসহ বাংলায় লেখা জীবনবৃত্তান্ত, জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), শিশুশিল্পীদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে। এর আগে ২৭ এপ্রিল এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় ১৩ সদস্যের জুরি বোর্ড। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের (চলচ্চিত্র) অতিরিক্ত সচিবের সভাপতিত্বে এবারের বোর্ডে সদস্য হিসেবে থাকছেন নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার, গীতিকবি হাসান মতিউর রহমান, চিত্রগ্রাহক পঙ্কজ পালিত, অভিনেত্রী ডলি জহুর, সংগীতশিল্পী নকীব খান ও নায়ক রিয়াজ।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এই সদস্যদের বাইরে আরও আছেন সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান, ঢাবি অধ্যাপক শফিউল আলম ভূঁইয়া, ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক, বিএফডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের (চলচ্চিত্র) যুগ্মসচিব। চতুর্থবারের মতো এই জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে যুক্ত হলেন গীতিকবি হাসান মতিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘২৮ মার্চ বিকেলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র শাখার সেন্সর বোর্ড থেকে আমাকে খবরটি জানানো হলো। এই নিয়ে চতুর্থবার সম্মানিত হলাম। সবাই দোয়া করবেন যেন ঠিকমতো রাষ্ট্রীয় এই দায়িত্ব পালন করতে পারি।’
প্রতিবছরের মতো এবারও ২৮টি ক্ষেত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হবে। এগুলো হলো- আজীবন সম্মাননা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা-অভিনেত্রী খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা-অভিনেত্রী কৌতুক চরিত্রে শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী, শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক, শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক, শ্রেষ্ঠ গায়ক, শ্রেষ্ঠ গায়িকা, শ্রেষ্ঠ গীতিকার, শ্রেষ্ঠ সুরকার, শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার, শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক, শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা এবং শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-সংক্রান্ত নীতিমালায় বলা হয়েছে, কেবল বাংলাদেশি নাগরিকগণ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন; যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে, তবে যৌথ প্রযোজনা চলচ্চিত্রের বিদেশি শিল্পী এবং কলা-কুশলীগণ পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন না; জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিবেচনাযোগ্য চলচ্চিত্রকে অবশ্যই বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সেন্সর সনদপত্রপ্রাপ্ত এবং বিবেচ্য বছরে (২০২২ সালে) প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত হতে হবে; স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, তবে সেগুলোকে বিবেচ্য বছরে (২০২২ সালে) সেন্সর সনদপত্রপ্রাপ্ত হতে হবে।