১৩ অগাস্ট ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে অধ্যাপক প্রভাস কুমার কর্মকারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।
যৌন হয়রানি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি

- আপডেট সময় ০৭:০৮:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৮ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠায় এক অধ্যাপকের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠায় এক অধ্যাপকের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা।
রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি থেকে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক প্রভাস কুমার কর্মকারকে স্থায়ী বহিষ্কারের এ দাবি জানান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘নিপীড়ক মুক্ত ক্যাম্পাস চাই’, ‘নিপীড়ক কর্মকার, সাময়িক নয় চাই স্থায়ী বহিষ্কার’, ‘তুমি কিভাবে পাশ কর, আমি দেখে নিব’, ‘ছাত্রী নিপীড়ন করে আবার ক্লাসে আসে!’, ‘রুচির দুর্ভিক্ষ, জ্ঞান নয় ডাস্টবিন শিক্ষকতা’, ‘যদি ভয় শেখাও, বিদায় ঘণ্টা বাজাও’ স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
সমাবেশে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিনা খান বলেন, “আমরা আজ এখানে নিপীড়কের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে দাঁড়িয়েছি। আমাদের বিভাগের তদন্ত কমিটি প্রমাণ পেয়েছে যে, ওই শিক্ষক অপরাধ করেছেন। তাই আমরা কোনো আশ্বাস নয়, স্থায়ী বহিষ্কার চাই। আমাদের দাবি না মানা হলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাব।”
একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী এবং সোচ্চার স্টুডেন্ট নেটওয়ার্ক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সালমান সাব্বির বলেন, “আমরা শুধু স্থায়ী বহিষ্কার নয়, প্রচলিত আইনেও তার যথাযথ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।”
এর আগে ১৩ অগাস্ট ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে অধ্যাপক প্রভাস কুমার কর্মকারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগে বলা হয়, ৪ অগাস্ট ওই শিক্ষার্থী ক্লাসের উপস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে অধ্যাপক প্রভাস কুমার কর্মকারের চেম্বারে গেলে তিনি ‘সাজেশন’ লেখার কথা বলে কাগজ দেন। পরে শিক্ষার্থী লিখতে থাকা অবস্থায় ওই শিক্ষক তার শরীরে অশোভন স্পর্শ করেন এবং কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেন, “আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। কমিটির প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই তাকে সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে।”
তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে অধ্যাপক প্রভাস কুমার কর্মকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম