“উস্কানিমূলক বক্তব্যের যথাযথ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে রাকসু নির্বাচন কোনো হুমকি বা বিশৃঙ্খলায় না পড়ে।”
রাকসু নির্বাচন: রাবি ছাত্রদল সভাপতির বক্তব্যকে ‘উস্কানি ও ষড়যন্ত্রমূলক’ আখ্যা দিয়ে ছাত্র পক্ষের প্রতিবাদ

- আপডেট সময় ০৩:০৯:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫
- / ৫৫ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-রাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহীর বক্তব্যকে ‘উস্কানিমূলক’ ও ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে এবি পার্টির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র পক্ষ।
বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্র পক্ষের সংগঠক ইমরান ইমতিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল শাখার সভাপতি রাহী এক উস্কানিমূলক ব্ক্তব্য প্রদান করেন, যেখানে তিনি স্বৈরাচারের দোসর আওয়ামী শিক্ষকদের পরিচয় প্রকাশের নামে ডাকা আন্দোলনকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করে রাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রমূলক স্লোগান ও বক্তব্য দেন।
“তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, রাকসু হতে হলে আমাদের রক্তের উপর দিয়ে যেতে হবে; যা সরাসরি সহিংসতা উসকে দেওয়ার সামিল। বাংলাদেশ ছাত্র পক্ষ, রাজশাহী শাখা বিশ্বাস করে জুলাই বিল্পব পরবর্তী সময়ে এমন উগ্রতা ও সহিংসার জায়গা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই।”
সংগঠনটির দাবি, ‘অনিয়য়মিত’ শিক্ষার্থী হয়েও রাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়কে নিয়েও অযাচিত ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনিক শৃঙ্খলা ও শিক্ষা বান্ধব পরিবেশের পরিপন্থি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আমরা এ ধরনের উগ্র হুমকিস্বরুপ ও অগণতান্ত্রিক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই এবং পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, রাকসু নির্বাচন ছাত্র সমাজের দীর্ঘদিনের দাবি এবং এই নির্বনের সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ নিশ্চিতে আমরা সর্বদা সক্রিয় থাকব।”

এ বিষয়ে ছাত্রপক্ষ রাবি শাখার আহ্বায়ক মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, “মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকলেও তা যদি সহিংসতা উসকে দেয় বা গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত করে, তবে তার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়া জরুরি।”
সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ মুনাওয়ার সিফাত বলেন, “উস্কানিমূলক বক্তব্যের যথাযথ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে রাকসু নির্বাচন কোনো হুমকি বা বিশৃঙ্খলায় না পড়ে।
“আমরা চাই রাকসু নির্বাচন হোক সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক। গণতন্ত্রের পথে কোনো হুমকি বা উগ্রতা বরদাশত করা হবে না।”
ছাত্র পক্ষের অভিযোগ অস্বীকার করে শাখা ছাত্রদল সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, “রুয়া (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন) নির্বাচন নিয়ে নিয়ে উপাচার্য আমাকে কটাক্ষ করে বলেছেন-‘অনেকেই আমার গদি ধরে টান দিতে চেয়েছে, তারা আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী’। শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশের বিষয়টি নিয়ে আমার বক্তব্যের প্রেক্ষিতেও উপাচার্য আমাকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যাবাদী’ ও ‘অপবাদকারী’ আখ্যা দেন। তার এসব ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আমি এই বক্তব্য দিয়েছি।
“আমরা দেখেছি রুয়া নির্বাচনে বিএনপির কোনো অংশগ্রহণ ছিল না। রাকসুও সে রকম হোক আমরা চাই না। তাই বলেছি এমন ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচন দিতে হলে ছাত্রদলের রক্তের উপর দিয়ে দিতে হবে।”
ছাত্রদল রাকসু নির্বাচনের ‘পক্ষে’ দাবি করে শাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ছাত্রলীগ নেতা বলেন, “সুষ্ঠু পরিবেশ এবং আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিলেই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। নির্বাচন বানচালের কোন ইচ্ছা আমাদের নেই।”
দাবিগুলো কি-প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্টের সহযোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা এবং রাকসু নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে দলীয় ব্যক্তিদের অপসারণ।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম