০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানী এখন বিস্ফোরণের নগরীতে পরিণত হয়েছে : ফখরুল

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৬:১৩:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩
  • / ১১১ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের ব্যর্থতার কারণে রাজধানী একটি বিস্ফোরণের নগরীতে পরিণত হয়েছে। বুধবার (৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক র‌্যালিপূর্ব বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এ র‌্যালির আয়োজন করে।

ফখরুল বলেন, ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় গ্যাস জমে সাইন্সল্যাবে বিস্ফোরণে তিনজন লোক মারা গেলেন। গতকাল ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১৯ জন মানুষ মারা গেলেন। এর আগে চট্টগ্রামে বিস্ফোরণ হলো সেখানে সাতজন মারা গেলেন। কেন হচ্ছে এসব? সরকারের যে ডিপার্টমেন্টগুলো রয়েছে, যাদের এগুলো দেখার ও নজরদারিতে রাখার কথা তারা কোনো কাজ করে না। সব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। ফলে এ ভবনগুলোর নিরাপত্তা নেই। বিস্ফোরণ ও আগুন প্রতিরোধ করার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এভাবে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঢাকা মহানগর এখন সবচাইতে বিপজ্জনক একটি নগরীতে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, ঢাকা মহানগরের যে বাতাস সেটাকে বলা হচ্ছে পৃথিবীর সবচাইতে দূষিত বাতাস। ইংল্যান্ডে প্রকাশিত ইকোনোমিক্স পত্রিকা বলছে, দূষিত মহানগরকে ছাড়িয়ে এখন দুর্নীতির যে বাতাস এটা বাংলাদেশকে পুরোপুরি গ্রাস করে ফেলছে। মহিলা দলের নেত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের আরও বেশি সোচ্চার হতে হবে। আপনাদের বেশি করে সংগঠিত হতে হবে। দেশের মানুষ, বিশেষ করে মহিলাদের সংগঠিত করতে হবে।

আপনারা যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন আপনাদের আরও বেশি সংগঠক হতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে এই জগদ্দল পাথরকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, এটাই হচ্ছে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। আওয়ামী লীগের আমলে নারীরা যেভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন অতীতে কখনও এ রকম নির্যাতন হয়েছে বলে আমার জানা নেই। এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেয়েদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে, এগুলো করছে সরকারি দলের লোকেরাই। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় যখন শিক্ষার্থীর ওপর নির্যাতন করা হয় তখন নারীদের একটি সংগঠনও প্রতিবাদের জন্য এগিয়ে আসেনি। এ সব দেখে আমাদের দুঃখ হয়।

আপনাদের বেরিয়ে আসতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে। প্রতিবাদ না করে কীভাবে আমরা আমাদের অধিকার আদায় করব। কীভাবে ন্যায্য দাবি আদায় করব। আপনারা নিজেদের অধিকারের জন্য রাস্তায় নামেন এবং সফল হন এ প্রত্যাশা করছি। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক নায়েবা ইউসুফ, দক্ষিণের আহ্বায়ক রুমা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজধানী এখন বিস্ফোরণের নগরীতে পরিণত হয়েছে : ফখরুল

আপডেট সময় ০৬:১৩:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের ব্যর্থতার কারণে রাজধানী একটি বিস্ফোরণের নগরীতে পরিণত হয়েছে। বুধবার (৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক র‌্যালিপূর্ব বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এ র‌্যালির আয়োজন করে।

ফখরুল বলেন, ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় গ্যাস জমে সাইন্সল্যাবে বিস্ফোরণে তিনজন লোক মারা গেলেন। গতকাল ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১৯ জন মানুষ মারা গেলেন। এর আগে চট্টগ্রামে বিস্ফোরণ হলো সেখানে সাতজন মারা গেলেন। কেন হচ্ছে এসব? সরকারের যে ডিপার্টমেন্টগুলো রয়েছে, যাদের এগুলো দেখার ও নজরদারিতে রাখার কথা তারা কোনো কাজ করে না। সব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। ফলে এ ভবনগুলোর নিরাপত্তা নেই। বিস্ফোরণ ও আগুন প্রতিরোধ করার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এভাবে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঢাকা মহানগর এখন সবচাইতে বিপজ্জনক একটি নগরীতে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, ঢাকা মহানগরের যে বাতাস সেটাকে বলা হচ্ছে পৃথিবীর সবচাইতে দূষিত বাতাস। ইংল্যান্ডে প্রকাশিত ইকোনোমিক্স পত্রিকা বলছে, দূষিত মহানগরকে ছাড়িয়ে এখন দুর্নীতির যে বাতাস এটা বাংলাদেশকে পুরোপুরি গ্রাস করে ফেলছে। মহিলা দলের নেত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের আরও বেশি সোচ্চার হতে হবে। আপনাদের বেশি করে সংগঠিত হতে হবে। দেশের মানুষ, বিশেষ করে মহিলাদের সংগঠিত করতে হবে।

আপনারা যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন আপনাদের আরও বেশি সংগঠক হতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে এই জগদ্দল পাথরকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, এটাই হচ্ছে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। আওয়ামী লীগের আমলে নারীরা যেভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন অতীতে কখনও এ রকম নির্যাতন হয়েছে বলে আমার জানা নেই। এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেয়েদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে, এগুলো করছে সরকারি দলের লোকেরাই। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় যখন শিক্ষার্থীর ওপর নির্যাতন করা হয় তখন নারীদের একটি সংগঠনও প্রতিবাদের জন্য এগিয়ে আসেনি। এ সব দেখে আমাদের দুঃখ হয়।

আপনাদের বেরিয়ে আসতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে। প্রতিবাদ না করে কীভাবে আমরা আমাদের অধিকার আদায় করব। কীভাবে ন্যায্য দাবি আদায় করব। আপনারা নিজেদের অধিকারের জন্য রাস্তায় নামেন এবং সফল হন এ প্রত্যাশা করছি। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক নায়েবা ইউসুফ, দক্ষিণের আহ্বায়ক রুমা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।