রাজনীতির জন্য আদালত কলুষিত করা ঠিক হবে না: আইনমন্ত্রী
- আপডেট সময় ১১:৪২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৮২ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর আদেশ দেওয়াকে কেন্দ্র করে এজলাস কক্ষে হট্টগোল ইস্যুতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, রাজনীতির কারণে আদালতকে কলুষিত করা ঠিক হবে না। অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, তারেক রহমানের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানোর আদেশের সময় আদালত কক্ষে বিএনপিপন্থি আইনজীবীর কজলিস্ট ছুড়ে মারার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে। আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় এসেছে। মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বুধবারের আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় বিষয়টি শুনানির জন্য ১ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, রাজনীতির কারণে আদালতকে কলুষিত করা ঠিক হবে না। মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আমি সবপক্ষের কাছে আবেদন করি, আদালতের মর্যাদা যেন কেউ হানি না করে। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে আদালত থাকবে। আমরা আইনজীবীরা সবাই অফিসার অব দ্য কোর্ট। তিনি আরও বলেন, আমি তাদের (আইনজীবীদের) কাছে আহ্বান জানাবো- রাজনীতির কারণে আদালতকে কলুষিত করাটা ঠিক হবে না। কারণ, তাদের ধৈর্য ধারণ করা উচিত। এজলাস কক্ষে হট্টগোল দুর্ভাগ্যজনক- অ্যাটর্নি জেনারেল ॥ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানোর আদেশের সময় আদালত কক্ষে বিএনপিপন্থি আইনজীবীর কজলিস্ট ছুড়ে মারার ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য ইউটিউব, ফেসবুকসহ সব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানোর আদেশের সময় সোমবার আদালত কক্ষে হট্টগোল করে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। এ ঘটনার সময় বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম এজলাস ত্যাগ করেন। এর আগে বক্তব্য সরাতে সম্পূরক আবেদন করেন রিটকারী। পরে ওই আবেদন অ্যালাউ করেন হাইকোর্ট। এ সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বরাবর একটি আবেদন (রিট মামলাটি অন্য আদালতে নিতে) দিয়েছি। এই অবস্থায় আপনি এ বিষয়ে আদেশ দিতে পারেন না। এ সময় বিএনপির আইনজীবীরা হট্টগোল করতে থাকেন এবং আদালতের উদ্দেশ্য বিভিন্ন মন্তব্য করেন। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা তারেকের পক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে বাগবিত-ায় জড়ান। একপর্যায়ে আদালতের দুই বিচারপতি এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান। এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আদালত অনুমতি না দিলে আপনি আদালতে কথা বলতে পারবেন না। বিচারাধীন কোনো মামলার একটি পক্ষে ওকালতনামা জমা দিলে কথা বলতে পারবেন। আমার জানামতে তারা (বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা) কোনো ওকালতনামা জমা দেননি। ওকালতনামা জমা না দিলে কথা বলার অধিকার থাকে না। আদালত যদি অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেন তাহলে কথা বলতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, ওনাদের (বিএনপিপন্থি আইনজীবী) বক্তব্য রাখারই অধিকার নেই। অথচ ওনারা কথা বলছেন। একজন জুনিয়র আইনজীবী নাকি কজলিস্ট ছুড়ে মেরেছেন। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং ওই আইনজীবী যেটা করেছেন এটা আদালতের প্রতি অসম্মান। আদালত অবমাননার অভিযোগ কার্যতালিকায় ॥ আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় এসেছে। মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বুধবারের আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় বিষয়টি শুনানির জন্য ১ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে। আদালত অবমাননার অভিযোগ ॥ বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে। বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ সাতজনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে।