দা দিয়ে কুপিয়ে রাজাকার দলের প্রধান আলাপ্পা গ্রামের আশ্রব আলী হাজীসহ পাঁচ রাজাকারকে হত্যা করেন সখিনা বেগম।
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত হলেন মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম

- আপডেট সময় ১০:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
- / ১৫ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম।ট্যাগ- কিশোরগঞ্জ জেলা, ঢাকা বিভাগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাষ্ট্রীয় মর্যাদা
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত হয়েছেন কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম।
মঙ্গলবার বিকালে আসরের নামাজ শেষে নিকলী উপজেলার গুরুই ঈদগাহ মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে পুলিশের একটি দল। এ সময় নিকলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহানা মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
পরে গুরুই এলাকার শাহী মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া গ্রামে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান ৯২ বছরের সখিনা বেগম।
গুরুই গ্রামে জন্ম নেন সখিনা বেগম। সোনাফর মিয়া ও দুঃখী বিবির মেয়ে সখিনা বেগম নিঃসন্তান ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের আগেই মারা যান তার স্বামী কিতাব আলী।
ভাগনি ফাইরুন্নেছা আক্তার বৃদ্ধ ও নিঃসঙ্গ সখিনা বেগমকে দেখাশোনা করতেন।
পরিবার জানায়, ১৯৭১ সালে সখিনার ভাগনে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে শহীদ হন। ওই সময় তিনি গুরুই এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের দল ‘বসু বাহিনীর’ ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন।
একপর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। আসার সময় সেখান থেকে তিনি একটি ধারালো দা নিয়ে আসেন। পরে সেই দা দিয়ে রাজাকার দলের প্রধান আলাপ্পা গ্রামের আশ্রব আলী হাজীসহ পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেন।
সেই দা ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে এবং নামফলকে সখিনা বেগমের নাম উল্লেখ আছে।