০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫
“গণতান্ত্রিক দেশে কারও অনুষ্ঠান বানচাল করার সাংবিধানিক বা আইনি কোনো সুযোগ নেই।”

লতিফ সিদ্দিকীসহ ডিবি হেফাজতে থাকা সবার মুক্তি চাইলেন কাদের সিদ্দিকী

নিঝুম আহমেদ - জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০১:১৪:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

ঢাকায় ডিবি হেফাজতে থাকা বড় ভাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে টাঙ্গাইল শহরের নিজ বাসা সংবাদ সম্মেলন করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী।

 

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠান থেকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীসহ পুলিশ হেফাজতে নেওয়া সবার মুক্তি চেয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী।

বৃহস্পতিবার বিকালে টাঙ্গাইল শহরের নিজ বাসা ‘সোনার বাংলায়’ ডিবি হেফাজতে থাকা বড় ভাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তিনি।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, “দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি সংগঠনের সেমিনারে ডক্টর কামাল হোসেন ছিলেন। সেখানে আমার বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী ও আইনজীবী জেডআই খান পান্নাও ছিলেন।

“সেই সময় কিছু মানুষ গিয়ে ‘মব’ সৃষ্টি করে তাদের অনুষ্ঠান বানচাল করেছে। গণতান্ত্রিক দেশে কারও অনুষ্ঠান বানচাল করার সাংবিধানিক বা আইনি কোনো সুযোগ নেই। সেখান থেকে কয়েকজনকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।”

তিনি বলেন, “লতিফ সিদ্দিকীর জন্ম না হলে টাঙ্গাইলের রাজনীতিতে অনেক কিছুই হত না। যেমন- বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশ হত না। তেমনি লতিফ সিদ্দিকীর জন্ম না হলে আমরা রাজনীতিতে আসতাম না।

“পাকিস্তান আমলে লতিফ সিদ্দিকী প্রায় ৪০ বার জেলে গেছেন। বাংলাদেশের আমলেও কয়েকবার জেলে গেছেন। উনারা ভাবছেন, কথা বলছেন, ছেড়ে দিলে দিবেন, না হলে কোর্টে যাবেন। আমরাও কোর্টে যাব। তবে দেখতে হবে আইনিভাবে চলছে কি-না।”

এখন পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে কি-না জানেন না বলে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “উনারা একটা সেমিনারে গিয়েছিলেন, সেখানে কি কথা হবে, সেটাও হয়নি। যেকোনো গ্রেপ্তার দেখালে কোনো আপত্তি নাই। তারা মিথ্যাও দেখাতে পারেন। কিন্তু কোনো কারণ না দেখিয়ে একজন স্বাধীন নাগরিককে এক মিনিটের জন্য কোথাও আটক রাখা যায় না।

“লতিফ সিদ্দিকীর নামে কোনো ঋণ খেলাপি বা কোন মামলা নেই। সরকার চাইলে আমরা আইনিভাবে মোকাবেলা করব। দেশটাকে একবারে ধ্বংস করে দিবেন না। দেশ সকলের। যখন যে ক্ষমতায় যায় দেশ তারও না, তার বাবারও না। যারা শাসন ক্ষমতায় তারা কিন্তু মালিক না। তারা কিন্তু সেবক।”

চব্বিশের গণ-আন্দোলনে নিজের অবদানের কথা স্মরণ করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, “চব্বিশে আমাদেরও কম অবদান নাই। ১৫ বছর শেখ হাসিনার অবস্থা, কাজ-কর্মের যে সমালোচনা করেছি সেটা বৈষম্যবিরোধী নেতারাও করেনি।

“দেশে মব সৃষ্টি করা, অরাজক করা, আইনশৃঙ্খলার পতন ঘটানো, অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব, আপনারা না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দেন।”

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিজয়কে স্বাধীনতার কাছাকাছি বলে মনে করেন কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, “সেই বিজয়ের সফলতা কামনা করি। কিন্তু বিজয়ী বীরদের কার্যকলাপ দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

“তাদের এই বিজয় হাজার বছর চিরস্থায়ী হবে। কিন্তু এক বছরে এই বিজয় ধ্বংসের দিকে চলে যাবে সেটা আশা করি নাই। আওয়ামী স্বৈরাচারের চাইতে এই স্বৈরাচারতো অনেক বড় স্বৈরাচার। মানুষকে কথা বলতে দিচ্ছে না, মত প্রকাশ করতে দিচ্ছে না।”

ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান কাদের সিদ্দিকী।

 

 

নিঝুম আহমেদ – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

“গণতান্ত্রিক দেশে কারও অনুষ্ঠান বানচাল করার সাংবিধানিক বা আইনি কোনো সুযোগ নেই।”

লতিফ সিদ্দিকীসহ ডিবি হেফাজতে থাকা সবার মুক্তি চাইলেন কাদের সিদ্দিকী

আপডেট সময় ০১:১৪:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

 

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠান থেকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীসহ পুলিশ হেফাজতে নেওয়া সবার মুক্তি চেয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী।

বৃহস্পতিবার বিকালে টাঙ্গাইল শহরের নিজ বাসা ‘সোনার বাংলায়’ ডিবি হেফাজতে থাকা বড় ভাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তিনি।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, “দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি সংগঠনের সেমিনারে ডক্টর কামাল হোসেন ছিলেন। সেখানে আমার বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী ও আইনজীবী জেডআই খান পান্নাও ছিলেন।

“সেই সময় কিছু মানুষ গিয়ে ‘মব’ সৃষ্টি করে তাদের অনুষ্ঠান বানচাল করেছে। গণতান্ত্রিক দেশে কারও অনুষ্ঠান বানচাল করার সাংবিধানিক বা আইনি কোনো সুযোগ নেই। সেখান থেকে কয়েকজনকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।”

তিনি বলেন, “লতিফ সিদ্দিকীর জন্ম না হলে টাঙ্গাইলের রাজনীতিতে অনেক কিছুই হত না। যেমন- বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশ হত না। তেমনি লতিফ সিদ্দিকীর জন্ম না হলে আমরা রাজনীতিতে আসতাম না।

“পাকিস্তান আমলে লতিফ সিদ্দিকী প্রায় ৪০ বার জেলে গেছেন। বাংলাদেশের আমলেও কয়েকবার জেলে গেছেন। উনারা ভাবছেন, কথা বলছেন, ছেড়ে দিলে দিবেন, না হলে কোর্টে যাবেন। আমরাও কোর্টে যাব। তবে দেখতে হবে আইনিভাবে চলছে কি-না।”

এখন পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে কি-না জানেন না বলে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “উনারা একটা সেমিনারে গিয়েছিলেন, সেখানে কি কথা হবে, সেটাও হয়নি। যেকোনো গ্রেপ্তার দেখালে কোনো আপত্তি নাই। তারা মিথ্যাও দেখাতে পারেন। কিন্তু কোনো কারণ না দেখিয়ে একজন স্বাধীন নাগরিককে এক মিনিটের জন্য কোথাও আটক রাখা যায় না।

“লতিফ সিদ্দিকীর নামে কোনো ঋণ খেলাপি বা কোন মামলা নেই। সরকার চাইলে আমরা আইনিভাবে মোকাবেলা করব। দেশটাকে একবারে ধ্বংস করে দিবেন না। দেশ সকলের। যখন যে ক্ষমতায় যায় দেশ তারও না, তার বাবারও না। যারা শাসন ক্ষমতায় তারা কিন্তু মালিক না। তারা কিন্তু সেবক।”

চব্বিশের গণ-আন্দোলনে নিজের অবদানের কথা স্মরণ করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, “চব্বিশে আমাদেরও কম অবদান নাই। ১৫ বছর শেখ হাসিনার অবস্থা, কাজ-কর্মের যে সমালোচনা করেছি সেটা বৈষম্যবিরোধী নেতারাও করেনি।

“দেশে মব সৃষ্টি করা, অরাজক করা, আইনশৃঙ্খলার পতন ঘটানো, অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব, আপনারা না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দেন।”

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিজয়কে স্বাধীনতার কাছাকাছি বলে মনে করেন কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, “সেই বিজয়ের সফলতা কামনা করি। কিন্তু বিজয়ী বীরদের কার্যকলাপ দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

“তাদের এই বিজয় হাজার বছর চিরস্থায়ী হবে। কিন্তু এক বছরে এই বিজয় ধ্বংসের দিকে চলে যাবে সেটা আশা করি নাই। আওয়ামী স্বৈরাচারের চাইতে এই স্বৈরাচারতো অনেক বড় স্বৈরাচার। মানুষকে কথা বলতে দিচ্ছে না, মত প্রকাশ করতে দিচ্ছে না।”

ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান কাদের সিদ্দিকী।

 

 

নিঝুম আহমেদ – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম