০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
ধর্ষণের অভিযোগেও প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে লায়লার করা মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

লায়লাকে মারধরের মামলায় গ্রেপ্তারের পর জামিন পেলেন প্রিন্স মামুন

বিনোদন ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১০:০৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৩৮ বার পড়া হয়েছে

 

সামাজিক মাধ্যমে পরিচিত মুখ লায়লাকে মারধর ও হুমকি-ধামকির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন জামিন পেয়েছেন।

ক্যান্টনমেন্ট থানার এ মামলায় (নন-এফআইআর) বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জুয়েল রানা তার জামিনের আদেশ দেন।

এদিন সকালে প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করেছিল ভাটারা থানা পুলিশ।

 

 

প্রিন্স মামুনের আইনজীবী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, “প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন লায়লা। অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে পুলিশ প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে।

“প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আজ সকালে ভাটারা থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে নিয়ে আসে। আমরা তার জামিনের প্রার্থনা করি। শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেছে।”

মারধর ও হুমকি-ধামকির অভিযোগে লায়লা ক্যান্টনমেন্ট থানায় যে জিডি করেছেন তাতে বলা হয়েছে, গত বছরের ৪ জুন প্রিন্স মামুন তার বারিধারা ডিওএইচএস এর বাসায় আসেন এবং তার বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে চাপ দেন।

এ সময় প্রিন্স মামুন তাকে মারধর করাসহ বিভিন্ন হুমকি দেন এবং প্রাণনাশের ভয় দেখান বলেও লায়লা অভিযোগ করেন।

এ ঘটনার পর তিনি জিডিটি করেছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ৯ জুন ‘ধর্ষণের’ অভিযোগে এনে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন লায়লা। পরের দিন কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামুনকে।

এরপর ১১ জুন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। এরপর ওই বছরের ১ জুলাই জামিনে কারামুক্ত হন মামুন।

তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান আদালতে এ অভিযোগ পত্র দেন। এতে মামুনকে অভিযুক্ত করা হয়।

তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার অভিযোগপত্রে বলা হয়, “আসামি প্রিন্স মামুন ফেইসবুক আইডিসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে টিকটকার হিসেবে পরিচিতি পান। অন্যদিকে মামলার বাদী লায়লা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অত্যন্ত পরিচিত মুখ। তিনি বিবাহিত। প্রিন্স মামুনের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে লায়লার সঙ্গে মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন মামুন।

“পরবর্তীতে তাদের প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। ঢাকায় থাকার মত প্রিন্সের কোনো বাসা না থাকয় নিজের বাসায় থাকার অনুমতি দেন লায়লা। ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকেন। এরপর মামুন ও তার বাবা-মা প্রায়ই সেই বাসায় এসে থাকতেন।এর মধ্যে মামুন লায়লাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেন।”

এজাহারে বলা হয়, মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয়ে বললে তিনি নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ লায়লাকে ধর্ষণও করেন তিনি।

 

 

বিনোদন ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

ধর্ষণের অভিযোগেও প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে লায়লার করা মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

লায়লাকে মারধরের মামলায় গ্রেপ্তারের পর জামিন পেলেন প্রিন্স মামুন

আপডেট সময় ১০:০৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

 

সামাজিক মাধ্যমে পরিচিত মুখ লায়লাকে মারধর ও হুমকি-ধামকির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন জামিন পেয়েছেন।

ক্যান্টনমেন্ট থানার এ মামলায় (নন-এফআইআর) বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জুয়েল রানা তার জামিনের আদেশ দেন।

এদিন সকালে প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করেছিল ভাটারা থানা পুলিশ।

 

 

প্রিন্স মামুনের আইনজীবী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, “প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন লায়লা। অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে পুলিশ প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে।

“প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আজ সকালে ভাটারা থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে নিয়ে আসে। আমরা তার জামিনের প্রার্থনা করি। শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেছে।”

মারধর ও হুমকি-ধামকির অভিযোগে লায়লা ক্যান্টনমেন্ট থানায় যে জিডি করেছেন তাতে বলা হয়েছে, গত বছরের ৪ জুন প্রিন্স মামুন তার বারিধারা ডিওএইচএস এর বাসায় আসেন এবং তার বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে চাপ দেন।

এ সময় প্রিন্স মামুন তাকে মারধর করাসহ বিভিন্ন হুমকি দেন এবং প্রাণনাশের ভয় দেখান বলেও লায়লা অভিযোগ করেন।

এ ঘটনার পর তিনি জিডিটি করেছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ৯ জুন ‘ধর্ষণের’ অভিযোগে এনে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন লায়লা। পরের দিন কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামুনকে।

এরপর ১১ জুন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। এরপর ওই বছরের ১ জুলাই জামিনে কারামুক্ত হন মামুন।

তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান আদালতে এ অভিযোগ পত্র দেন। এতে মামুনকে অভিযুক্ত করা হয়।

তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার অভিযোগপত্রে বলা হয়, “আসামি প্রিন্স মামুন ফেইসবুক আইডিসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে টিকটকার হিসেবে পরিচিতি পান। অন্যদিকে মামলার বাদী লায়লা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অত্যন্ত পরিচিত মুখ। তিনি বিবাহিত। প্রিন্স মামুনের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে লায়লার সঙ্গে মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন মামুন।

“পরবর্তীতে তাদের প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। ঢাকায় থাকার মত প্রিন্সের কোনো বাসা না থাকয় নিজের বাসায় থাকার অনুমতি দেন লায়লা। ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকেন। এরপর মামুন ও তার বাবা-মা প্রায়ই সেই বাসায় এসে থাকতেন।এর মধ্যে মামুন লায়লাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেন।”

এজাহারে বলা হয়, মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয়ে বললে তিনি নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ লায়লাকে ধর্ষণও করেন তিনি।

 

 

বিনোদন ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম