মাস তিনেক আগেও যাদের কেবিনেটে ছিল না শীর্ষ পর্যায়ের কোনো টুর্নামেন্টের ট্রফি, সেই ক্রিস্টাল প্যালেস এই অল্প সময়ে জিতে নিল দুটি।
লিভারপুলকে হারিয়ে কমিউনিটি শিল্ডও জিতল ক্রিস্টাল প্যালেস

- আপডেট সময় ১১:৫১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
- / ৩৮ বার পড়া হয়েছে
ইংলিশ ফুটবল মৌসুমের শুরুর দিনে রোমাঞ্চে ঠাসা এক লড়াইয়ের সাক্ষী হলো ওয়েম্বলি। কদিন আগে দলে যোগ হওয়া নতুন ফুটবলারদের নৈপুণ্যে দুই দফায় এগিয়ে গেল লিভারপুল। দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে দুবারই সমতায় ফিরল ক্রিস্টাল প্যালেস। টাইব্রেকারেও ছড়াল দারুণ উত্তেজনা। যেখানে কয়েক ধাপের নাটকীয় মোড়ের পর আরও একটি ট্রফি উঁচিয়ে ধরল প্যালেস।
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে রোববার কমিউনিটি শিল্ড ট্রফির লড়াইয়ে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জিতেছে ক্রিস্টাল প্যালেস। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ২-২ ড্রয়ে শেষ হয়।
মাস তিনেক আগেও যাদের কেবিনেটে ছিল না শীর্ষ পর্যায়ের কোনো টুর্নামেন্টের ট্রফি, তারাই এই অল্প সময়ে জিতে নিল দুটি।
পেনাল্টি শুটআউটে শুরুটা ভীষণ বাজে হয় লিভারপুলের, প্রথম শট নিতে এসে উড়িয়ে মারেন দলের সেরা তারকা মোহামেদ সালাহ। লিভারপুলের তৃতীয় ও চতুর্থ শট নেওয়া আলেক্সিস মাক আলিস্তের ও হার্ভি এলিয়টের শট রুখে দেন ডিন হেন্ডারসন।
জবাবে লিভারপুল গোলরক্ষক আলিসন প্রতিপক্ষের এবেরেচি এজে ও বোর্না সোসার শট ঠেকিয়ে দলের আশা শেষ পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখেন। কিন্তু একেবারে শেষ শট জালে পাঠিয়ে প্যালেসকে উচ্ছ্বাসে ভাসান জাস্টিন ডেভেনি।
লিভারপুলের জার্সিতে অসাধারণভাবে যাত্রা শুরু হয় একিতিকের। একই সঙ্গে ফ্লোহিয়ান ভিয়েৎসেরও। নতুন ঠিকানায় প্রথমবার মাঠে নেমে চতুর্থ মিনিটেই জার্মান মিডফিল্ডার ভিয়েৎসের পাস পেয়ে নিখুঁত শটে দলকে এগিয়ে নেন একিতিকে।
ব্যবধান যদিও বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি লিভারপুল। ষোড়শ মিনিটে লিভারপুলের ডি-বক্সে ভার্জিল ফন ডাইকের ফাউলে ইসমাইল সার পড়ে গেলে পেনাল্টি পায় নিউক্যাসল। স্পট কিকে সমতা টানতে ভুল করেননি জ্যঁ ফিলিপ মাতেতা।
চার মিনিট পর আরেক নতুন খেলোয়াড় জেরেমি ফ্রিমপংয়ের নৈপুণ্যে আবার এগিয়ে যায় লিভারপুল। দমিনিক সোবোসলাইয়ের পাস পেয়ে গোলটি করেন বায়ার লেভারকুজেন থেকে গত মে মাসে অ্যানফিল্ডে আসা ডাচ ডিফেন্ডার।
গত এফএ কাপের ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে ১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথম শিরোপা জেতা প্যালেস ৬২তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পায়। কিন্তু গোলরক্ষক আলিসনকে পরাস্ত করতে পারেননি এবেরেচি এজে।
৭৭তম মিনিটে আর দলকে বাঁচাতে পারেননি আলিসন। প্রতিপক্ষের ছোট ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় দফায় ম্যাচে সমতা টানেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড ইসমাইলা সার।
লড়াইয়ে ফিরে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে প্যালেস আর শেষ দিকে কিছুটা যেন ক্লান্তি ভর করে লিভারপুল শিবিরে। নির্ধারিত সময়ে অবশ্য স্কোরলাইনে এর কোনো পড়েনি।
শক্তির বিচারে যোজন যোজন এগিয়ে লিভারপুল। ইংলিশ ফুটবলের শীর্ষ লিগের যৌথভাবে রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন তারা, বর্তমান শিরোপাধারীও। কিন্তু টাইব্রেকারে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পারল না দলটি।
প্রথমবারের মতো এক ম্যাচের এই ট্রফির লড়াইয়ে খেলার সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করল ক্রিস্টাল প্যালেস।
স্পোর্টস ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম