১১:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শান্তিরক্ষা মিশনে ফোর্স কমান্ডার বাংলাদেশের মেজর ফখরুল

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৮:২৫:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩
  • / ৯২ বার পড়া হয়েছে

পশ্চিম সাহারাতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে ফোর্স কমান্ডার হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান। শনিবার (১৮ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসানকে ইউনাইটেড নেশনস মিশন ফর দ্য রিফারেন্ডাম ইন ওয়েস্টার্ন সাহারাতে ফোর্স কমান্ডার হিসেবে মনোনীত করেছেন। তিনি পাকিস্তানের মেজর জেনারেল জিয়াউর রেহমানের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

এর আগে তিনি জাতিসংঘ মিশনে সোমালিয়াতে এবং কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে নিয়োজিত ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। মেজর জেনারেল ফখরুল আহসান ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। বর্তমানে তিনি একটি পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। মেজর ফখরুল আহসান সেনাবাহিনীতে তার সুদীর্ঘ পেশাগত জীবনে কমান্ড, স্টাফ এবং প্রশিক্ষক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি একটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন ও দুটি পদাতিক ব্রিগেড কমান্ড করেছেন।

এছাড়াও, সেনাবাহিনীর স্বনামধন্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস্-এর কৌশল শাখার প্রশিক্ষক, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি)-এর সিনিয়র প্রশিক্ষক এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে প্লাটুন ও টার্ম কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্টাফ অফিসার হিসেবে তিনি একটি পদাতিক ডিভিশনের জিএসও-১ (অপস্) এবং সেনাসদর, সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি সফলতার সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ইন ডিফেন্স স্টাডিজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ইন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ সম্পন্ন করেছেন। বাংলা ও ইংরেজির পাশাপাশি তিনি ফরাসি ভাষায় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কথা বলতে ও লিখতে পারদর্শী। মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান এবং তার সহধর্মিণী রাশিদা আহসান এক ছেলে এবং এক কন্যা সন্তানের জনক-জননী।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

শান্তিরক্ষা মিশনে ফোর্স কমান্ডার বাংলাদেশের মেজর ফখরুল

আপডেট সময় ০৮:২৫:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

পশ্চিম সাহারাতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে ফোর্স কমান্ডার হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান। শনিবার (১৮ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসানকে ইউনাইটেড নেশনস মিশন ফর দ্য রিফারেন্ডাম ইন ওয়েস্টার্ন সাহারাতে ফোর্স কমান্ডার হিসেবে মনোনীত করেছেন। তিনি পাকিস্তানের মেজর জেনারেল জিয়াউর রেহমানের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

এর আগে তিনি জাতিসংঘ মিশনে সোমালিয়াতে এবং কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে নিয়োজিত ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। মেজর জেনারেল ফখরুল আহসান ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। বর্তমানে তিনি একটি পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। মেজর ফখরুল আহসান সেনাবাহিনীতে তার সুদীর্ঘ পেশাগত জীবনে কমান্ড, স্টাফ এবং প্রশিক্ষক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি একটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন ও দুটি পদাতিক ব্রিগেড কমান্ড করেছেন।

এছাড়াও, সেনাবাহিনীর স্বনামধন্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস্-এর কৌশল শাখার প্রশিক্ষক, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি)-এর সিনিয়র প্রশিক্ষক এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে প্লাটুন ও টার্ম কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্টাফ অফিসার হিসেবে তিনি একটি পদাতিক ডিভিশনের জিএসও-১ (অপস্) এবং সেনাসদর, সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি সফলতার সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ইন ডিফেন্স স্টাডিজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ইন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ সম্পন্ন করেছেন। বাংলা ও ইংরেজির পাশাপাশি তিনি ফরাসি ভাষায় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কথা বলতে ও লিখতে পারদর্শী। মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান এবং তার সহধর্মিণী রাশিদা আহসান এক ছেলে এবং এক কন্যা সন্তানের জনক-জননী।