"আমরা প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে যুক্ত সবার সক্ষমতায় পরিষেবা বৃদ্ধি করা।”
শাহজালালে দ্বিতীয় গ্রাউন্ডহ্যান্ডলার নিয়োগ দেওয়া হতে পারে: শেখ বশিরউদ্দীন

- আপডেট সময় ০১:০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৭ বার পড়া হয়েছে

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালে দ্বিতীয় গ্রাউন্ড হ্যান্ডলার নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালে দ্বিতীয় গ্রাউন্ড হ্যান্ডলার নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
উপদেষ্টার বরাতে বাসসের খবরে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে ঘোষণাটি আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, “আমরা ইতোমধ্যেই গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সম্পর্কে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং শিগগিরই এটি প্রকাশ করব।
“আমরা একটি প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে জড়িত সকলের সক্ষমতার ভিত্তিতে পরিষেবা বৃদ্ধি করা। আমরা একটি সমন্বিত পদ্ধতি চাই।”
এখন পর্যন্ত হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা দিয়ে আসছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
এদিকে থার্ড টার্মিনাল পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রোববার বিকালে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এবং একটি জাপানি কনসোর্টিয়ামের মধ্যে তিন দিনের আলোচনার চূড়ান্ত পর্ব শুরু হয়েছে।
বেবিচক কর্মকর্তারা বলছেন, প্রথম দুটি অধিবেশনের সভাপতিত্ব করছেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক। শেষ দিনে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সভাপতিত্ব করবেন। সেখানে আন্তর্জাতিক অর্থ কর্পোরেশন (আইএফসি) সহ সকল স্টেকহোল্ডারের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন।
বাসসের খবরে বলা হয়, দুই বছরের জন্য বিমানকে গ্রাউন্ড-হ্যান্ডলিং দায়িত্ব অর্পণের নীতিগত সিদ্ধান্ত কনসোর্টিয়ামের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে, যারা তাদের কাজের পরিসর বাড়ানো এবং রাজস্ব আয়ের ভাগও চেয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) ব্যবস্থার অধীনে, বিমান এবং টার্মিনাল পরিচালনাকারী বেসরকারি খাতের অংশীদারের মধ্যে একটি ‘পরিষেবা স্তরে চুক্তি’ (এসএলএ) সই হওয়ার কথা রয়েছে।
২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালটিতে মূলত অর্থায়ন করেছে মূলত জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। এর বার্ষিক যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্ষমতা ২৪ মিলিয়ন এবং কার্গো ওঠা-নামা ১ দশমিক ২ মিলিয়ন টনে উন্নীত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সাবরিনা জাহান- বিশেষ প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম