০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শ্রমিক বন্দনা গানে গানে

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ১০:৪১:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩
  • / ১২৮ বার পড়া হয়েছে

পহেলা মে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। প্রতিবছর শ্রমিক দিবসকে ঘিরে বিভিন্ন দেশে নানান ভাষায় তাদের সম্মানে তৈরি হয়েছে অনেক গান। শিল্পীরা গানের মাধ্যমে বন্দনা করেছেন শ্রমিকদের। যা দর্শকশ্রোতার মনোরঞ্জনের চেয়ে শ্রমিকদের প্রেরণা অর্জনেই বেশি কাজে লেগেছে। তাছাড়া যেকোনো আন্দোলনেই বিরাট অবদান রয়েছে সঙ্গীতের।

এদের মধ্যে বাংলাদেশে শ্রমিকদের জন্য গান করে সঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীরের বিখ্যাত গান ‘ও সখিনা গেছস কী না ভুইল্যা আমারে’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। ব্যান্ড তারকা জেমসের ‘সেলাই দিদিমনি’, মনির খানের ‘তোমরা গার্মেন্টস শ্রমিক আমি কণ্ঠ শ্রমিক’ গানগুলো দাগ কেটে রয়েছে সবার মনে। যা শ্রমিকদের উৎসাহ যুগিয়েছে।

এ ছাড়া কিংবদন্তি গায়ক এন্ড্রু কিশোর অনেক গানেই বন্দনা করেছেন শ্রমিকদের। কাজী হায়াত নির্মিত ‘শ্রমিক নেতা’ সিনেমায় তার গাওয়া ‘আমরা শ্রমিক, করি মেহনত’ গানটি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। বাংলা ভাষায় শ্রমিক দিবসের গানগুলোর মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় হেমাঙ্গ বিশ্বাসের কণ্ঠে ‘নাম তার ছিলো জন হেনরি’ গানটি। এটি বাংলাদেশের গণসঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীরও গেয়েছিলেন। এই জন হেনরিকে নিয়ে গান বেঁধেছেন পশ্চিমবঙ্গের আরেক জীবন্ত কিংবদন্তি গায়ক ও সঙ্গীত নির্মাতা কবীর সুমনও। এ ছাড়া শ্রমিকদের নিয়ে বেশ কিছু গান গেয়েছেন নচিকেতাও।

ইটালিতে ১৯০৮ সালে সমাজতন্ত্রী আন্দোলন ‘বান্দিয়িএরা রোজা’ বা ‘লাল পতাকা’র প্রতি উৎসর্গ করে কার্লো টুৎসি, লম্বার্ডিয়ান লোক সংগীতের সুরে একটি গান রচনা করেন। যা ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এরপর ১৯১৫ সালে অভিবাসী শ্রমিক ও সঙ্গীত রচয়িতা জো হিল মৃত্যুর আগে শ্রমিকদের প্রতি তিনি দিয়েছিলেন বিখ্যাত বাণী ‘শোকতপ্ত হয়ো না, সংগঠিত হও’। যে গানটি তার নামেই বাঁধা হয়েছে।

যা আজও সবার কাছে অম্লান হয়ে আছে। এখন পর্যন্ত অনেক সঙ্গীতশিল্পী কণ্ঠ দিয়েছেন গানটিতে।১৮৭১ সালের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত প্যারিস নগরীতে ভার্সাইয়ের সেনাদলের সঙ্গে পরাজিত হয় শ্রমিক অধিকারের আন্দোলন। এই সময় বিশ্ব শ্রমিক আন্দোলনের গান ‘দ্যা ইন্টারনাসিওনালে’ রচনা করেন ফরাসি কমিউনিস্ট এবং পরিবহন কর্মচারী ইউজিন পোটিয়ে।

প্রয়াত কণ্ঠশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর ‘চল বুবাইজান মাডি কাডা চাইয়া রইলি কার পানে’ ও সায়ানের ‘শুনেছি তাদের মজুরি এখনও দাওনি’ গানগুলোতে উঠে এসেছে শ্রমিকদের বন্দনা। এ ছাড়া কলকাতার পবন দাস বাউল, মাহমুদুজ্জামান বাবু, প্রতুল মুখার্জি সহ আরও বিভিন্ন প্রজন্মের শিল্পী, গণসঙ্গীতের দল, ব্যান্ডই গানের মাধ্যমে তুলে এনেছেন শ্রমিকদের জীবনমুখি বন্দনা। তাদের উৎসাহ যুগিয়েছেন গানের সুরে।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

শ্রমিক বন্দনা গানে গানে

আপডেট সময় ১০:৪১:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩

পহেলা মে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। প্রতিবছর শ্রমিক দিবসকে ঘিরে বিভিন্ন দেশে নানান ভাষায় তাদের সম্মানে তৈরি হয়েছে অনেক গান। শিল্পীরা গানের মাধ্যমে বন্দনা করেছেন শ্রমিকদের। যা দর্শকশ্রোতার মনোরঞ্জনের চেয়ে শ্রমিকদের প্রেরণা অর্জনেই বেশি কাজে লেগেছে। তাছাড়া যেকোনো আন্দোলনেই বিরাট অবদান রয়েছে সঙ্গীতের।

এদের মধ্যে বাংলাদেশে শ্রমিকদের জন্য গান করে সঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীরের বিখ্যাত গান ‘ও সখিনা গেছস কী না ভুইল্যা আমারে’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। ব্যান্ড তারকা জেমসের ‘সেলাই দিদিমনি’, মনির খানের ‘তোমরা গার্মেন্টস শ্রমিক আমি কণ্ঠ শ্রমিক’ গানগুলো দাগ কেটে রয়েছে সবার মনে। যা শ্রমিকদের উৎসাহ যুগিয়েছে।

এ ছাড়া কিংবদন্তি গায়ক এন্ড্রু কিশোর অনেক গানেই বন্দনা করেছেন শ্রমিকদের। কাজী হায়াত নির্মিত ‘শ্রমিক নেতা’ সিনেমায় তার গাওয়া ‘আমরা শ্রমিক, করি মেহনত’ গানটি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। বাংলা ভাষায় শ্রমিক দিবসের গানগুলোর মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় হেমাঙ্গ বিশ্বাসের কণ্ঠে ‘নাম তার ছিলো জন হেনরি’ গানটি। এটি বাংলাদেশের গণসঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীরও গেয়েছিলেন। এই জন হেনরিকে নিয়ে গান বেঁধেছেন পশ্চিমবঙ্গের আরেক জীবন্ত কিংবদন্তি গায়ক ও সঙ্গীত নির্মাতা কবীর সুমনও। এ ছাড়া শ্রমিকদের নিয়ে বেশ কিছু গান গেয়েছেন নচিকেতাও।

ইটালিতে ১৯০৮ সালে সমাজতন্ত্রী আন্দোলন ‘বান্দিয়িএরা রোজা’ বা ‘লাল পতাকা’র প্রতি উৎসর্গ করে কার্লো টুৎসি, লম্বার্ডিয়ান লোক সংগীতের সুরে একটি গান রচনা করেন। যা ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এরপর ১৯১৫ সালে অভিবাসী শ্রমিক ও সঙ্গীত রচয়িতা জো হিল মৃত্যুর আগে শ্রমিকদের প্রতি তিনি দিয়েছিলেন বিখ্যাত বাণী ‘শোকতপ্ত হয়ো না, সংগঠিত হও’। যে গানটি তার নামেই বাঁধা হয়েছে।

যা আজও সবার কাছে অম্লান হয়ে আছে। এখন পর্যন্ত অনেক সঙ্গীতশিল্পী কণ্ঠ দিয়েছেন গানটিতে।১৮৭১ সালের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত প্যারিস নগরীতে ভার্সাইয়ের সেনাদলের সঙ্গে পরাজিত হয় শ্রমিক অধিকারের আন্দোলন। এই সময় বিশ্ব শ্রমিক আন্দোলনের গান ‘দ্যা ইন্টারনাসিওনালে’ রচনা করেন ফরাসি কমিউনিস্ট এবং পরিবহন কর্মচারী ইউজিন পোটিয়ে।

প্রয়াত কণ্ঠশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর ‘চল বুবাইজান মাডি কাডা চাইয়া রইলি কার পানে’ ও সায়ানের ‘শুনেছি তাদের মজুরি এখনও দাওনি’ গানগুলোতে উঠে এসেছে শ্রমিকদের বন্দনা। এ ছাড়া কলকাতার পবন দাস বাউল, মাহমুদুজ্জামান বাবু, প্রতুল মুখার্জি সহ আরও বিভিন্ন প্রজন্মের শিল্পী, গণসঙ্গীতের দল, ব্যান্ডই গানের মাধ্যমে তুলে এনেছেন শ্রমিকদের জীবনমুখি বন্দনা। তাদের উৎসাহ যুগিয়েছেন গানের সুরে।