০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
“শ্রমিকদের যে দাবি ছিল, মোটামুটি সব দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে,” বলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

সংঘর্ষ-প্রাণহানি: দুদিন পর উৎপাদনে ফিরছে উত্তরা ইপিজেড

নীলফামারী  প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০১:০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

শ্রমিক-মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার রাতে উত্তরা ইপিজেডের কারখানার চালুর বিষয়ে কথা বলেন নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সামাদ সিকদার।

 

কারখানা বন্ধের জেরে সংঘর্ষ ও এক শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনার দুদিন পর বৃহস্পতিবার খুলছে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের সব কারখানা। আর যে কারখানা ঘিরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছিল সেই এভারগ্রিন কারখানা খুলবে শনিবার।

ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালকের কার্যালয়ের বুধবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কারখানা ও বেপজা কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দীর্ঘ বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সামাদ সিকদার বলেন, “শ্রমিকদের যে দাবি ছিল, মোটামুটি সব দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তারা দাবিগুলো প্রতিপালন করবে।

“দাবিগুলো নিয়ে বেপজা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এভারগ্রিন কোম্পানির একটি লিখিত চুক্তি হবে আজকেই (বুধবার), যাতে শ্রমিকদের দাবিগুলো প্রতিপালন করা হয়।”

কারখানাগুলো খোলার পর শ্রমিকরা যথারীতি তাদের কাজে যোগ দেবেন বলে জানান সামাদ সিকদার।

কারখানা বন্ধের জেরে সংঘর্ষে এক শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, “এটা আসলেই একটি দুঃখজনক ঘটনা। এখানে একটি প্রাণ চলে গেছে। এটার জন্য আমরা সবাই দুঃখিত। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”

নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে কোম্পানির পক্ষ থেকে তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আর যারা চিকিৎসাধীন আছে, তাদের উন্নত চিকিৎসার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

“কোম্পানি আমাদের নিশ্চিত করেছে হতাহতদের তাদের যত পাওনা আছে, আইনানুগভাবে সেটি পরিশোধ করা হবে। এ ছাড়া আমরা নিয়মিত এই বিষয়গুলো পরিদর্শন করব।”

উত্তরা ইপিজেডের ‘এভারগ্রিন প্রোডাক্টস ফ্যাক্টরি বিডি লিমিটেড’ নামে একটি পরচুলা কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন। সোমবার হঠাৎ করেই কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয় ওই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

এর জেরে মঙ্গলবার সকালে ইপিজেডের মূল ফটকে অবস্থান নেন কারখানাটির শ্রমিকরা। ইপিজেডের অন্য কারখানার শ্রমিকদেরও তারা কাজে যোগ দিতে বাধা দেন।

খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে হাবিবুর রহমান নামে এক শ্রমিকসহ অনেকে আহত হন। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাবিব ইকু ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি নিটিং কারখানায় কাজ করতেন।

সংঘর্ষ ও প্রাণহানির এ ঘটনার জেরে উত্তরা ইপিজেডের কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে পড়ে, যা খুলছে বৃহস্পতিবার থেকে।

 

নীলফামারী  প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

“শ্রমিকদের যে দাবি ছিল, মোটামুটি সব দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে,” বলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

সংঘর্ষ-প্রাণহানি: দুদিন পর উৎপাদনে ফিরছে উত্তরা ইপিজেড

আপডেট সময় ০১:০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

কারখানা বন্ধের জেরে সংঘর্ষ ও এক শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনার দুদিন পর বৃহস্পতিবার খুলছে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের সব কারখানা। আর যে কারখানা ঘিরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছিল সেই এভারগ্রিন কারখানা খুলবে শনিবার।

ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালকের কার্যালয়ের বুধবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কারখানা ও বেপজা কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দীর্ঘ বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সামাদ সিকদার বলেন, “শ্রমিকদের যে দাবি ছিল, মোটামুটি সব দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তারা দাবিগুলো প্রতিপালন করবে।

“দাবিগুলো নিয়ে বেপজা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এভারগ্রিন কোম্পানির একটি লিখিত চুক্তি হবে আজকেই (বুধবার), যাতে শ্রমিকদের দাবিগুলো প্রতিপালন করা হয়।”

কারখানাগুলো খোলার পর শ্রমিকরা যথারীতি তাদের কাজে যোগ দেবেন বলে জানান সামাদ সিকদার।

কারখানা বন্ধের জেরে সংঘর্ষে এক শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, “এটা আসলেই একটি দুঃখজনক ঘটনা। এখানে একটি প্রাণ চলে গেছে। এটার জন্য আমরা সবাই দুঃখিত। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”

নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে কোম্পানির পক্ষ থেকে তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আর যারা চিকিৎসাধীন আছে, তাদের উন্নত চিকিৎসার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

“কোম্পানি আমাদের নিশ্চিত করেছে হতাহতদের তাদের যত পাওনা আছে, আইনানুগভাবে সেটি পরিশোধ করা হবে। এ ছাড়া আমরা নিয়মিত এই বিষয়গুলো পরিদর্শন করব।”

উত্তরা ইপিজেডের ‘এভারগ্রিন প্রোডাক্টস ফ্যাক্টরি বিডি লিমিটেড’ নামে একটি পরচুলা কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন। সোমবার হঠাৎ করেই কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয় ওই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

এর জেরে মঙ্গলবার সকালে ইপিজেডের মূল ফটকে অবস্থান নেন কারখানাটির শ্রমিকরা। ইপিজেডের অন্য কারখানার শ্রমিকদেরও তারা কাজে যোগ দিতে বাধা দেন।

খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে হাবিবুর রহমান নামে এক শ্রমিকসহ অনেকে আহত হন। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাবিব ইকু ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি নিটিং কারখানায় কাজ করতেন।

সংঘর্ষ ও প্রাণহানির এ ঘটনার জেরে উত্তরা ইপিজেডের কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে পড়ে, যা খুলছে বৃহস্পতিবার থেকে।

 

নীলফামারী  প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম